Amitava Saha

Children Stories Horror

3  

Amitava Saha

Children Stories Horror

একটি ভূতুড়ে গল্প

একটি ভূতুড়ে গল্প

7 mins
1.1K


সেবার গ্রীষ্মের ছুটিতে মামাবাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলাম। তখন ক্লাস সেভেন কি এইটে পড়ি। ওখানে আমার সমবয়সী কয়েকজন বন্ধু জোগাড় হয়ে গেল। ওদের সাথে টইটই করে সারাদিন কেটে যেত। কখনও গুলি (মার্বেল) খেলতাম, কখনও ডাংগুলি, কখনও বা ক্রিকেট। মামাবাড়ি ছিল গ্রামে নদীর ধারে। চারধারে প্রচুর গাছগাছালি ছিল। আর নদীর ধারে বাড়ি হওয়াতে কি সুন্দর ঠাণ্ডা হাওয়া আসত! সেই সময় এখনকার মত খেলার জায়গার অভাব ছিল না। মামাবাড়ি থেকে মাইলখানেক দূরে সবুজের গালিচায় মোড়া একটা বিশাল ফাঁকা মাঠ ছিল। আমরা বন্ধুরা মিলে ঐ মাঠে ক্রিকেট খেলতে যেতাম। মাঠটা যেখানে শেষ হয়েছে, সেখান থেকে জঙ্গলের শুরু।

একদিন বিকেলবেলা আমরা ঐ মাঠে ক্রিকেট খেলছিলাম। পল্টু ছিল আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান। ও কেতা দেখাতে গিয়ে এত জোরে একটা ছক্কা হাঁকাল যে বল গিয়ে পড়ল জঙ্গলের কাছে একটা ঝোপে। আমরা সবাই মিলে ঐ ঝোপের মধ্যে বল খুঁজতে শুরু করে দিলাম। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও বল পেলাম না। ঐদিন আর খেলাও হল না। খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে ক্ষান্ত দেব ভাবছিলাম। এমন সময় ঝোপের মধ্যে হঠাৎ পায়ে একটা তারকাঁটার মত ফুটল। অসহ্য যন্ত্রণাবোধ হচ্ছিল। একপায়ে দাঁড়িয়ে আরেক পা তুলে কাঁটাটা উপড়ে ফেলে দিলাম। পাশেই দেখি চটের বস্তাকাপড়ের তৈরি একটা জরাজীর্ণ পুতুল ঝোপের মধ্যে পড়ে। হাতে নিয়ে মনে হল, বহুদিনের পুরনো আর ভেতরে ন্যাকড়া জাতীয় কাপড় ঠুসে দেওয়া হয়েছে। পুতুলের হাতপা বস্তাকাপড় কেটে চটের সুতো দিয়ে সেলাই করে বানানো। জামার বোতাম দিয়ে বসানো হয়েছে চোখ। মুখটা কালো সুতো দিয়ে সেলাই করা। বিচ্ছিরি দেখতে। কে বা ফেলে দিয়ে গেছে। আমিও ফেলে দিলাম। সেদিনের মত খেলার পালা সাঙ্গ করে বাড়ি ফিরে এলাম।

আমার মামাবাড়িতে অনেকগুলো ঘর ছিল, যদিও লোকজন বেশি ছিল না। দাদু-দিদিমা, মামা-মামী, আর আমার ছোট্ট ভাগ্নে। আত্মীয়স্বজনেরা যাতে মাঝেমাঝে এসে থাকতে পারে, সেজন্য অনেক বাড়তি ঘর ছিল। আর হ্যাঁ, কাজের লোক রমেশ ছিল। আমি যখন গেছিলাম, তখন দাদু-দিদিমা ছিলেন না; তীর্থ করতে কাশী গিয়েছিলান। মামা কাপড়ের ব্যবসা করতেন; সঙ্গে কিছু চাষাবাদও করতেন। সকাল থেকেই কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন। মামী ভাগ্নেকে পড়াতেন আর সেই সঙ্গে রান্নাবান্না করতেন। আমার জন্য ভালো ভালো খাবারও বানিয়ে দিতেন। আমি খেয়েদেয়ে বন্ধুদের সাথে খেলতে বেরিয়ে পড়তাম। সারাদিন টইটই করে খাবার সময় আবার হাজির হতাম। মামী অনেকসময় বকুনি দিতেন। বলতেন, “এসব বাঁদর ছেলেদের সাথে বেশি মিশো না। তোমার মা বলেছেন, দুবেলা মন দিয়ে পড়াশোনা করতে। তুমি তো দিব্যি ফাঁকি দিয়ে বেড়াচ্ছ”। আমি শুনতাম ঠিকই কিন্তু বন্ধুরা ডাকতে এলে আর থাকতে পারতাম না। “কদিনের জন্যই তো ঘুরতে এসেছি”, “স্কুল খুলে গেলে তো আর হইহই করতে পারব না” এসব টুপিটাপা দিয়ে বন্ধুদের সাথে খেলতে বেরিয়ে যেতাম। দু’একদিনের মধ্যে ভাগ্নের স্কুলও ছুটি হয়ে গেল। মামী ভাগ্নেকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে গেলেন। বাড়িতে রইল শুধু কাজের লোক রমেশ। মামা তো সারাদিন বাড়িতে থাকতেনই না; শুধু রাতে আসতেন ঘুমোতে। আমাকে আর উপদেশ দেওয়ার কেউ রইল না। আনন্দে আহ্লাদিত হয়ে উঠলাম। যেমন খুশি বনের পাখি মনের আনন্দে।

যাই হোক,সেদিন খেলা অসম্পূর্ণ রেখে ফিরে এলাম। রাত্রিবেলা শুয়ে আছি। কাঁটা ফোটার যন্ত্রণায় অনেক রাত অব্দি ঘুম আসছিল না, রাত একটা নাগাদ একটু তন্দ্রামত এসেছে। হঠাৎ মনে হল একটা হাসির রোল এ কান থেকে ও কান পর্যন্ত তরঙ্গের মত বয়ে গেল। কি হল ঠিক বুঝতে পারলাম না। হাসিটা ঠিক নির্মল হাসি নয়, মনে হল কানের কাছে কেউ এসে একটা বিদ্রূপাত্মক হাসি হেসে গেল। সেই সাথে আমার হৃতকম্পন বাড়িয়ে দিয়ে গেল। বিছানা ছেড়ে উঠে আলো জ্বাললাম। ঘরে কেউ ছিল না। ভয় ভয় করছিল। দরজা খুলে রান্নাঘরে গিয়ে রমেশকে ডাকলাম। ও সারাদিন পরিশ্রমের পর রান্নাঘরেই ঘুমাত। ও নাক ডেকে সে কি গভীর ঘুম! অনেক ডেকেও ঘুম ভাঙ্গাতে পারলাম না। ফিরে এসে ঘরে আলো জ্বালিয়ে রেখে ঘুমালাম।

পরদিন আবার বন্ধুবান্ধব নিয়ে খেলায় মেতে উঠলাম। আগের রাতের কথা মনে রইল না। খেলা করে ফিরে সন্ধেবেলা পড়তে বসলাম। পড়া শেষে খাওয়াদাওয়া করে বিছানায় শুতে গেলাম। সেদিন জ্যোৎস্না রাত ছিল। খোলা জানালা দিয়ে নদীর সুন্দর দৃশ্য দেখা যাচ্ছিল। ঘরের পাশ দিয়ে একটা মেঠো পথ আড়াআড়িভাবে চলে গেছে। তারপর থেকেই নদীর চর শুরু। চরের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে নদী। সুন্দর ঠাণ্ডা হাওয়া আসছিল। কখন ঘুমিয়ে পড়েছি খেয়াল নেই। মাঝরাতে প্রচণ্ড গরম লাগছিল। মনে হল হাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। চোখ মেলে জানালার দিকে তাকিয়েছি। মনে হল, জানলার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একটা ছায়া হুট করে সরে গেল। একটা আতঙ্ক বুকে বাসা বাঁধল। জানালার কাছে গিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি, কেউ নেই। আবার এসে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। কিন্তু মনের মধ্যে খুঁতখুঁত করতে লাগল, জানালায় বুঝি কোন অশরীরী দাঁড়িয়ে আছে। যতই ভাবি ওদিকে তাকাব না, তবু মন মানতে চাইল না। মন বলতে লাগল, “একবার দেখ না তাকিয়ে, কে আছে ওখানে দাঁড়িয়ে?”। কৌতূহলটা শান্তিতে থাকতে দিল না। মাথা তুলে আবার যেই জানালার দিকে তাকিয়েছি, আবার মনে হল কোন ছায়া হঠাৎ করে সরে গেল। আতঙ্ক মনের মধ্যে গেড়ে বসল। সেদিন রাতে আর একা ঘুমানোর সাহস হল না। রান্নাঘরের দরজায় জোরে ধাক্কা দিয়ে রমেশের ঘুম ভাঙিয়ে ওকে আমার ঘরে নিয়ে এসে ঘুমালাম।

পরদিন আর আগের রাতের কথা ভুলতে পারলাম না। সারাদিন ঘুরেফিরে আগের রাতের কথাই মনে পড়তে লাগল। শরীরটা ভালো লাগছিল না। বন্ধুরা ডাকতে এলেও সেদিন আর খেলতে যেতে ইচ্ছে করল না। সারাদিন বাড়িতেই বসে রইলাম। ভাবলাম, বাড়িতে বসে পড়াশোনা করি। কিন্তু পড়াতেও মন বসল না। খুব মনখারাপ করতে লাগল। সারাদিন শুয়েবসেই কাটালাম। সেদিন রাতেও রমেশকে নিয়েই ঘুমালাম। ও ব্যাটা সারাদিন পরিশ্রম করে রাতের বেলা মোষের মত ঘুমত। আমি খাটে শুয়েছিলাম, ও নীচে বিছানা করে ঘুমিয়েছিল। অনেক রাতে ঘুমের মধ্যে কিসের শব্দ শুনে ঘুম ভেঙে গেল। মনে হল কেউ ফিসফিস করে কথা বলছে। প্রথমে ভাবলাম, এত রাতে রমেশ আবার কার সাথে কথা বলছে। পাশ ফিরে দেখি, রমেশ দিব্যি ঘোড়া বেচে ঘুমোচ্ছে। ভালো করে খেয়াল করলাম, ফিসফিসানি আওয়াজটা আমার খাটের নীচ থেকে আসছে। ভীষণ ভয় পেলাম। খাটের নীচে যে উঁকি দিয়ে দেখব, সে সাহস হল না। অনেকক্ষণ পর শব্দটা আস্তে আস্তে কমতে কমতে একেবারে মিলিয়ে গেল। এসব আমার সাথে কি হচ্ছিল, কিছু বুঝতে পারছিলাম না। একটা অশুভ কিছু যেন প্রত্যেক রাতে বিভিন্ন রকম ভাবে তার উপস্থিতি প্রমাণ করার চেষ্টা করছিল। আমাকে ভয় দেখাচ্ছিল। 

পরদিন ক’দিন রাতে আমার ভালো ঘুম হল না। শরীর ক্লান্ত, অবসন্ন হয়ে পড়তে লাগল। উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনাও কমে গেল। একটা ভয় আমাকে সবসময় তাড়া করে বেড়াচ্ছিল। মনের শান্তি কেড়ে নিয়েছিল। একটা অবসাদ এসে ক্রমশ আমাকে গ্রাস করছিল। খেলাধুলা করার এনার্জিও পাচ্ছিলাম না। কেমন যেন ঝিমিয়ে গেলাম। বন্ধুরা আমাকে খেলার জন্য ডাকতে এসে ফিরে যেত।

রমেশ আমাকে একদিন বলল, “দাদাবাবু, এই কদিনে তুমি কেমন যেন ঝিম মেরে গেলে? তোমার কি শরীর খারাপ?”

আমি ওকে ক’দিন ধরে রাতে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো খুলে বললাম।

ও বলল, “চলো এক কাজ করি। এখানে বটতলায় এক সন্ন্যাসী বাবা বসেন। ওখানেই বাবার ধাম। উনি মানুষের অনেক ভালমন্দ বিচার করে থাকেন। ওনার কাছে গিয়ে তোমাকে একবার দেখিয়ে নিয়ে আসি”।

রমেশকে সঙ্গে নিয়ে ওনার সাথে দেখা করতে গেলাম। উনি যে বটতলায় বসতেন, সে জায়গাটা বেশিদূরে নয়। পায়ে হেঁটে মিনিট দশেকের পথ। ওখানে যাবার পর বাবার বৃত্তান্ত শুনে বুঝতে পারলাম, উনি একজন সিদ্ধপুরুষ। ওনার তিনকুলে কেউ নেই। গাছতলায় বসে ঈশ্বরের সাধনা করেন। ভক্তবৃন্দ এসে ফলফলাদি বিভিন্ন সামগ্রী রেখে যায়। উনি সেসবই আহার করেন। কেউ কোন সমস্যা নিয়ে এলে উনি প্রথমে তা শ্রবণ করেন। তারপর সমস্যা সমাধানের জন্য নানারকম উপায় বাতলে দেন।

আমি ওনাকে বললাম, “আমার শরীর-মন কোনটাই ভালো নেই। কেমন যেন একটা অবসাদ আমাকে ঘিরে ধরেছে”।

উনি জিজ্ঞেস করলেন, “কি ধরনের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে?”

আমি অনাকে কয়েকরাত্রি থেকে যেসব ভূতুড়ে কারবার ঘটছিল, সেসব খুলে বললাম।

উনি বললেন, “কবে থেকে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে?”

আমি সেদিন ক্রিকেট খেলতে গিয়ে পায়ে তারকাটা ফোঁটার কথা বললাম।

উনি তখন আমার ডানহাতটা ওনার হাতের তালুতে ধরে কিছুক্ষণ ধ্যানস্থ হয়ে রইলেন। ওনার হাতের স্পর্শ পাওয়ামাত্র আমার শরীরে এক অপূর্ব শিহরণ খেলে গেল। এক অশুভ শক্তির প্রভাব আমার উপর থেকে কেটে গেল মনে হল। শরীরে যেন এক নতুন স্ফূর্তি ফিরে পেলাম। মনেও অপূর্ব প্রশান্তি এলো। উনি কিছুক্ষণ পর চোখ খুলে বললেন, “যে স্থানে তোমার পায়ে তারকাঁটা ফুটেছিল, তার আশেপাশে নিশ্চয়ই কোন পুতুল পড়েছিল”।

আমি বললাম, “হ্যাঁ, ছিল তো”।

তখন উনি বললেন, “ঐ পুতুলটিতে ভুডুবিদ্যা প্রয়োগ করা হয়েছিল”।

আমি বললাম, “ভুডুবিদ্যা আবার কি?”

উনি বললেন, “অতীতকালে সমাজে কিছু লোক ছিলেন, যারা ব্ল্যাক ম্যাজিক জানতেন। এদের রোজা বলা হত। রোজাদের এমন কিছু ক্ষমতা ছিল, যার দ্বারা তাঁরা প্রেতাত্মাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন। প্রেতাত্মাদের দিয়ে তাঁরা অনেক অসম্ভব কাজ করিয়ে নিতেন। আমার যতদূর বিশ্বাস, কোন রোজা একটি প্রেতাত্মাকে ঐ পুতুলের মধ্যে কাঁটা দিয়ে বন্দি করে রেখেছিলেন। কারণ, প্রেতাত্মাটি রোজার দেয়াও কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি। তোমার পায়ে কাঁটা ফুটে কাঁটাটি পুতুল থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ায় প্রেতাত্মাটি মুক্তি পেয়েছে। তোমার আশেপাশেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। এজন্যই তুমি রাত্রিবেলা বিভিন্নরকম অতিলৌকিক ঘটনা প্রত্যক্ষ করছ”।

আমি বললাম, “এখন আমার করণীয় কী?”

উনি বললেন, “তুমি সঠিক সময়ে আমার কাছে এসেছ। ক’দিন পরেই অমাবস্যা। প্রত্যেক অমাবস্যায় প্রেতাত্মাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তখন ওরা চাইলে মানুষের অনেকরকম ক্ষতিসাধন করতে পারে। এখন আমি তোমাকে একটি রক্ষাকবচ প্রদান করব।

উনি কিছু গাছের শিকড়বাকড় একটা তাবিজের মধ্যে ভরে আমাকে দিলেন। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সুর্যনমস্কার করে কবচটি ধারণ করতে বললেন। বললেন, এটি ধারণ করে থাকলে প্রেতাত্মা আমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।

আরেকটি কথা বললেন, “আমার মনে হয়, তুমি একবার ঐ প্রেতাত্মাটির সম্মুখীন হবে। কিন্তু ভয় পেয়ো না। সেরকম হলে মা দশভুজার মন্ত্র জপ কোরো। সমস্ত বিপদ কেটে যাবে”।

আমি পরদিন সকালেই রক্ষাকবচটি ধারণ করলাম। সেদিন রাত্রি থেকে পরপর তিন-চার দিন আর কোন ব্যাপারস্যাপার ঘটল না।  

মনে অনেকটা সাহস পেলাম। তারপরই একদিন রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে দেখি, গলা থেকে পা পর্যন্ত সাদা আলখাল্লা পরা একটা একটা আবছা মূর্তি ঘরের এককোণায় দাঁড়িয়ে আছে। মুখের জায়গাটা অন্ধকারাচ্ছন্ন। ভয়ে আমার বেহুঁশ হবার অবস্থা। বুকের মধ্যে সমানে হাতুড়ি পিটছিল। তার মধ্যেই আমার সন্ন্যাসী বাবার কথা মনে পড়ল। ওনার কথামত চোখ বন্ধ করে একাগ্র চিত্তে মা দশভুজার মন্ত্র জপ করতে শুরু করলামঃ

ওম সার্বা স্বরূপা সার্বেশা, সর্ব শক্তি সমনভিতা

ভায়াভায়াসত্রাহি নো দেভি,

দূর্গা দেবী নামাস্তুতে…

মন্ত্রোচ্চারণ করার পর চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি,মূর্তিটা অদৃশ্য হয়ে গেছে। কদিন পরেই আমার স্কুল খুলে গেল। বাড়ি চলে এলাম। কিন্তু সেই মূর্তি আর কখনো চোখের সামনে আসেনি।

সেবার মামাবাড়ি গিয়ে সেই ভূতুড়ে অভিজ্ঞতার কথা আজও ভুলতে পারিনি।


Rate this content
Log in