চাওয়া-পাওয়া
চাওয়া-পাওয়া


কখনও কান্না, কখনও হাসি,
জানি না আমি, এ জীবন কিসে হবে খুশি?
স্কুলের শেষে চু-কিত্ কিত্ এই ছিল চাওয়া - পাওয়া,
পার্সোনাল আর প্রফেশনাল জীবন যুদ্ধে সে সব কোথায় হাওয়া.
রকেটের গতিতে শুরু হয় দিন,
চোখের পলকে হয়ে যায় বিলীন.
নেই, নেই - সময় নেই,
আমার জন্য নেই, পরিবারের জন্য ও নেই,
ভাবি -
চাকরি করি কেন?
পরিবারের জন্য?? -- না না,
করি, নিজের আত্মসন্তুষ্টির জন্য,
ভাবি -
কিভাবে হবো আমি সন্তুষ্ট?
ডিগ্ৰী গুলো পেয়েছিলাম করে কত কষ্ট,
আলমারিতে পড়ে থেকে, হবে কি সব নষ্ট,
কাঁধে ব্যাগ, টিফিন বক্স হাতে,
রোজ যাচ্ছি অফিস, নিজেকে প্রমান করতে.
তাতেও কি, এ জীবন হবে খুশি?
না, না, তাতেও নয় -
অফিস এসে ছেলের মুখ চোখে ভেসে যেই উঠল,
মনে হয়, হাউস ওয়াইফ হওয়াটাই সবচেয়ে ভালো,
এত ঝামেলার কি কোনো দরকার ছিল??
বাস এ ঝিমিয়ে স্বপ্ন দেখি -
দুপুরের ভাত - ঘুম, সন্ধ্যের চপ - মুড়ি,
ছটফট করে মন, উড়তে চায় তখন,
নিজেকে মনে হয়, মক ডালে কোনো আটকে পড়া ঘুড়ি.
ঝিমুনি কাটিয়ে, মাথা ব্যাথা নিয়ে,
পৌঁছে যাই যেই বাড়ি -
ছেলে লাফিয়ে কোলে এলে বলি তখন -
"আর পারছিনা বাবা, একটু পরে খেলব ক্ষণ",
আবার ভাবি -
এ জীবন কিসে হবে খুশি?
ফুটপাতের ওই বাচ্চা গুলোকে দেখি -
আর ভাবি -
বুঝি ছিল ভালো, হলেই ওদের মতো,
অল্পতেই জীবন কতই না খুশি হতো.
পাশ দিয়ে, হুশ করে গাড়ি গুলো যেই যায়,
চমকে উঠে, এ মন তখন বেশি বেতনের বেটার জব চায়.
খাওয়া, নাওয়া, ঘুম - সব চলেই গেছে,
রিটার্ন গিফ্ট এ পাওয়ার ন্যাপ কে গোছিয়েছে.
ভাবি -
এ জীবন কিসে হবে খুশি?
অনেক ভেবে, অবশেষে আমি পেয়েছি উত্তর,
আর্জি আমার রূপক নয় -
বাস্তবায়িত করা হোক সত্তর .
চাই খাওয়া - ঘুম - মোটা বেতন আর সঙ্গে পরিবার,
সপ্তাহতে চাই দুটো শনি, আরও দুটো রবি - বার.
বছর মাঝে সবাই মিলে, ঘুরতে যাবো দীঘা - পুরি,
একটু - আধটু কিনবো জামা - জুতো, গয়না দু -এক ভরি.
শপিং মল এ শপিং করবো, রেস্টুরেন্ট এ খাবো,
লালা ঝরিয়ে গভীর ঘুমিয়ে পরদিন অফিস যাবো....