“আমার সাহিত্যের অনুপ্রেরণার উৎস”
“আমার সাহিত্যের অনুপ্রেরণার উৎস”


“মিশে আছো মানবের অনুভূতিতে-
তুমি হে! সাহিত্য!”
“সাহিত্য” যা মিশে থাকে মানবের অনুভূতির অনুভবে; একজন লেখকের সুনিপুণ হাত কিংবা কলমের স্পর্শে। সেই লেখক নানা ভাবে নানারূপে আবির্ভূত হয় “সাহিত্য” তুলে ধরতে- কবি, গল্পকার, সুরকার, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, উপন্যাসিক………
মানবের জীবনে বেঁচে থাকবার অনুপ্রেরণার উৎস থাকে যা জীবনের পথে এগিয়ে যেতে শক্তি দেয়। ঠিক তেমনি সাহিত্য জগতে যারা পদার্পণ করে তাঁদের জীবনে অনুপ্রেরণার উৎস রয়েছে।
“কবি” যিনি শব্দচয়ন, ছন্দের মাধ্যমে সৃষ্টি করে তাঁর অনন্য সৃষ্টি “ কবিতা”। সাহিত্যে “অনুপ্রেরণার উৎস” ঠিক সমীরণের ন্যায়।
আমি সুদীপ্তা। একজন “কবি” হিসেবে নিজেকে সাহিত্য জগতে মেলে ধরার প্রয়াস করে যাচ্ছি। সাহিত্যের “কবিতা’ বিভাগে অনুপ্রেরণার কিছু উৎস রয়েছে যা আমায় ভেতর থেকে চালিত করে প্রেরণা দেয় কবিতার ভুবনে বিচরন করতে। আমার সেই সাহিত্যের অনুপ্রেরণার উৎসগুলো হলোঃ
কবিসত্তাঃ প্রথমত “কবিসত্তা” আমার “অনুপ্রেরণার উৎস” কেননা আমি মনে করি “কবিসত্তা” ছাড়া একজন মানুষ কবি হতে পারেনা। শুধু শব্দচয়ন দিয়ে একজন সাধারণ মানুষ হতে পারেনা “কবি”। আমার মাঝে “কবিসত্তা” আছে বলে আমি অনুপ্রেরণা পাই ভেতর থেকে সৃষ্টি করতে কবিতা।
মা-বাবাঃ দ্বিতীয়ত আমার মা-বাবা আমার অনুপ্রেরণার উৎস “সাহিত্য” জগতে পদার্পণে। একটি কথা প্রচলিত আছে মাতৃগর্ভে থাকাকালীন সন্তান মা-বাবার গুণাবলী ধারণ করে। আমার “মা’ বাংলা সাহিত্য থেকে মাস্টার্স করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তাই আমি বিশ্বাস করি আমার “মা’ আমার সাহিত্যের অনুপ্রেরণার উৎসের ভিত্তি। কেননা মায়ের থেকেই “কবিসত্তা” এসেছে আমার মাঝে। আমার “ বাবা’ আমায় অনুপ্রেরণা দিয়ে যায় প্রতিমুহূর্তে আমার সাহিত্যকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে।
প্রকৃতিঃ “প্রকৃতি” আমার আরেকটি অন্যতম সাহিত্যের অনুপ্রেরণার উৎস। প্রকৃতির বিভিন্ন রূপ- বৃষ্টি, গোধূলি বিকেল, জ্যোৎস্না……অনেক বেশি বিমোহিত করে আমায়।
কল্পনাশক্তিঃ “কল্পনাশক্তি” যেকোনো কবির জন্য একটি অনন্য উৎস সাহিত্যের অনুপ্রেরণার। আমার ক্ষেত্রেও তাই। কল্পনাশক্তি আমায় অনুপ্রেরণা দেয় “কবিতা’ সৃষ্টিতে।
অনুভূতির অনুধাবনঃ আমি সাহিত্যের অনুপ্রেরণার উৎস খুঁজে পাই “অনুভূতির অনুধাবনের” মধ্য দিয়ে। আমি যে বিষয়ে কবিতা লিখবো ভাবি সেই অনুভূতিকে অনুধাবন করি আমার মাঝে আর সেই থেকেই সৃষ্টি করি “কবিতা”।
আত্মার মানুষঃ একজন লেখককে ভেতর থেকে একটি মানুষ অনুপ্রেরণা দিয়ে যায়। সেই মানুষটি হলো “আত্মার মানুষ”। “আত্মার মানুষ” আমার সাহিত্যে অনুপ্রেরণার উৎস। যে আমায় বলে আমার সৃষ্টি কবিতা কখনো ভাল লেগেছে আবার কখনো ভাল লাগেনি।