জীবন যুদ্ধ
জীবন যুদ্ধ
তোমার কোলে স্থান পেয়ে মা, ধন্য তোমার মেয়ে,
ছোট্ট থেকে বড় হয়েছে তোমার পরিচয়ে।
মেয়ে সন্তান জন্ম দিয়েছো, মানতে পারেনি বাপে,
গলা ধাক্কা দিয়ে তোমায়, দূর করেছে পাপে।
সেদিন থেকেই যুদ্ধ শুরু জীবনের রণক্ষেত্রে,
অপমানের গ্লানি বিঁধলো হৃদয়ের প্রতি ছত্রে।
দিশাহারা তুমি দৈন্যের চাপে, ফুটপাথে বাঁধো ঘর,
বিসর্জিয়া আপনার সুখ, কন্যা লালনে তৎপর।
কষ্টের দিনে তোমার চোয়াল শক্ত হয়েছে আরো,
দিবারাত্রির দুশ্চিন্তা নিয়ে আমায় মানুষ করো।
কাজ করেছো লোকের বাড়ি, যাতনা সয়েছো কতো,
মনের মাঝে সংকল্প ছিল মানুষ করার ব্রত।
নিজের স্বার্থ বলিদান দিলে আমার মুখটি চেয়ে,
ঋণী করেছো আমায় তুমি অপরূপ স্নেহ দিয়ে।
দিন কেটেছে, মাস কেটেছে, পেরিয়ে গেছে বছর,
সময়ের সাথে হাল্কা হয়েছে বুকের বেদনা-পাথর।
শুখিয়ে যাওয়া চোখের কোণে চিক চিক করে ধারা,
সার্থকতার তৃপ্তির ছায়ে হর্ষ পাগলপারা।
আজ আমি যে পাশ দিয়েছি, চাকুরী করছি বড়ো,
পরাজয় নয়, দিন এসেছে বিজয় মুকুট পরো।