ছোটোন
ছোটোন


ছোটোন মোদের প্রথম যেদিন ইস্কুলেতে গেলো সঙ্গী সাথির সঙ্গে যে তার ভীষণ ভাব হলো।
টিফিনবেলায় ছোট্ট ছোটোন টিফিন খেয়ে নিয়ে সঙ্গীনিদের টিফিন খুলে রসিকতা করে।
রোজই বলে "আজকে না তোর পেটটা খারাপ বড্ড,
আজকে তো তোর খেতে মানা আমায় দিয়ে দে তো!"
এমনি করে বেশ কিছু দিন খাওয়া দাওয়াচললো একদিন তো 'মিস'এসে তার কানটি মুলে দিলো।
পাঁচ বছরের বড় দাদার প্রেসটিস হয় খুন্ন
মাকে সে জানিয়ে দেয় ভাইকে নিয়ে যাবে না সে
ইস্কুলে কখ্খনো। বড় দাদার নামটি ছিল বাপ্পা
আমরা তাই আদর করে ওকে বলতাম টুম্পা।
টুম্পা যখন বড় হলো রেগেই হলো খুন মেয়েদের নাম চলবে না এই ছিল তার হুকুম।
মা তখন আদর করে ছোটোন নাম দিল ছোটোন এবার পড়াশোনায় খুব যে মন দিল।
প্রতি বছর প্রথম হয়ে উঠলো ক্লাশেতেে স্কলারশিপের টাকায় সে নরেন্দ্রপুরে পড়ে।
এমনি করেই চললো তার পড়াশোনার পালা খড়গপুর থেকে এমটেক করে থামাল তার পড়া।
পড়াশোনা শেষ না হতেই চাকরি অনেক পেলো কিন্তু শেষে শিক্ষকতাই ওর যে ভালো লাগল।
ছেলে তৈরির কাজে সে ব্রতী হলো এবার তার-ই মতোন কতো রত্ন তৈরি হলো দেদার।
এবার মায়ের ইচ্ছে হলো আনবে ঘরে বৌ ছোটোন বলে রাজি আছি, চাই কিন্তু সুন্দরী বৌ।
সুন্দরী বৌ এলো, ছোটোন কিন্তু আস্তে আস্তে শুকিয়ে যেতে লাগল।
সবাই করে চিন্তা, ছোটোন কিন্তু কাউকেই কিচ্ছুটি বলে না।
বিয়ের চারটি মাস পরে ছোটোন তখন বৌকে নিয়ে আলাদা ফ্ল্যাটে থাকে।
অভিশপ্ত এক রাতে পুলিশ ফোনে খবর দিলো মাকে------,তাদের ছেলে পড়ে আছে ফ্ল্যাট বাড়িরই ছাদে।
তার ক'দিন আগে থেকেই কেউ দেখেনি ছোটোনকে , কলেজে কিংবা ফ্ল্যাটে ই।
মা ছুটে যায়, আছড়ে পড়ে ছোটোন বাবুর বুকে
ছোটোন তখন চলে গিয়েছে অনেক দূরের দেশে ।
সত্যি সবই বলে গেলেম জীবন থেকে নিয়ে
বলতে পারো নিঠুর বিধি কেনো খেলে মানুষ পুতুল নিয়ে?