শুভলগ্নের প্রতীক্ষা
শুভলগ্নের প্রতীক্ষা


ইচ্ছামতী নদীর পাড়ে
স্তব্ধ রাতের অন্ধকারে
এক অন্ধপুরীর আঁতুড়ঘরে
জন্ম হল তার-
জন্মলগ্নে মাতৃহারা
উপেক্ষিত পিতার দ্বারা
অবহেলা আর অনাদর ছাড়া
কিছুই পেলনা আর।
বয়স তার পেরোতেই নয়
আত্মীয় পরিজন পিতাকে কয়
এই তো কন্যাদানের আসল সময়
এক মুঠো চালে ঋণ শোধ দিল সে-
পিতা তার যৌতুকে ব্যর্থ
নতুনাবাসে তাই নির্যাতিত
স্বামীর দ্বারা সদা লাঞ্ছিত
বছর ঘুরতেই জননী হল সেই ছোট্ট মেয়ে।
কন্যাদায় অস্বীকার করে
মদ্যপ স্বামী তারে
দূর করে দিল বহু দূরে
আশ্রয় টুকুও হারিয়ে ফেলল যে-
কোলে তার একরত্তি মেয়ে
পুরুষজাতির লালসায় ছেয়ে
আত্মসম্মান রক্ষার ন্যায়ে
সন্তান কোলে দৌড়ে বেড়াল সে।
শেষ প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হল
বর্বর পশু ছিঁড়ে গেল
নিষ্পাপ শিশুটিও বলিদান গেল
এক কলঙ্কিত নগরীর মৃত্যুপুরীতে হারিয়ে গেল তারা-
বিধির বিচার পেলনা অবলা
অন্যায় এ হেন করছে পাপীরা
বিসর্জিত আজ ও শতকোটি নারীরা
কোন শুভলগ্নে সমাজচক্ষে স্বীকৃতি পাবে তারা?