মন্টু পাগলা
মন্টু পাগলা


কাজ করত টেলিফোনে
যেত আসত রোজ,
থাকত সে আপন মনে
রাখত না কেউ খোঁজ।
কোন এক গ্রীষ্মকালে
বিগড়ল যেই মাথা,
প্রচার হল মাহাত্ম
লোকে জানল তার কথা।
পদবী চক্রবর্তী,
নাম মন্টু তার,
একডাকে এলাকায়
চেনা সে সবার।
সকালেতে বের হয়
লাঠি হাতে নিয়ে,
গরমেও ঘুরে বেড়ায়
সোয়েটার গায়ে দিয়ে়।
(নেই)মুখ ধোয়া, স্নান করা,
জামা কাপড় কাচা,
এসব থেকে পছন্দ তার
মাঝ রাস্তায় নাচা।
ডিউটিতে বের হয়
প্রায় প্রতিদিন,
চায়না কখনও সে
থাকতে কর্মহীন।
কোলকাতা শহরের
বড় বড় মোড়,
নিয়মিত মন্টুচরণ
লাঠি হাতে ঘোরে।
ট্র্যাফিক কন্ট্রোল করে
যেমনটা চায় মন,
শঙ্কিত পুলিসের কাজে
ঘটে ছন্দপতন।
চাকরি থেকে পেয়েছে
পাওনা মোটা টাকা,
পেনশনের টাকাটাও
যত্নে আছে রাখা।
চার পাঁচটা ব্যাঙ্কে
খাতা আছে খোলা,
নমিনেশন ছাড়াই আছে
তাতে লক্ষ টাকা ফেলা।
এত কিছুর পরেও মন্টু
দু পাঁচ টাকা চায়,
দিলে পরে খুব ভাল
নইলে মেজাজ বিগড়ে যায়।
কথা বলে আছে সুখ
যখন ভাল থাকে মন,
কিন্তু শুরু হলে গালমন্দ
পালায় মানুষ জন।
এক সন্ধ্যেবেলায় রেল লাইনে
এক বৃদ্ধ ছিল পড়ে,
রটে গেল সারা গ্রামে
মন্টু গেছে মরে।
পরদিন সকালে চেঁচায়
হাতে নিয়ে ঝ্যাঁটা,
‘বল কোন ব্যাটা রটিয়েছে
আমি ট্রেনে পড়েছি কাটা?’