অভিনয়ে কেউ সুখী নয়
অভিনয়ে কেউ সুখী নয়


তোকে কখনও ভালোবাসিনি, আজ বলছি..
এই চিরন্তন সত্য কথাটা বলতে তুমি
কতটা বছর লাগিয়ে দিলে ।
এ ক'দিনে আমার সন্তানেরা
তার বাবাকে চিনতে শিখেছে।
মেয়ে তো বেশ বড় হয়ে গেছে,
বলেই ফেলল, বাবা এই আন্টিটা কে রে?
দারুণ লুকস্। আমি উত্তর দিতে পারি নি, সেদিন।
ইনিয়ে বিনিয়ে বললাম, মা তাকে চিনি না।
ইদানিং ডিসটেইন্স বেড়েছে ঠিকই
ইউটিউব, ইষ্টগ্রাম ঘাটাঘাটি করে
বেশ কিছু ছবি পুরনো কাসুন্দি
হয়ে টকঝাল মিষ্টি, টুপটাপ বৃষ্টি।
এক বন্ধু, গতকাল বলেই ফেলল,
স্ত্রীর মৃত্যুর চেয়ে প্রেমিকার মৃত্যু
বেশি বেদনার । স্ত্রীর মরদেহে অধিকার থাকে
আর প্রেমিকার মরদেহে অধিকার থাকে না।
তাহলে আমাদের মরদেহে আমাদের
কারো কোন অধিকার থাকবে না। তাই তো!
গতকাল সকালে টুইটার ওপেন করে দেখি,
মর্নিং, হাউ আর ইউ?
অামার মেয়ের ছবি দিয়ে
তুমি টুইট করলে, এই কিউটের ডিব্বাটা
তো আমার হতে পারতো?
আমি সেদিনের টুইটের কোন এন্সার দেইনি।
দেবার প্রয়োজন বোধ করিনি।
কারণ মেয়েকে বলেছি, আমি তাকে চিনি না।
আসলেই তাকে আমি কী ভুলতে শিখেছি?
দুঃখ যদি না থাকতো তবে,
সুখকে উপলব্ধি করা যেত।
দুঃখ আছে বলেই বেচারা সুখের এত কদর।
যেমন বিরহ থাকে বলেই
প্রেমকে উপলব্ধি করা যায়
চিরাচরিত সনাতন নিয়মে।
যে বিরহকে ধারণ করতে পারে না
সে কী প্রেমিক?
যে দুঃখকে বইতে পারে না
সে কী আসলে সুখী?