ম্যাচ
ম্যাচ
আজ মনে হয় ইণ্ডিয়া পাকিস্তানের 'ওয়ান-ডেে' ম্যাচ ছিল। ইণ্ডিয়া জিতেছে, দুমদাম বাজি ফাটছে। বিল্ডিংয়ের সব শচীন, সৌরভের দল সামনের লনে সশব্দে চকলেট বোমা ফাটাচ্ছে।
দোতলার ফ্ল্যাটের জয়ী, গজগজ করতে করতে চারিদিকের জানলাগুলো বন্ধ করতে লাগল। সামনে দুই ছেলেমেয়েরই অ্যানুয়াল পরীক্ষা। দুজনকে নিয়ে ওর অনেক স্বপ্ন। পলাশের রোজ রোজ নোংরা অপমানও নিঃশব্দে সহ্য করে ও, বাচ্চাদুটোর মুখ চেয়ে।
জয়ীর ঠিক ওপরের ফ্ল্যাটের প্রমিতা, সব ঘরের জানলা দরজা পাগলের মত হাট করে খুলতে থাকে। চোখে অঝোর ধারায় অকাল বর্ষা। তিন বছরের মেয়েটা বাজি ফাটার শব্দে কেঁপে কেঁপে চমকে উঠে কাঁদছে। মেয়েকে কোলে তুলে নিয়ে হাসতে থাকে প্রমিতা। দু’দিন আগেই ওর অপারেশন হয়েছে কানের। তার আগে তিন তিনটে বছর যে মেয়েটা কোনও কথাই শুনতে পেতনা, তা ও আঁচও করতে পারেনি। বিমলেন্দুর কত গঞ্জনা শুনেছে মেয়ে ভালো করে কথা বলতে, রিঅ্যাক্ট করতে পারে না বলে। আজ সব নৈঃশব্দ ভেঙে চিৎকার করতে ইচ্ছে করছে আনন্দে।