বিক্ষিপ্ত
বিক্ষিপ্ত
শব্দগুলো হারিয়ে গেছে শেষের পাতার শেষে
হারিয়ে গেছি নিংড়ে নেওয়া আমি
তলিয়ে গেছি নিশ্ছিদ্র গাঢ় অতল তলে
দিশাহীন মনে আজ পথ খোঁজার পালা
আশার আলো ভেবে ঘুরি মরীচিকার পিছে
অসীম শূণ্যতার বুকে শূণ্যে আবদ্ধ থেকে যাই
ভয় হয়; পরক্ষণেই ভাবি কিসের এ ভয়?
যার হারাবার নেই কিছু বাকি
নিলামে উঠেছে যার অস্তিত্ব তার কিসের ভয়
নির্লিপ্ত হয় মন সাদা কাগজের মত
সাদা! তা কি সত্যি সাদা?
নাকি সাদার অন্তরালে শুধুই নিবিড় আঁধার
বিক্ষিপ্ত মন ছুটে চলে অসমান কক্ষপথে
ছুঁতে চায় বারেবারে স্বপ্ন খেয়ার মা
স্তুল
মেঘ পিওনের চিঠির গাদায় খুঁজে ফেরে-
ভবিষ্যতের ঠিকানা বিহীন শেষ আশ্রয়
মৃত সায়রের জলে ডুবে যাবার ইচ্ছাটা প্রবল হয়
কিন্তু বিধি বাম;
পৃথিবীর বুকে হতে চাস বিলীন- কি স্পর্ধা!"
কে! কে প্রশ্ন করে?
সম্মুখে এসো; দেখি তোমার অবয়ব
নিমেষে আঁধার আধারে ঝরে পড়ে বিদ্রূপ মেশানো হাসি
বুঝিবা বোঝাতে চায় অসহায় আমি
পৃথ্বীর পরে এক অসহনীয় বোঝা মাত্র।
রুদ্ধ মনের বন্ধ কবাটে এক নির্মম করাঘাত যেন
স্মৃতির অন্তরালে সমাধিস্ত সময় পিছু ডাকে
উশৃঙ্খল মনের দাবী বিক্ষিপ্ত উজান পথে।।