কাজের মাসীর গপ্পো
কাজের মাসীর গপ্পো


অরুণা মাসি-আমার বাড়ির কাজের লোক
বয়স মাসির মতো না হলেও,
কলকাতা শহরে এটা চলমান সত্যের মতো..
কাজের লোক মানেই মাসি,থুড়ি কাজের মাসি।
গরীব, কিন্তু নিজের মতো করে সংসার গুছিয়ে
সন্তান সন্ততি পালন করে দিন গুজরান করে দিচ্ছে।
অথচ কষ্ট, বুকে বিদ্যমান।
মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়ে বড় করতেই,মেয়ে বলে,
"আমার বিয়ে দাও- পাশের পাড়ার ছেলের সাথে।
ও গাড়ির গ্যারেজে কাজ করে ,আমি সুখী থাকবো।
আমার বিয়ে দাও।"
মেয়ের বয়স ষোলো।
অরুণা মাসী লোকের বাড়ির এঁটো পরিষ্কার করে,
সকাল চারটায় উঠে থেকে লোকাল ট্রেনে
এক জেলা থেকে অন্য জেলায় পাড়ি দেয়,
গ্যাস এর খরচ বাঁচাতে কাঠ কুড়ানী মাসিও হয়ে যায়।
তিন জনের সুখী পরিবার দুঃখের প্যান্ডোরা বক্সটা
অনেকদিনই বন্ধ ছিল।
মায়ের দুঃখ কম ভাত খাওয়া,সকালে ওঠা, সন্তান সন্ততির
খাবার বানানোয় নয়...তাদের অবহেলায় ।
গরীব,সুখ আর দুঃখের গপ্পো চলতেই থাকে।।