দেবীর নোলক
দেবীর নোলক


স্কচটেপে সাঁটিয়ে রাখাঝুল পড়া মায়ের ঘরে,
দেয়াল খসা ঝাপসা গায়সেই পুরোনো নোলক ছবি..!
মেয়েবেলার রেবেকার হুবুহু মুখের আদল..!
বয়স ছুটতে ছুটতে কখন যে লিখে ফেলছে চকচকে এক ছুটির ঘন্টা...!
শুনেছি রেবেকার এখন অনেক সময়,বাড়ির চৌহদ্দি পেড়িয়ে একলা জীবন...!
বাবা বলতেন,
"মেয়েদের রক্তে দেবীর বাস"' মা তখন বয়স আটাশ,
সাতবারের মত নতুন গর্ভবাস...!
স্কুলের টিফিনে ভুগোল স্যারের
নিশপিশ করা হাত যেদিন পিঠের উপর...
তারপর থেকে আর ভাবিনি কোনদিন...!
বছর ঘুরে ঢাকের কাঠি,
ধুপের গন্ধে নতুন জামা,
নারী কখনো দূর্গা হয় নাকি..?
শ্রেফ খড় কাঠের রক্ত প্রতিমা..!
ছেলেটা সন্ধ্যেবেলা মাথায় হাত বুলিয়শরীরের জ্বর মেপে গেছে হাতের তালুতে,
ঘরের চৌকাঠ পেরুনোর আগে
ফিসফিস করে বলে গেছে,
" আগামী পরশু আমাদের লন্ডন ফ্লাইট,
মাত্র কটা দিন মা,
সরকারি হোমসে খুব সুন্দর ব্যবস্থা,
তোমার দেখবে ভালোই লাগবে"...!
আমি কাঁদিনি একদম,
শুধু রেবেকার মুখটা হঠাৎ ভেসে গেলো চোখে...!
দলছুট সখি, আবার একসাথে,
শোধবোধের গল্পে সময়ের ঋণ ,ভাবনা শুধু,
ঘরের দেয়ালের মলিন দুর্গা একলা কেমন কাটবে যে দিন..?