নিয়তির স্তোত্র
নিয়তির স্তোত্র




তুমি ছিলে নিয়তির সেই স্তোত্রের মতো --
আমি যাকে না বুঝতে পারতাম,
না পারতাম গণনা করতে।
তবে বিরহের যে সুর তুমি জ্ঞাপন করেছিলে
আমার নগ্ন ক্রোড়ে; প্রতিটি স্পর্শের সাথে,
যে রেশমি সুতোয় আমাকে বিজড়িত করলে;
যেন আমি কোনো ছোট্ট কোকুন!
তখন আমি আর স্বাভাবিক নেই:
স্থানভ্রষ্ট, কদাকার, ক্ষীয়মাণ!
সহমর্মিতার আগুনে পুড়তে চাওয়া আমি,
বিষাদে তখন চেতনা নিলীন।
আমায় শ্বাসরোধে হত্যা করা হচ্ছিল, কিন্তু না!
সময় স্তম্ভিত হল,
বোধ করি এক দেবদূত আসেন
আর আমার কাছে ফিসফিসিয়ে বলেন,
"এবার মুক্তি পেলে :
কীভাবে রূপান্তর করতে চাও তুমি?"
আমার মধ্যে যে শিশুটি সর্বদা সূক্ষ্ম, চারু, শুভ, আড়ঙ্গ এক প্রজাপতি হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখতো;
সেও হয়তো হারিয়ে গেছিল সেইদিন :
ভুয়া প্রতিশ্রুতি এবং অনুভূতির নেত্রজলে,
রূপকথার গল্পে যা ছিল নিখোঁজ।
এবং এখন, আমার যা হয়ে ওঠার ছিল!
ব্যাথা-বর্ণহীন এক পতঙ্গ
অন্ধকারে, নিঃসঙ্গতার রাজ্যে একমাত্র
আধিপত্য হল যার ভবিতব্য।
আর আজকাল কোনো চিন্তাও নেই, উদ্বেগও নেই!
কিছু নীচ, বখিল প্রাণীর
আমার পোঁড়া আবেগের ছাই দিয়ে রং খেলার।।