প্রথম চাকরি
প্রথম চাকরি


প্রথম পাওয়া চাকরিটা তে কাটলো একটা মাস ,
নিউটাউনে আমার কর্মস্থল আর রাজারহাটে বাস ।
সকাল সকাল অফিস গেলেও ফিরতে অনেক রাত ,
দুপুরে অফিসে রেগুলার ভেজ রাত্রে বসাই ভাত ।
গ্রামের মতন ঝগড়া করে দরদাম আর হয় না
বাসি হলেও কেনা খাবার ফিরত দেয়া যায় না।
আলাদা নেই রাজার সবজি, শ্যামলী মাসির ফল ,
মশলা বাজার পুরোটাই প্যাকেজ একটাই বড় মল।
মাছ মাংস সবই এখানে সব রঙ্গিন প্যাকেট বন্দি ,
বাবা দেখলে ঠিক বলতো "লোক ঠকানোর ফন্দি"।
অফিসের কাজও চলছে ভালই শুধু একটু বেশি চাপ ,
টেনশনে তে ম্যালেরিয়া ছাড়াই লাগতে থাকে কাঁপ।
গ্রামের ছেলে সুবোধ গোপাল হইনি এখনো স্মার্ট ,
সময় নিয়ে শিখছি ধীৰে এক্সকিউস মি পার্ডন বাট !
কাস্টমারদের ইংরাজি বাণে আমি ভয়ে শুকিয়ে কাঠ ,
রনিদা বলে চোখ বুজিয়ে বলবি শুধু "কাইন্ডলি রিস্টার্ট"।
আইডিয়া টা কাজও করে ,সত্যি রনিদা এ গ্রেড ,
টেকনিক্যাল বা পলিটিকাল, দলের আদর্শ হেড।
পাশের ফ্ল্যাটের দাদা বৌদি দুজনে মস্ত বড়ো কোডার ,
ছেলে পিলে টাও দেবে মনে হয় অনলাইনে অর্ডার।
আরেক ফ্ল্যাটে ব্যাচেলার গ্রুপ গান বাজায় লাউডে ,
যখনি দেখি ধ্যানে মগন ধোঁয়ার দেশে ক্লাউডে।
শহরটা জানো পুরো রঙিন শুধু হৃদয় গুলো কালো
আবার গল্প করবো পরে তোমরা থেকো ভালো।
স্টেটাস আছে অর্থ আছে শুধু সুখ টাই যা কম ,
পাই না যে মা তোমার হাতের লুচি আলুর দম।