সেই ক্লান্ত তিলোত্তমার পথে
সেই ক্লান্ত তিলোত্তমার পথে


সেই ক্লান্ত তিলোত্তমার পথে,
অন্ধ পথিকের মতো আমি বেড়াই ঘুরে,
দুর্বার দুর্মদ শহর আমায়,
আর কাছে ডাকে না,
আর বলে না আমায়- নিঃশ্রেয়সকর সন্তান
আমি এখন ব্রাত্য তাঁর কাছে।
এই তিলোত্তমা এখন আর নেই আগের মতন,
এখন আর সেই নির্মলতা-শুভ্রতা নেই তাঁর শরীরে,
বিবর্ণতা তাঁকে গ্রাস করেছে,
তাঁর বৈভব-ঐশ্বর্য-মহিমাকে হরণ করে,
তাঁকে বৈষম্যের চরম শিখরে উন্নীত করেছে-
এই সমাজ; এই মানব প্রজাতি।
সেই ক্লান্ত তিলোত্তমাকে-
আমি কি পারব বাঁচাতে?
পারব কি মানুষের প্রতিঘ উপেক্ষা করে
তাঁকে কাছে টেনে আনতে?
নাকি আমার প্রতীতি, প্রতিহত হবে,
প্রতিহননকারী এই সমাজের কাছে।
আজ আমি এই তিলোত্তমাকে পারি না চিনতে,
দেখতে পারি না এর ভুজঙ্গসম রূপ,
এই শহর আজ বড়োই ক্লান্ত-নিঃসম্বল,
আমার রহস্যময় তিলোত্তমা,
করে আছো কেন চুপ?