দীয়া বিশ্বাস
দীয়া বিশ্বাস
![](https://cdn.storymirror.com/static/1pximage.jpeg)
![](https://cdn.storymirror.com/static/1pximage.jpeg)
আজকের দিনে একটি "ভুল জন্মে"র নাভি থেকে
অপরূপা পরী এক উড়েছিল তার সমস্ত পালক নিয়ে।
সূর্যের গায়ে লেগে ছিল আজকের মতই ভাদ্র রোদ...
বিছিয়ে দিয়েছিল সে; গর্ভজলে ভিজে চুপচুপ দুটি ডানা।
ও ডানা মেলতেই পুষ্প বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছিল সূর্য।
সেইসাথে সারারাত অসহ্য জন্ম যন্ত্রণায় ছটফট করেছিল একটি পথ।
পৃথিবীর আদিম পথ।
জন্মনাড়ি;বার্থকর্ড।
মানুষেরা কেটে ফেলে দিলে সেও আধভেজা শরীর নিয়ে শুয়ে যায় বুকে।
জীবনের পথ হবে বলে।
সে ভাদর রোদ, প্রসূতি হরিণীর জিহ্বা যেন।
একটি চঞ্চলতা, হৃৎপ্রকোষ্ঠ হতে হাঁটানো শেখায়,
তারপর গভীরতা পেলে এমনিই দৌঁড়াতে জানে জল।
স্রোত হয়।
এ তো এক অনন্ত নিয়ম।
যেখানে কোনো বিজ্ঞান ছাড়াই নিরেট, নিখুঁত গোল হয় সূর্য।
এ তো এক ব্রহ্ম সূত্র।
কারো অনুমতি ছাড়াই 360 ডিগ্রির পৃথিবীর অর্ধেক রাত,
আর অর্ধেক দিনে ফুল ফোটে
তবুও তো পৃথিবী আকাশের মত নীল হয়।
আদিম পথ এ বার্থকর্ড।
একটি জীবন চলবে ব'লে মৃত সরীসৃপ হয়।
পরী আর শুভ্র ডানায় রাখে ইন্দ্রধনুষ
পাখির মত রঙিন হয়,পালকে পালকে বায়ু কেটে উড়ে যায়
দূর বহুদূর।
তখনও পুষ্প বৃষ্টি নামে।ফুল ফোটে।সুগন্ধ ছড়ায়।
এ ভাদ্র জলে ভিজতে ইচ্ছে করে পরীর, জলজল জমা জলে পাখি পা রাখতেই
মানুষের মত এগিয়ে যায় তার প্রথম হাঁটা।
পরীর তখন একবছর বয়স।
এখন তার দিকে চাইলে বিগত আমির স্মৃতি ওড়ে।
বিগত মেঘের মত কিছুটা স্পষ্ট।
একুশে ফেব্রুয়ারির মাতৃভাষায় ডুবে যাচ্ছে আজকে পরী।
ওর পায়ে একুশটি গোলাপ রেখে বলতে ইচ্ছে করছে....
ও মেয়ে তুই
"হিরণ্যবর্ণা হরিনিম... সুবর্ণা রজতাস্ত্রজম।
চন্দ্রাম হিরণ্যময়ীম লক্ষীম জাতবেদো মহাবহা।"