বৃষ্টি....
বৃষ্টি....


বৃষ্টি,হ্যাঁ অবাক হোসনা তোকেই বলছি।
আজকে যখন অসময়ে তুই ঝরঝরিয়ে সকালটাকে এত সহজে বর্ষাকাল বানিয়ে দিলি তখনই তোকে দেখতে দেখতে কেমন যেন এক অদ্ভূত অনুভূতির চাদর আমাকে জড়িয়ে ফেলছিল।
তুই এত অদ্ভূত কেন?? মানে এত কিছু এরকম সহজে কী করে করিস?......বিশ্বাস কর খুব হিংসা হচ্ছিল আজকে।
তা তুই আমার কথাগুলো শুনে,আমার মুখে তোর ছাঁট দিয়ে যতই থামাতে চাস না কেন পারবি না। সব বলে তবেই বিশ্রাম নেবে আমার কলম।
গ্রীষ্মের ঝলকানিতে যখন সবকিছু রুক্ষ, ঝিমিয়ে পড়েছে,লেখকের গল্পের নদীর জল শুকোবে শুকোবে করছে, ঠিক তখনই তুই কাউকে কিছু না বলে ঝরতে থাকিস।
গল্পের নায়িকার ছাদে দৌড়ে গিয়ে ভেজা থেকে শুরু করে রাজস্থানের আগুনরঙের ওরনার পিছনে মেয়েটার হাসির কারণ হোস খালি তুই।
আচ্ছা,এতো কৃতিত্ব একা পেয়েও এরকম সহজ থাকিস কি করে? আমাকে শিখিয়ে দিবি একটু?
এইটুকু লিখে যেই খাতাটা বন্ধ করে রাখবো অমনি তোর গন্ধমাখা একটা হাওয়া আমাকে ছুঁয়ে বলে গেল, "অভিযোগ করার ভান করে আমাকে যখন ভালোবাসতে শুরুই করেছিস তখন আরেকটু বাসনা"।
অগত্যা আবার কলম ধরলাম, তোর এই খামখেয়ালি এক পশলার জোর কত জানিস?
অবশ্য জানবিই বা কি করে...তুই তো ঝরেই খালাস।
তোর এই একপশলা হাসি ফোটাতে পারে সেই মেয়েটার মুখে যে জ্বর থেকে সুস্থ হয়ে আবার বৃষ্টিতে ভেজার ছাড়পত্র পেয়েছে।
তোর এই একপশলা বিরক্তিকর হয়ে উঠতে পারে সেই মানুষটির জন্য যার ব্যাগের দরকারি কাগজ আর পাই চার্টের রং ছড়িয়ে গেছে পুরো পাতা জুড়ে, ঠিক যেমন জলরং দিয়ে আঁকা আকাশের এক ফোঁটা নীল ছুঁয়ে ফেলে নীচের সবুজকে।
তোর এই একপশলা ফিরিয়ে দিতে পারে লেখার ছন্দ,মিলিয়ে দিতে পারে দুই অভিমানিকে, বের করে দিতে পারে অনেকদিনের জমানো কথা চোখ দিয়ে।
তাই জানিস আবারো খুব খুব হিংসা হয় তোকে।