ধুপকাঠিওয়ালা
ধুপকাঠিওয়ালা


সকাল সকাল বেরিয়ে পরি কিছু বিক্রির আশায়,
ফেরার সময়ের ঠিক থাকেনা, কখনো বিকেলে কখনো বা সন্ধ্যায়।
ও দাদা একটা প্যাকেট কিনবে নাকি?
যতই পড়ুক রোদ্দুর আর যতই হোক বৃষ্টি, তবুও আমি চলি,
কিছু পয়সার আশায় চলতে হয় অনেক অলি-গলি।
দিদি একটু শুনবে নাকি?
বাড়িতে যে অসুস্থ মা আছে, ছেলের টিউশনের ফিজও বাকি আছে,
আছে আবার বউএর ফরমাইস,
তাই তো অনেকদিন ধরেই কাজ করছি,
বাবা যে মারা গেছিলো যখন বয়স ছিলো বাইশ।
বাবু একটা প্যাকেট নেবে নাকি?
কেউ কেউ কেনে আবার কেউ কেউ কুকুরের মতো তাড়িয়ে দেয়,
বাড়ির কথা ভেবে অপমান সহ্য করেও আবার সেখানেই যেতে হয়।
কাকু, অনেক গন্ধের আছে, একটি বার দেখবে নাকি?
বাড়ির চালটা পুরোনো হয়েছে বলে বর্ষাকালে জল পড়ে,
ঠিক করতে পারিনি বলে বউ রোজ ঝগড়া করে।
ম্যাডাম, ১ প্যাকেট আড়াই টাকা আর ২ প্যাকেট নিলে চার টাকা,
১টা প্যাকেট নেবেন নাকি?
চলি, আমায় চলতে হবে যে অনেক দূর,
বয়স তো বাড়ছে, জানিনা চলতে পারবো কতদূর।
খোকা, মা কে বলো না "ধুপকাঠিওয়ালা" এসেছে,
একটা প্যাকেট নেবে নাকি।