ঠিকানা চাও ? বল্‌ছি শোন ;

কান করে কট্ কট্ ফোড়া করে টন্‌টন্—

মাঝে মাঝে তেড়ে ওঠে, মাঝে মাঝে রেগে যায়

মালপোয়া আধখানা কাল থেকে আছে ।

খুড়ো বলে, 'বলব কি আর, হাতে আমার পষ্ট লেখা'

খ্যাঁশ্‌ খ্যাঁশানি শব্দে যেন করাত দিয়ে কাঠ চেরে !

ভাবছি মনে, হাসছি কেন ? থাকব হাসি ত্যাগ ক'রে,

সাবান কালি দাঁতের মাজন বানাবার সব কায়দা কেতা

ক্যান্‌রে ব্যাটা ইসটুপিড ? ঠেঙিয়ে তোরে কর্‌ব ঢিট্ !

"দাঁড়ে দাঁড়ে দ্রুম্ ! দেড়ে দেড়ে দেড়ে !"

ওরে গোপাল গোটাকয়েক পান দিতে বল্ খেঁদিকে ৷

এটি একটি ছোটোদের হাস্যরসাত্মক , হাস্যোজ্জ্বল , খুশির কবিতা ।

পটলবাবুর হোম্‌রা গলা মিল্‌ল ট্যাঁপার চিকন সুরে জাগ্‌ল করুণ রাগরাগিণী বিকট তানে আকাশ জুড়ে।

রেগে লালমুখে মারে ঠন্‌ ঠন্‌ পায়ে কাল্‌সিটে বুঝি ঠাং যায়

কিম্বা যখন বিপুল আহারে,তেড়ে দেয় পাতে পোলাও কালিয়া পায়েস অথবা রাবড়ি ঢালিয়া-তখন কি করি, আমি নিরুপায় !

আর চ'টো না, আর শুনো না, ঠ্যাঁটা মুখের টিপ্পনি, ওদের কথায় কান দিতে নেই, স'রে পড় এক্ষনি ।

অনাহারী সম্পাদকী হাড়ভাঙা খাটুনি সে । জানে তাহা ভুক্তভোগী অপরে বুঝিবে কিসে ?

স্নান করে গাছপালা প্রাণখোলা বরষায়, নদীনালা ঘোলাজল ভরে ওঠে ভরসায় ।

ভোরের কোণে লাজুক আলো নয়ন মেলে চায় ।

মোমের পুতুল ঘুমিয়ে থাকুক্‌ দাঁত মেলে আর চুল খুলে- টিনের পুতুল চীনের পুতুল কেউ কি এমন তুলতুলে ?

দুঃখ সুখের ছন্দে ভরা জগৎ তারও আছে, তারও আধার জগৎখানি মধুর তারি কাছে।

তাইতে হল নাচের নেশা, হঠাৎ হঠাৎ নাচন পায়, বসতে শুতে আপ্‌নি ভুলে ডিগ্‌বাজি খাই আচম্‌কায় !

দাদা গো দাদা, সত্যি তোমার সুরগুলো খুব খেলে !

দেখ্‌‌বে সেথায় ডাইনে বাঁয়ে পথ গিয়েছে কত তারি ভিতর ঘুরবে খানিক গোলকধাঁধার মত ।

রাজা বলে, "মন্দ ভালো দেখুক শুঁকে বদ্যি, " বদ্যি বলে, "আমার নাকে বেজায় হল সর্দি ।"

কারোর কিছু চাই গো চাই? এই যে খোকা, কি নেবে ভাই

দুপুর রোদে ঘামিয়ে তায় একুশ হাতা জল গেলায়।।

হুড়মুড় ধুপ্‌ধাপ্ – ওকি শুনি ভাই রে ! দেখ্‌ছ না হিম পড়ে–যেওনাকো বাইরে ৷

কেউ কি জান সদাই কেন বোম্বাগড়ের রাজা ছবির ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখে আমসত্ত ভাজা ?

শুন্‌ছি নাকি খিদেও পায় সারা দিন না খেলে ? চক্ষু নাকি আপনি বোজে ঘুমটি তেমন পেলে ?

কিন্তু সবার চাইতে ভাল— পাঁউরুটি আর ঝোলা গুড় ।

'নই ঘোড়া, নই হাতি, নই সাপ বিচ্ছু, মৌমাছি প্রজাপতি নই আমি কিচ্ছু ৷

কাটা ছেঁড়া ঠুক্‌ঠাক্, কত দেখ যন্ত্র, ভেঙে চুরে জুড়ে দেই তারও জানি মন্ত্র ৷

মেরামত দিনরাত কেরামত ভারি, থুর্‌থুরে বুড়ী তার ঝুর্‌ঝুরে বাড়ী ৷৷

ছেঁচকি শাকের ঘন্ট বেটে মাথায় মলম মাখে ; শক্ত ইঁটের তপ্ত ঝামা ঘষতে থাকে নাকে ।

চাঁদের আলোয় পেঁপের ছায়া ধরতে যদি পারো, শুঁকলে পরে সর্দিকাশি থাকবে না আর কারো ।

লিখলো তাতে – "শোনরে জগাই, ভীষণ লড়াই হলো, পাঁচ ব্যাটাকে খতম করে জগাইদাদা মোলো ।"

সামনে তাহার খাদ্য ঝোলে যার যে–রকম রুচি— মণ্ডা মিঠাই চপ্ কাট্‌লেট্ খাজা কিংবা লুচি ।

ব্যস্ত সবাই এদিক ওদিক করছে ঘোরাঘুরি, বাবু হাঁকেন, "ওরে আমার গোঁফ গিয়েছে চুরি !"

কোন্ কাঠ পোষ মানে, কোন কাঠ শান্ত, কোন্ কাঠ টিম্‌টিমে, কোন্‌টা বা জ্যান্ত ।

ছাগলের পেটে ছিল না জানি কি ফন্দি, চাপিল বিছার ঘাড়ে, ধড়ে মুড়ো সন্ধি !

আয় ক্ষ্যাপা–মন ঘুচিয়ে বাঁধন জাগিয়ে নাচন তাধিন্ ধিন্

কাঁদন ঝরে শ্রাবণ ধারে, ক্ষান্ত দেবার নামটি নেই !

তোমায় আমি চিবিয়ে খাব এমন আমার সাধ্যি নেই !

ফুঁয়ের জোরে পথের মোড়ে উল্টে পড়ে গরুর গাড়ী !

সদাই মরে ত্রাসে– ঐ বুঝি কেউ হাসে !

কিন্তু তারা উচ্চ ঘর, কংসরাজের বংশধর !

শিলনোড়া খেতে চায় দুধ ভাত ফেলে !

গাইতো সে সারাদিন 'সারে গামা টিম্‌টিম্' আহলাদে গদ–গদ মূর্তি ৷

সেই সাপ জ্যান্ত গোটা দুই আন্‌ত !

বিদ্‌ঘুটে তার গল্পগুলো না জানি কোন্ দেশী, শুনলে পরে হাসির চেয়ে কান্না আসে বেশী ৷

সুরে সুরে কত প্যাঁচ গিট্‌কিরি ক্যাঁচ্ ক্যাঁচ্ !

“বেহাগ তো নয়! বসন্ত রাগ৷”

প’ড়ে গেল গাড়ি চাপা রাস্তার মাঝারে!

নাহি তার জবাব কোন কুলকিনারা নাইরে হায়।

ভয়ানক ক’মে যায় খাবারের ভাগেতে

গানের তালে শিং বাগিয়ে মারলে গুঁতো পশ্চাৎ।