শরৎ এলো ওই (শারদ সংখ্যা )
শরৎ এলো ওই (শারদ সংখ্যা )


শ্রাবণ শেষের বিকেলবেলায়,
শ্যামলা-কালো মেঘের খেলায়,
ফুলের গায়ে ফড়িং যখন ঝিলমিলিয়ে হাসে;
রুমঝুমিয়ে বৃষ্টি বাজে
মুক্ত জমে পাতার ভাঁজে;
হঠাৎ তখন পূজোর বইয়ের গন্ধ ভেসে আসে।
সান্ধ্যকালীন রোজনামচায়,
তেলেভাজা - এককাপ চা'য়
মিতিনমাসি,ফেলুদাদের গল্প জমে ওঠে,
ঘুরতে ঘুরতে পরীর দেশে
বৃষ্টি মাখা ঘুমের শেষে -
এক সকালে চোখ মেলতেই সোনার আলো ফোটে।
আকাশ জুড়ে নীলাম্বরী,
শ্বেতশুভ্র মেঘের তরী,
ভ্রমর এসে জলসা জমায় শিউলি ডালের কাছে,
কাশের বনে, হাওয়ার দোলায়,
নদীর জলে ঢেউ খেলে যায় -
মৌমাছিরা খবর পাঠায় - শরৎ এসে গেছে!
p>
মফঃস্বলে, রাস্তা পাড়ে,
শপিং মল আর দোকান বাড়ে;
বিকেল আলোয় দরদামেতে নতুন জামার খুশি।
ঠাকুরদালান, কুমোরঘরে
গঙ্গামাটির প্রলেপ পড়ে।
লাটাই-ঘুড়ির প্যাঁচে পড়াশোনায় গড়িমসি।
পূজোর গানে আবেশ জড়ায়
দিন গুনতে দুপুর গড়ায়,
সন্ধ্যেবেলা পাড়ার মাঠে হ্যাজাক জ্বলে ওঠে ,
শিমূলতুলো-আলতাপাটি,
থিম প্যান্ডেল জমজমাটি;
ব্যস্ত হাতে,কাঠামোতে মা'র মূর্তি ফোটে।
দেখতে দেখতে প্রহর কাটে
আগমনী চণ্ডীপাঠে-
মঙ্গল-শাঁখ বেজে ওঠে বাংলা ঘরে ঘরে।
ষষ্ঠীবোধন, চক্ষুদানে
পূজোর ছুটির গানে গানে
মা-দুর্গা আবার ফেরেন একটি বছর পরে।