এই যুগে মানবিকতা বস্তুনির্ভর

আধুনিক যুগে মানবিকতা বস্তুনির্ভর এবং উচ্চাশা ও প্রাপ্তিকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। এই যুগটা ধাপে ধাপে বাস্তবধর্মী অনেক কিছুই দেখেছে, যেমন শিল্পকরণ, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইলেক্ট্রনিক্স, কম্পিউটার, ইত্যাদি। এখন সময় এসে গেছে দেবোপম ঐশ্বরিকতার যুগে পদার্পণের - যেটির কথা আমরা মাঝে মাঝেই উল্লেখ করে থাকি। এই ঐশ্বরিকতার যুগ আগামী কয়েক শত সহস্র বছর ধরে বিরাজ করবে ।

বিশ্বে এই যুগ ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত হতে আগামী ২০০ বছর সময় লাগবে। বিশ্বময় চেতনা জাগরণের এই দৃষ্টান্তমূলক পরিবর্তন একটি দেখার মতোই বিষয় হবে। ধীরে ধীরে বহু মানুষই এই চেতনা মর্মে উপলব্ধি করে পরিবর্তিত হয়ে যাবে ।

মানবিক চেতনার উন্মেষে আগামী দশটা বছর সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে ২০২৫ সাল বিশেষভাবে উল্লেখ্য, কারণ এই বছরটিই নির্ধারণ করবে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ। এরপর ২০৩২ সালে বিশ্বে আসবে আরও অনেক বড় পরিবর্তন, যার জন্যে আমরা সবাই প্রার্থনা করি। সামগ্রিকভাবে মানবজাতির জন্যে নিজেদের পরিবর্তিত করবার এটি একটি বিশাল এবং সর্বশেষ সুযোগ। এর থেকে কেউই মুক্ত হতে পারবে না ।

সামগ্রিক মানবজাতি হিসেবে বিশ্বময় নাগরিকেরা নানা ধরণের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে চলেছে। বিশাল এক পরিবর্তনের অপেক্ষায় রয়েছে সবাই। এই সংকটকালের মধ্যে দিয়ে মানবজাতিকে সুষ্ঠুভাবে পার করিয়ে দেবার উদ্দেশ্যে আমরা খুব শিগগিরই সমস্ত ভক্তবৃন্দ, পরিবারের সদস্যগণ, সেবকেরা এবং আমাদের সঙ্গে যুক্ত সকলে মিলে তিনমাস ব্যাপী প্রার্থনার ব্যবস্থা করতে চলেছি। উল্লেখ্য, এই প্রার্থনার উদ্দেশ্য মানবজাতির মধ্যে চেতনার উন্মেষ ঘটানো। এই বিষয়ে গত দু বছরে করা আমাদের কাজকর্ম এখনই যথেষ্ট ফলপ্রসূ হতে শুরু করেছে ।

মানবজাতির জন্যে সুযোগ আসবে সমাজের সুষ্ঠু বৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির, যা মানুষের আত্মচেতনার পরিবর্তন ঘটাবে। একে অস্বীকার করলে সে অন্ধকারেই তলিয়ে যাবে। ভক্ত হিসেবে আপনাদের এটাও বোঝা এবং উপলব্ধি করা উচিত, যে আপনাদের নিঃস্বার্থ ইতিবাচক কার্যকলাপই বর্তমান সমাজকে অবক্ষয়ের হাত থেকে বাঁচিয়ে ঐশ্বরিকতার দিকে নিয়ে যেতে পারবে। কৃপা আপনার দরজায় পৌঁছে যাবে৷সেটা গ্রহণ করবেন, না প্রত্যাখ্যান করবেন সেটা আপনার ওপর। পৃথিবী আপনার অবদান খেয়াল করতেও পারে, নাও করতে পারে। আমরা এখানে বাহবা পাবার জন্যে আসিনি। আমাদের নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যেতে হবে, সেটাই আনবে এই পরিবর্তন ।

পৃথিবীর জন্যে আমাদের বার্তা নিম্নরূপ :

১. পরিবর্তিত হন নিজের ভালোর জন্যে, নিজের অভ্যন্তরীণ শান্তির জন্যে।

২. কৃপাময়ের সঙ্গে যোগাযোগ এবং যোগসূত্র স্থাপন করুন, সেটা আপনার পছন্দমতো যেকোনো মাধ্যমে।

৩. নিঃস্বার্থ সেবা করুন।

৪. ভালোকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিন।

৫. চতুর্দিকে বিচ্ছুরণ করুন ভালোবাসা ও শান্তি।

আমি রয়েছি আপনাদের যাবতীয় প্রশ্ন, জিজ্ঞাসা, তপস্যা, কঠোর পরিশ্রম ইত্যাদি এবং কৃপাময়ের অস্তিত্বের প্রাসঙ্গিকতা বুঝিয়ে দেবার জন্যে। এটি কোনো হঠাৎ ঘটে যাওয়া যোগাযোগ নয়, এটি পূর্ব নির্ধারিত ছিলো। আমি এটা সুনিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি, যে আপনাদের প্রত্যেকের এবং বিশ্বব্যাপী আমার সমস্ত ভক্তদের মধ্যে অন্যদের পাল্টে দেবার ক্ষমতা আছে। সেই পরিবর্তন আনার জন্যে আমরা সবাই 'একযোগে' কাজ করবো ।