কবি প্রনাম
কবি প্রনাম


কবিগুরু তুমি,
এক আকাশ গান আর এক সাগর কাব্য দিয়েছো আমায়,
এত সব আমি রাখি কোথায়?
তাই তো জীবন থেকে জীবনে প্রবহমাণ তোমার উপহার,
এক জীবনে আমি এত পেয়েছি! এ আমার অহংকার।
কবিগুরু,
তুমি পথের চিহ্ন এঁকে দিলে লোক-লোকান্তরে,
সেই পথেই আমরা হেঁটে চলি যুগ-যুগান্তরে।
রবির আলো প্রকৃতিতে প্রানের স্পন্দন জাগায়,
তোমার কিরণ মোদের আবার বাঁচতে শেখায়।
ঋতুরঙ্গের এমন বৈচিত্র্য আর আছে কোথায়,
সেই রঙেতে মন রাঙিয়ে শুধু গাইতে চাই।
তোমার কথার পল্লবেতে বসুন্ধরা সাজে,
বসন্তের আহ্বানে কোকিলের কুহুতান বাজে।
কবিগুরু,
মনে পড়ে সহজ পাঠের শেষ পাতাটার লেখা,
পুজোর সানাই..সোনারোদ্দুর.. সেই সুন্দর শরতে;
এখনো পুজো আসে, নদীর ঘাটে লাগেনা আর নৌকা,
সহজ পাঠের সেই ন্যাংটো শিশু আবার বলে বাঁচতে।
আচ্ছা, অমল কি এখনো দইওআলাকে ডাকে?
পাঁচমুড়া পাহাড়.. শামলী নদী..ওর কি মনে থাকে?
কবিগুরু দইওআলাকে ফিরিয়ে আনো তবে,
এখনোতো অমলরা আছে তাদের কথা ভাবে।
প্রহরীর ঘন্টা এখনো কি বলে? 'সময় বসে নেই',
অমল নিশ্চই বসে থাকে আগের মতো সেই।
ঐ ভারতের মহামানবের সাগরতীরে রুদ্রবীণা শুনি,
কালের কপোলতলে লেখা আছে তোমার বাণী;
আজও অনুসরণ করি প্রতিক্ষণ,
তোমায় সশ্রদ্ধ প্রনাম করি নিবেদন।