হানাবাড়ির আতঙ্ক
হানাবাড়ির আতঙ্ক
এলোমেলো অগোছালো অবস্থায় বিছানার ওপর পড়ে আছে দোলন। চোখের কার্নিশ থেকে ঝরছে অশ্রুকণা। মেঝেতে গড়াগড়ি খাচ্ছে তার পরনের শাড়ি। উঠে বসার চেষ্টা করতেই সারা শরীর ব্যথায় কুঁকড়ে উঠলো। কোনো রকমে উঠে মেঝে থেকে শাড়ি তুলে নিয়ে বাথরুমে ঢুকে গেলো। শাওয়ার চালিয়ে তার নীচে বসে সারা শরীর থেকে অনিকের বিষাক্ত ছোঁয়া গুলো ধূয়ে ফেলার চেষ্টা করতে লাগলো। না,না এটা তো পবিত্র সম্পর্কের পবিত্র ছোঁয়া বলেই ডুকরে কেঁদে উঠলো দোলন। সতেরো বছর বয়সে মেয়েটির স্কুল-কলেজ, বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মেতে ওঠার সময়ে যখন তাকে কারোর বিছানায় নিস্পেশিত হতে হয় তার কষ্ট একমাত্র সেই মেয়েটি বোঝে। বিবাহ নামক পবিত্র সম্পর্কের দোহাই দিয়ে কত রাত এমন নির্যাতনের শিকার হতে হয় মেয়েটিকে তার খবর কে রাখে? বদ্ধ ঘরের চার দেওয়াল সাক্ষী তার কষ্টে ভরা আর্তনাদ গুলোর। ফুল হয়ে প্রস্ফুটিত হওয়ার আগেই ঝরে পড়ে সে। প্রতিটা রাত যেন তার কাছে হানাবাড়ির মতো একরাশ ভয়,আতঙ্ক আর কষ্টের হাতছানি দেয়। আর সে নিজেকে বাঁচানোর তাগিদে একটু একটু করে পিছিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেই বন্ধ দরজায় আঘাত লেগে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে ওঠে তার কোমল মন। অপেক্ষা করতে থাকে আরও এক এমন ভয়ঙ্কর রাতের।