প্রশ্ন
প্রশ্ন


হে পুরুষ,
কোনো একদিন সৃষ্টির আদিকালে আমায় তুমি মাতৃরূপে বন্দনা করেছিলে...
কালের যাত্রাপথে আমারই একান্ত সঙ্গলাভের আশা তোমাকে বারবার মহাকাব্য লিখতে সাহায্য করেছে...
আমার রূপে তুমি বারংবার মোহিত হয়েছ!
কখনো বা তোমার কলম কেঁপেছে ফেলে আসা দিনগুলোর দীর্ঘশ্বাসে!
বেশ তো ছিলাম আমি,
মাতৃরূপে, স্ত্রীরূপে,তোমার চিরকালীন প্রেমিকা রূপে...
কেন পেতে চাইলে আমাকে কন্যা রূপে?
যখন তুমি নিশ্চিত ছিলে না এ পৃথিবীর পরিবেশ শিশু কন্যার বাসযোগ্য কিনা!
তুমি কি একটিবার ভেবে দেখনি
যে নারীকে তুমি দিবারাত্রি ভালবাসার গান শোনাতে চেয়েছ,
আবার তাকেই অবহেলা, অসম্মানের মুখোমুখি দাঁড় করাতে কি একবারও বুক কাঁপেনি তোমার?
অপমানিত দ্রৌপদীকে ভরা সভার মাঝে নৃত্যরত দেখে পুরুষরূপী অমানুষের দল যখন উদ্দামতায় বিলীন,
তখন কি একবারও বুকের মধ্যিখানে ধিক্কারের আগুন জ্বলেনি পিতা পুরুষ তোমার?
তবে কেন সারাজীবন ভালবাসার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছিলে
যদি স্বামী হয়ে স্ত্রীর প্রতি দায়িত্ব পালনে ছিলে অক্ষম?
আজ ভেবে দেখার সময়কাল প্রস্তুত...
বিদায়ের বাঁশী কোন ক্ষণে বেজে গিয়েছে...
কালের ঘুম ভাঙতে আজ আর বেশি দেরি নেই...
হে পুরুষ,
তোমার উদ্দেশ্যে বলি,
চিরকালীন জবানবন্দীতে মুহূর্তকালীন সুখানুভূতিকে উল্লেখ করতে ভুলো না...
কারণ তাদের ছাড়া সম্পূর্ণ অস্তিত্ববিহীন আজ তুমি...
অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইতে টিকে থাকতে হলে আজ আমাকে স্বীকার করো...
সকল রূপে...
আমার অন্তর্নিহিত রূপ তোমার দু চোখ আবিষ্কার করুক...
প্রতিটি নিস্পাপ মুহূর্তরা তার সাক্ষী হোক...
অন্ধকার রাত্রির আকাশ ভরা তারারা তোমার অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই তে সঙ্গী হোক..
এই একান্ত কামনা করি...
হে পুরুষ !