জীবন মৃত্যু
জীবন মৃত্যু


এক
শরীর থাক পড়ে কিছুর বন্ধনে
মৃত্যু থাক পড়ে পিছুর নন্দনে ।
তোমার সৃষ্টি
তোমার ধ্বংস
তোমার হাতে
উৎরে আসে নতুন সংসার
সবুজ অবুঝ অপার অবতংসার ।
শরীর যত্ন করে মৃত্যু আছে বলে
মৃত্যুর অস্তিত্ব অনন্ত জীবন বলে ।
দুই
মৃত্যুর মৃত্যু কখনও হয়নি
মৃত্যু শরীরে ঘুমিয়ে থাকে বলে চোখে পড়েনা ।
আমরা সকলে শুয়ে বসে আছি বাস্তবের অন্ধকারে
আলোর উৎস খুঁজে নিতে ব্যস্ত নিজের মতো করে ।
জীবন
এক মরুর উদ্যান
মৃত্যু
এক শুরুর অভিযান ।
তার অস্তিত্ব অনুভবের অনুভূতিতে
ঈশ্বর আছেন জীবন সৈকত তীরেতে
দু’পার বেঁধে
নিজের হাতে জন্ম মৃত্যুর হোম নিয়ে ।
জীবন
এক সময় বেলা
মৃত্যু
এক সময় খেলা
ঈশ্বর আছেন সময়ের কুলের কুলেতে
সময় বেঁধে
নিত্য বেলার নিত্য খেলার কুষ্ঠি নিয়ে
তিন
মৃত্যু দু’পায়ে নূপুর বেঁধে নিজের ঘোরে
ঘুরে বেড়ায় বিভিন্ন সুর ধ্বনির তাল ধরে
জীবনের অন্দরমহলে ।
আকাশের নীলে মেঘের কোলাহলে ।
নির্ঝর বৃষ্টিতে শীতের কাঁপুনিতে ।
উষ্ণতার শিহরণে জুড়িয়ে
ঠোঁটে সুখশান্তির সোয়াস্তির নিশ্চুপ সংলাপ
বেঁচে থাকার তাগিদে শরীরে শরীরে আলাপ ।
মৃত্যু আগুনের দহনে জ্বলতে পুড়তে ভালোবাসে
কবরের শীতলপাটিতে শুয়ে থাকতে ভালোবাসে
চোখের ঘুম সিঁড়ি বেয়ে উঠে যায়
দরজার খিল ভেঙে বাঁচার ঘর চায়
হোঁচট লাগলে দু’চোখ বলে ষাট বালাই ।
শস্যের মাথায় সূর্যের আলো ছড়িয়ে
মৃত্যুর আত্মা নারীর গর্ভে জন্মের লোভে
দু’হাত বাড়িয়ে পুরুষের ঔরসে আর এক জন্ম নিতে শরীরে ।