স্কুলজীবন
স্কুলজীবন
হাঁটত না তো মেয়েটি, স্কুলে নিয়ে যেত করে পাখি
পিছে দেখার তাগিদেতে, পিছিয়ে পড়ত সে
মেটে না যে আকাঙখা তার, বলতে পারে কে?
কী যে দেখা হয়নি, কী যেন রয়ে গেল
স্কুলজীবনের অম্লমধুর, নানারঙের দিনগুলো।
ছেলেবেলার উজল- উথল, বাঁধনছাড়া দিন
অপ্রতিরোধ্য সুর বেজে যায়, রিনরিন, রিনিঝিন।
কাচের চুড়ি, ছেঁড়া রাখি, পাখির পালক সাতরঙা
আধা মার্বেল, রঙিন পাথর, মাছধরা সেই মাছরাঙা।
জন্ম আড়ির পরে পরেই গলায় গলায় ভাব
এলাটিং বেলাটিং, ইমড়ি মিকড়ি কোথায় গেল সব?
মার- বকুনি অগ্রাহ্য, ধুল-ভরা মাঠ টানে
স্কুলজীবনের গাদ্যি খেলা, পুকুর ঘাটের পানে।
ভাইয়ের সাথে মাছধরা, প্যাণ্ডেলের ওই বাঁশ চড়া
ঝুলন- পুতুল, মাটির মিষ্টি, আরও কত কত অনাসৃষ্টি
ভাল লাগত কাক ডাকা, মন কেমনের দুপুর খাঁ খাঁ
মেঘ ডাকা সে মেঘলা দিনের, খুঁজতে মা'কে ডাক ছাগলের
বাদল দিনের বৃষ্টি ধোওয়া, মাটির সোঁদা বাস
ভূট্টা পোড়ার গন্ধে আকুল, আকাশ- বাতাস।
কুয়াশা মাখা শীত সকালে, ঘাসে- পাতায়, ডালে ডালে
ছোট ছোট পায়ের নাচন, কান্না- হাসি, নিষেধ- বাঁধন
জঙ্গলের ওই পাগল করা উগ্র মাদক গন্ধ
সরিয়ে দূরে পড়ার বই... বড়ই নিরানন্দ।
পরীক্ষারই গন্ধে ভরা সেই যে সকল দিন
থাকে আশায় অবকাশের, পড়াশোনা- হীন।
বন্দিনী এই রাজকন্যা ফিরে ফিরে দেখে
ফেলে আসা তেপান্তরের দেশ যে ডাকে তাকে।
সাত সমুদ্দুর, তেরো নদীর পার...
ফেরা তো আর যাবে না কখনও
কখনও, সেখানে আর।