মা মায়েয় হয়
মা মায়েয় হয়
আজ সকালে হাঁটতে হাঁটতে আমি ওপাড়ার বটতলা পেরিয়ে সিরিস গাছ টার দিকে গিয়েছিলাম এই কদিন এই দিকটায় একদমই আসা হয়নি আর হবেই বা কি করে গত দশদিন জ্বরে ভুগছি।জ্বর অবশ্যই সেরে গিয়েছিল পঞ্চম দিনে তবে জ্বরে শরীরটা একদম ঘরমোছা কাপড় বানিয়ে দিয়েছিল বিছানা ছেড়ে উঠতেই ইচ্ছা করছিলো না তাও আবার শীতকালের সকালে হাঁটতে বেরোনো সেটা স্বপ্নেও আনিনি।
আজ অনেক কষ্টে বেরিয়েছি,কথা বলতে বলতে সিরিস গাছ টার নীচে এসে পৌঁছেছি হঠাৎ দেখি কোথা থেকে চু চু আওয়াজ আসছে উপর দিকে তাকিয়ে দেখি একটা পাখির বাসা আর তাতে পাখি মায়ের সাথে কতগুলো ছানা পাখিও আছে।ক্ষিদের চোটে তারা চুঁ চুঁ করছে আর মা পাখির শরীর এই শীতের দিনে একদম শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে আর হবেই বা কেনো এবছর ক্ষরার কারনে ফসল ভালো হয় নি যার ফলে তারা ধান ও আনতে পাচ্ছে না নিজের জন্য আর নিজের বাচ্চার জন্য।যেটুকু পাচ্ছে ওই বাচ্চা গুলোকে এনে খাওয়াচ্ছে এই দৃশ্যটা দেখে চোখের কোনে জল এসে জমল কারন আজ অনেকদিন পর মায়ের কথা মনে পড়লো আসলে যখন ছোটো ছিলাম তখন আমার মা ও এমনি ভাবে নিজে না খেয়ে আমাকে আর বোন কে খেতে দিতো সত্যি মা মায়েয় হয় সে পাখি হোক কিংবা মানুষ....
