বাসাংশি জীর্ণানি...
বাসাংশি জীর্ণানি...
ঘুম ভেঙেই চমকে গেলেন পরিমলবাবু। বিছানাতে শুয়েই শোনা যাচ্ছে , জানালায় পাখীদের কলরব। শালিখ দোয়েল বুলবুলি চড়ুই এর কলকাকলিতে মুখরিত চারিপাশ। বালিগঞ্জের সাততলার ফ্ল্যাটে তার ঘুম ভাঙছে পাখীর ডাকে! তাড়াতাড়ি ঘরের বাইরে বেরিয়ে এলেন তিনি।
এবং আবার চমকে গেলেন। একি কান্ড! যতদূর মনে পড়ছে রাতে শুতে গেছিলেন বালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে। অথচ ভোরবেলায় জেগে উঠেছেন তার শৈশবের কুমারগঞ্জে! কোন মন্ত্রবলে যেন সানরাইজ এপার্টমেন্ট হয়ে গেছে মাটির দালানকোঠা। একটু দূরে কলকল বয়ে যাচ্ছে চূর্ণী। দেখা যায় কবেকার হালদারবাগান! দেখা যাচ্ছে আকাশ! বেঁচে থাকতে আ
রেকবার দেখবেন ভাবেননি।
"ছোটখোকা!"
"পারু!"
আরেকবার চমকে উঠলেন পরিমলবাবু। কখন যেন বাবা মা এসে দাঁড়িয়েছেন তার পাশে!
"পরিদা!"
এবারে আর চমকালেন না পরিমলবাবু। স্বপ্না বড় নরম, ভোরের শিউলির মতো স্নিগ্ধ মায়াময় লেবুগন্ধী একটা মেয়ে। পরিমল শহরের কলেজে পড়তে গেছিলেন। সে আমলে টাইফয়েডের ভালো চিকিৎসা ছিলো না। স্বপ্নার টাইফয়েড হয়েছিলো।
পরিমলবাবুর চোখে ভেসে উঠছে বিগত অতীত জীবনের খন্ডচিত্রের কোলাজ।
স্বাগত, হে মরণ!
(সমাপ্ত)