Unlock solutions to your love life challenges, from choosing the right partner to navigating deception and loneliness, with the book "Lust Love & Liberation ". Click here to get your copy!
Unlock solutions to your love life challenges, from choosing the right partner to navigating deception and loneliness, with the book "Lust Love & Liberation ". Click here to get your copy!

Arijit Guha

Romance Crime Tragedy

1.0  

Arijit Guha

Romance Crime Tragedy

অান্ধেরা_রাত(প্রথম পর্ব)

অান্ধেরা_রাত(প্রথম পর্ব)

3 mins
13.7K


''এ বিন্দু, বিন্দু রে, শুন না।কাহা ভাগি যা রহি।আরে থোড়া রুক তো, বাত করনি হ্যায় তুহার সে।'' চুন সুড়কির সড়ক দিয়ে ছুটে চলেছে প্রকাশ বিন্দুর পিছন পিছন।''কাহে? কা বাত করনি হ্যায় মুঝসে? যা না তু উস্ ছোড়ি সে বাতে করলে।হামকো ছোড়ি দে।''

''আরে কাহে নেহি সমঝতি উ মেরা দোস্তয়া হ্যায়।আউর কুছু নাহি হ্যায় উসসে মেরা।''

এক ঝলক ঘুরে তাকালো বিন্দু।চোখ দিয়ে যেন আগুন ঝরছে।সেই আগুনে ভস্ম করে দেবে প্রকাশকে।আহিয়ারপুর গ্রামের আগুন ঝরানো রোদের সাথে পাল্লা দিয়ে আগুন ঝরাচ্ছে বিন্দুর চোখ।বিকেলের পড়ন্ত রোদ হলেও রোদের তেজ কিছু মাত্রায় কমে নি।তার সাথে রয়েছে গরম হাওয়া।লু আর বিন্দুর আগুন ঝরানো রাগ, দুই মিলে আহিয়ারপুর গ্রামের উষ্ণতা বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকটাই।দোষটা অবশ্য প্রকাশেরই।পাটনা কলেজের বিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্র প্রকাশ কলেজের ছুটিতে গ্রামে এসেছে কদিন আগে।আর প্রকাশের সাথেই ওদের গ্রামে ঘুরতে এসেছে মনোজ , রাখী, রাজকুমার আর চাঁদনী।ওর কলেজের বন্ধুরা।সবাই শহুরে বাবু বিবি।গ্রামে এসে ওদের আহ্লাদ আর ধরে না।কি করবে ভেবে পাচ্ছে না।যেখানে সেখানে ঘুরতে চলে যাচ্ছে,যার তার ক্ষেতে ঢুকে যাচ্ছে।প্রকাশের বাড়িতে একবার তাদের সবাইকে বারণ করে দেওয়া হয়েছে এরকম হুটহাট করে কোথাও না বেরনোর জন্য।'দেস গাঁও মে অ্যায়সা মত করো।ইয়ে শ্যাহের নেহি হ্যায়'।কিন্তু কে শোনে কার কথা।এর মধ্যেই একদিন রাখীর সাথে প্রকাশকে বিন্দু আবিষ্কার করে পিপুল গাছের নীচে দাঁড়িয়ে দুজনে মিলে ফিসফিসিয়ে কি কথা বলছিল আর খুব হাসছিল।সেদিন বিন্দু কিছু বলে নি।তবে আজকে গান্নার ক্ষেত থেকে দুজনকে একসাথে বেরোতে দেখে আর ঠিক থাকতে পারে নি বিন্দু।আর পড়বি তো পড়, দুজনে মিলে ক্ষেত থেকে বেরিয়েই একদম বিন্দুর চোখাচোখি।ব্যাস, সেই যে আগুন দেখল বিন্দুর চোখে প্রকাশ, সেই আগুন আহিয়ারপুরের তেজ ধূপকে পর্যন্ত ছাপিয়ে যাচ্ছে।

   বিন্দু আর প্রকাশ দুজনে দুজনকে ছোটবেলা থেকেই চেনে।পাশাপাশি বাড়ি হওয়ার সুবাদে গ্রামে একই সাথে বড় হয়ে উঠেছে দুজনে।প্রাইমারি ক্লাশ অব্দি পড়ে বিন্দুকে আর পড়ানো হয় নি, আর প্রকাশ স্কুল শেষ করে পাটনা কলেজে গিয়ে এখন পড়াশোনা করে।গ্রামের অনেকে না জানলেও ওদের দুজনের বন্ধুত্বটা অনেকটা গাঢ়।যেদিন গ্রাম ছেড়ে প্রথম শহরের পথে পা বাড়িয়েছিল প্রকাশ, যখন প্রকাশদের মোটর গাড়ি প্রকাশকে নিয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছিল, দূর থেকে ক্ষেতি ক্ষেতির মধ্যে দিয়ে মোটরের পাশে পাশে অনেকটা চলে গেছিল বিন্দু।আর রাতে যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিল, তখন দু চোখ দিয়ে কোশি নদীর ধারা নেমেছিল।নিজের হাতে বানানো আলু কা পরাঠা খাইয়ে দিয়েছিল প্রকাশকে সেদিন যাওয়ার আগে।আর প্রকাশ কথা দিয়েছিল কোনোদিনো ভুলে যাবে না বিন্দুকে।

     এরপর যতবারই কলেজে ছুটি হয়েছে ততবারই বলা যায় বিন্দুর জন্যই গ্রামে ছুটে ছুটে এসেছে প্রকাশ।আর ততই বন্ধুত্বের থেকে সম্পর্কটা গেছে অন্য জায়গায়।যদিও গ্রামের কেউই এখনো ওদের দুজনের ব্যাপারে কিছুই জানে না।সবার সামনে ওরা কখনোই দেখা করে না।বিন্দুরও বিয়ের বয়েস হচ্ছে আর প্রকাশকে তো কলেজ পাশ করলেই বিয়ে করে ফেলতে হবে।দুজনে ঠিক করেছে ঠিক সময়ে বাড়িতে দুজনের কথা জানাবে।তার আগে গ্রামে যাতে অন্য কেউ কিছু না জানতে পারে।তার জন্য সতর্ক আছে দুজনেই।তবে কিভাবে দুজনে, বাড়িতে দুজনের কথা জানাবে তাই নিয়ে কিছুটা চিন্তিত।কারণ প্রকাশরা রাজপুত আর বিন্দুরা ভূমিহার।যদিও প্রকাশ কথা দিয়েছে বাড়িতে ঠিকভাবে ম্যানেজ করে নেবে।

     কোনোরকমে রাখীকে বাড়ির পথে রওয়ানা করিয়ে দৌড়ে গিয়ে পিছন থেকে বিন্দুর হাতটা ধরে ফেলল প্রকাশ।বিন্দুর তখন রাগ পরিণত হয়েছে কষ্টে।চোখ ফেটে জল নেমে আসছে।

    'আরে পাগলি, ও তো সির্ফ দোস্ত হ্যায় মেরা।আউর তু তো হমার জানেমন'।

  কিন্তু বিন্দু এত সহজে ভুলবার পাত্রী নয়।গান্নার ক্ষেতে দুজনে কি করেছে সেই নিয়ে বারেবারে জবাবদিহি চেয়ে যাচ্ছে প্রকাশের থেকে।প্রকাশ কিছুতেই বুঝিয়ে উঠতে পারে না যে গান্নার ক্ষেত দেখার অভিপ্রায় থেকেই ওদের গান্নার ক্ষেতে প্রবেশ।তাহলে বাকিরা কোথায়? শুধু দুজনে মিলে ঢুকে কি করছিল? এই প্রশ্নের জবাবে প্রকাশ জানায় বাকিরাও সবাই ছিল, কিন্তু ওরা আগে বেড়িয়ে গেছে ক্ষেত থেকে।'ঝুট বাত মাত বোল'

আগেরদিনও ওদের দুজনকে গাছের নীচে একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিল।

 অনেক কষ্টে বুঝিয়ে সুঝিয়ে শান্ত করা গেল বিন্দুকে।তারপর দুজনে মিলে অনেকক্ষণ ধরে পুকুরপাড়ে বসে গল্প করেছিল।

 কিন্তু ওরা জানত না যে অলক্ষে থেকে দুটো চোখ দূর থেকে ওদের দুজনকে দেখেই যাচ্ছিল।(চলবে)

    


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Romance