ভাঙ্গা হৃদয়ের নীরব আর্তনাদ
ভাঙ্গা হৃদয়ের নীরব আর্তনাদ
প্রিয়,
আজ এই চিঠি তোমার কাছে পৌঁছাবে কি না জানি না, কিন্তু লিখতে বাধ্য হলাম। কারণ এই যন্ত্রণাগুলো শুধু নিজের মধ্যে জমিয়ে রাখা আমার পক্ষে আর সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিটা শব্দের সঙ্গে যেন আমার হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে, তবু লিখছি।
তুমি কি জানো, প্রতিদিন আমি কেমন বেঁচে আছি? না, একে বেঁচে থাকা বলে না—এ যেন কেবল শ্বাস নেওয়ার নামান্তর। প্রতিটা মুহূর্তে তোমার স্মৃতির ছায়া আমাকে তাড়া করে। আমি পালাতে চাই, কিন্তু পারি না। তোমার সেই হাসি, সেই কথা, সেই স্পর্শ—সব যেন এখন এক গভীর দুঃস্বপ্ন হয়ে গেছে।
তুমি চলে গেছ, অথচ আমি এখনো তোমার ফেরার অপেক্ষায়। জানি, তুমি আর আসবে না। তবু প্রতিদিন দরজার দিকে তাকিয়ে থাকি, হয়তো তুমি ফিরে আসবে বলে। এটা কি বোকামি? হয়তো তাই। কিন্তু হৃদয় তো বোঝে না।
রাতে ঘুমানোর চেষ্টা করি, কিন্তু প্রতিবার চোখ বন্ধ করলেই তোমার মুখটা ভেসে ওঠে। সেই শেষবারের মতো দেখা—তোমার চোখে একটা শূন্যতা ছিল, যেন আমি আর কিছুই তোমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ না। তবু, জানো, আমি তোমাকে তখনও ভালোবেসেছিলাম। আজও বাসি।
তোমার কাছে কি আমার কথা একটুও মনে পড়ে না? তুমি কি কখনো ভেবেছ, কেমন আছি আমি? না, ভেবেছ না। কারণ তুমি তো নিজের পথে এগিয়ে গেছ, নতুন জীবনে। কিন্তু আমি? আমি এখনো সেই পুরোনো জায়গায় আটকে আছি।
তুমি সুখে থাকো, এটাই চাই। কিন্তু সত্যি বলি, আমার মতো কেউ তোমাকে ভালোবাসতে পারবে না। আমি জানি, এ কথা শোনার জন্য তুমি নেই, আর হয়তো কোনোদিন থাকবেও না। তবু এই কথাগুলো বলতেই হলো।
যদি কোনোদিন একাকী হও, আমার কথা মনে পড়ে—তাহলে একবার ভাবো, এমন কাউকে ফেলে চলে যাওয়া কি ঠিক ছিল?
ইতি,
তোমার অতীতের এক নিঃস্ব মানুষ।
