অমৃত দাও ঢেলে
অমৃত দাও ঢেলে


পৃথিবীর আঁচলে অভিমান জমছে,
কেড়ে নিই জোনাকির নিশাচর বৃত্তি,
মাতৃ ক্রোড়ে অভিশাপের কাঁটা।
বীর্যবান হচ্ছে বসুধা সন্তান, স্খলিত অহমিকা চিতার আগুনে,
পাশবিক আচরণে বিভ্রান্ত বিধাতা,ক্ষীণ হয়েছে চোখের দৃষ্টি।
ভেসে যায় স্বাদের সৃষ্টি,অসহায় হয়েছে নিজেই,
মৃত্যুমালা গাঁথা হয়ে আছে শতাব্দী ধরে,
মানুষ একটু মানুষ হতে শিখল কি?
স্বার্থের নক্সিকাঁথা চাটুকারের নামাবলি,লুটে নেয় লোভাতুর নেশা নয়ন,
স্বজাতির রক্তের দাগ নখে দাঁতে বিভেদ টুকু অজুহাত,
ব্যবস্থা গোটাই দূষিত।
কলঙ্ক প্রাচীর শক্ত হতে হতে পাষাণের দুষ্টু দেবতা করছে বাস,অন্তরে,
ক্ষমতার বেড়ি পায়ে প্রলুব্ধ হচ্ছে নিত্য জীবন।
অন্ধ সাগরের কৃষ্ণ পাঁকে সভ্যতার মরণকাল,
বিষধর সর্প ছোবল অজানা মৃত্যুর আমন্ত্রণ।
আর কি সাজে তোমার যুগ নিদ্রার জেগে উঠো যত আছো ঈশ্বর,
ধরণীর ললাটে দাও এঁকে প্রগাঢ় দুঃখ মৃত্যু প্রশমন চুম্বন,
গরল তুলে নিয়ে অমৃত ঢাল অবোধ প্রাণের রক্ত ধারায়।