হল না বলা
হল না বলা
তোমাদের বাড়ি তখন যেমন ছিল, এখনও যেন তেমনই
তফাৎ কিছু দেখি না
সেই পরিস্কার লেপা উঠোন, তুলসীমঞ্চ
বনতূলসীর বেড়া
ছোট পুকুরটার পাড়ে সাড়ি দিয়ে কাঞ্চন ফুলের গাছ
টালির চাল ইটের দেওয়াল
সিমেন্টের মেঝে, উঠোনে সিঁড়িটা লাল
তবে আম গাছটার মাথার উপরে চাঁদটা ছিল
তোমার ঘরের জানলা গলে ছড়িয়ে ছিল সারা বিছানায়
এখন আম গাছটা বড় হয়েছে
ছায়া ফেলেছে পুরো উঠোন জুরে….
সে রাতে খুব সাবধানে দরজার খিলটা নামিয়ে
পা টিপে টিপে বাইরে এসেছিলাম
ঘুমে ডুবে ছিল সব
চলে এসেছিলাম বাড়ির পিছন দিকটায়
জোৎস্নায় তোমাদের উঠোন, শ্বেতপাথরে বাঁধানো মনে হচ্ছিল
বেড়া টপকে আমি তোমার কাছে গিয়েছিলাম
তোমাকে দেখতে
একটা হালকা হাসি দু ঠোঁটের মাঝখানে চেপে
তুমি ছিলে একটা মিষ্টি ঘুমে
ইচ্ছে করছিল তোমাকে ডাকি
ডেকে বলি, চুপ চুপ, ভয় পেও না, আমি….
কিন্তু তোমরা তখন নতুন এসেছো
তোমার সাথে পরিচয় হয় নি তখনও
চোখ খুলেই তুমি আমাকে দেখলে
মেয়েকে আর একটু কাছে টেনে জরানো গলায় বললে, 'এখনো ঘুমওনি
কাল সকালে তোমার অফিস আছে কিন্তু'
মেয়ের পাশে শুয়ে পড়লাম
হল না বলা
আজও সেদিনের সে কথা, হল না তোমাকে বলা ।।
