Unlock solutions to your love life challenges, from choosing the right partner to navigating deception and loneliness, with the book "Lust Love & Liberation ". Click here to get your copy!
Unlock solutions to your love life challenges, from choosing the right partner to navigating deception and loneliness, with the book "Lust Love & Liberation ". Click here to get your copy!

Debdutta Banerjee

Thriller

3  

Debdutta Banerjee

Thriller

হিউয়েন-সাং এর বাতিদান-২

হিউয়েন-সাং এর বাতিদান-২

7 mins
17.1K


-" ওর লেখা ভ্রমণ কাহিনী রম্যরচনা বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচনা আমাদের পেপারে বের হয়। তাই বস বলেছে ওকে অফিসিয়ালি পাঠানো হচ্ছে আমার সাথে। ও লেখাটা কভার করবে। পরশু সকালে গৌহাটির ফ্লাইট। এয়ার ইন্ডিয়া। ওখান থেকে পবন হংসের কপ্টারে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৌদ্ধ মঠে পৌঁছে যাব।"অয়ন বলে। -" কিন্তু জিনিসটা ওদের ঘরে রাখা কি সেফ? ওটা যদি ওনারা বিশ্বাস করেন, আমাদের ঘরেই থাক এই দু দিন।" দিঠি বলে ওঠে।বরুয়া বৌদি বলেন,-"আমরাও তাই চাইছি। আপনারা যদি এটা রাখেন রাত দু'টো নিশ্চিন্তে শুতে পারবো।" আর একটু আলোচনার পর ওনারা চলে গেলেন। অয়ন বাক্সটা নিয়ে বেডরুমের লকারে রাখল। দিঠি ভাবছিল এই জুনের শেষে তাওয়াং এ ঠাণ্ডা হবে নিশ্চয়। সিকিম ঘুরে শীতের পোশাক সব ধুতে পাঠিয়েছিল। পরের দিন নিয়ে আসতে হবে। টুকটাক জিনিস সব গুছিয়ে নিলো রাতেই।

 পরদিন সকালেই বাসি মুখে আবার বরুয়া-দা এসে হাজির। রাতে নাকি আবার ফোন এসেছিল ঐ চাইনিজ মহিলার। এই বাতিদান নাকি ওনার চাই। উনি যে কোনো মূল্যে এটা নিতে চাইছেন। রীতিমত জীবননাশের থ্রেট দিচ্ছেন।অয়ন একটু চিন্তিত হয়ে বলল,-" সব কটা ফোন নম্বর আমায় দিন। আমি দেখছি।" বরুয়া দা নম্বর দিতেই অয়ন তার বন্ধু ঋষিকে লাল বাজারে ফোন করে ব্যাপারটা জানালো। দুপুরে অয়ন সেদিন বাড়ি ফিরে আসে। দিঠি লন্ড্রি ঘুরে এসে গোছগাছে ব্যস্ত, হঠাৎ একটা চ্যাঁচামেচি শোনা গেল নিচের ফ্লোরে। অয়ন নিচে নেমেই দেখে বরুয়া-দা দের ঘরের সামনে জটলা। দাদা সকালে সাড়ে নটায় অফিসে গেছিলেন। বৌদি আটটায় বেরিয়ে গেছিল স্কুলে । দুটোয় ফিরেই দেখে ফ্ল্যাটের লক্ ভাঙ্গা। সিকিউরিটি বলছে কেউ ঢোকেনি। অথচ লক ভাঙ্গা শুধু নয়, ঘরেও সব লণ্ডভণ্ড। দিঠিও নেমে এসেছিল, অয়ন ওকে ঘরে যেতে বলে।

অনেক খোঁজ নিয়ে সিসি টিভি দেখে যা বোঝা গেল খুঁটি পূজার উৎসবের জন্য সেদিন প্রচুর বাইরের লোক ডেকরেটার্সের লোক এসব ঢুকেছিল। আবার ঈদের জন্য কিছু মুসলিম পরিবারের প্রচুর গেষ্ট এসেছিল। বোরখা পরেও অনেকে এসেছিল। এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে আগন্তুক।অয়নকে বৌদি বলেছিল কিছুই চুরি হয় নি। অয়ন বলে বাকি সময়টুকু সাবধানে থাকতে।

এর মধ্যে ঋষি খবর দিয়েছে ঐ মহিলা সু-তাং-লাই একজন বিশাল বড় এ্যান্টিক ব‍্যবসায়ী। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল। কিন্তু ওনাকে ছোঁওয়া যায়না এতটাই ধূর্ত।এই মুহূর্তে উনি দিল্লিতে রয়েছেন বলে খবর আছে। প্রমাণ নেই বলে ধরতে পারবো না। ফোনের টাওয়ার লোকেশন বলছে কাল উনি ট্যাংরায় ছিলেন। আর মিঃ গুপ্তা কলকাতার একজন কিউরিও ডিলার। তবে ঐ খুংসু লামার কোনো খবর পাওয়া গেল না। আর যে একটা আননোন্ নম্বর থেকে থ্রেট্ আসছিল সেটা কোন লোকাল ক্রিমিনালের দলের। হাত কাটা ভেরু ঐ ছেলেটার নাম। টাকা নিয়ে ওর দল কিডন্যাপ  টু মার্ডার সব করে। অয়ন থম মেরে বসে ছিল। প্রতিপক্ষ একজনের বেশি, সবাই ক্ষমতাবান। রাতে অয়ন বরুয়া-দা দের ওর ফ্ল্যাটে থাকতে বলেছিল। কারণ ভোর সাড়ে তিনটায় বের হতে হবে ওদের। সন্ধ্যায় আবার ফোন এসেছিল ঐ ভেরুর। ফোনটা অয়ন নিয়ে বলেছিল,-"ভাই ভেরু , এই কেসটা ছেড়ে দাও। খামোখা তোমার বদনাম হবে। জিনিসটা ওনাদের কাছে নেই।" ওপাশ থেকে জবাব আসে -"কোনো কেস ছাড়ি নি। এটাও ছাড়বো না। দেখে নিচ্ছি সবাইকে।" দিঠি বলে,-"দীপের কি খবর? ওর স্কুল যাওয়া টা কি খুব জরুরী এ কয়দিন?"

-"আসলে কাল পরশু ওর স্কুল ছুটি, ঐ ঈদ, রথ একদিনে পড়েছে বলে ছুটি বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের কাজ মিটে গেলে ওকে এ বাড়ি আনবো। এমনিতে আমার দাদার বাড়ি সেফ। ও বাড়ির গাড়িতে স্কুল যাবে । স্কুল আবার ভীষণ স্ট্রিক্ট এ সব ব্যাপারে।" বরুয়া-দা বলেন।

পরদিন সকালে সবাই ঠিকঠাক এয়ারপোর্ট পৌঁছে যায়। দিঠি কিছু গণ্ডগোল আশা করেছিল। কিছুই হল না। ফ্লাইট যখন মেঘের বুক চিরে উড়ে চলেছিল দিঠির ভাবনাও ডানা মেলেছিল। ঝড়ের আগে চারপাশ যেমন শান্ত হয়ে ওঠে ওর মন বলছিল তেমন কিছু হতে চলেছে। ওদের মাত্র দুটো লাগেজ। একটা প্লেনের পেটে গেছে আরেকটা সাথে রয়েছে। এয়ারপোর্ট ম্যানেজার দিঠির মামাতো দাদা। তাই ফটাফট সব হয়ে গেছে। দিঠি ভয় পাচ্ছিল যে, ঐ রত্ন খচিত বাতিদান স্ক্যানিং এ আটকে না দেয়। অয়ন এ সব ব্যাপারে এক্সপার্ট। সব ঠিকঠাক হয়ে গেছিল। বাইরে সাদা মেঘ ভেদ করে কিছু পাহাড় চুড়া দেখা যাচ্ছে মাঝে মাঝে। দিঠিদের পাশের সিট ফাঁকা, ওধারে জানালায় বৌদি, আর মাঝের সিটে বরুয়া-দা। অন্যটা ফাঁকা। দিঠি একবার উঠে দাঁড়িয়ে দেখে প্রচুর সিট ফাঁকা যাচ্ছে। বাকি যাত্রী দের মধ্যে তিনজন মনিপুর বা অরুণাচলের লোক। একজন চিনা মনে হয়। আর বাকিরা অসমিয়া মনে হয়।অবশ্য এদিকে সবাইকেই দিঠির এক রকম লাগে। পার্থক্য বোঝা যায় না।

হঠাৎ এক ভদ্রলোক চলন্ত ফ্লাইটে উঠে এসে বরুয়া-দার পাশে এসে বসলেন এবং নিচু স্বরে ওনাকে কিছু বললেন। অয়ন একটা ম্যাগাজিন দেখছিল। কান সজাগ থাকলেও ও কিছুই শুনতে পেল না। দিঠি দেখছিল বরুয়া দার চোয়াল ঝুলে পড়েছে।ফর্সা মুখ সাদা হয়ে রক্তশূন্য। একটু পরে ভদ্রলোক চলে যেতেই বরুয়া-দা উঠে অয়নের পাশে এলো। বলল,-"এই লোকটা ঐ সু-তাং-লাই এর সেক্রেটারি। উনি এখনো আশা করছেন জিনিসটা আমরা ওনাকে দিয়ে দেব।টাকাটা উনি ব‍্যাঙ্কে দিয়ে দেবেন বলছেন। চাইলে ক্যাশেও দেবেন। "

-"উনি একা নয়, ঐ গুপ্তাও এই ফ্লাইটেই আছেন। আমার যদি ভুল না হয় মিঃ লামাও আছেন। সবাই আপনার সাথে যাচ্ছে।" অয়ন গম্ভীর হয়ে বলে। -"তবে ফ্লাইটে আপনি সেফ। আপনার জিনিস ও সেফ। "

বিরস বদনে বরুয়া-দা নিজের সিটে ফিরে যান। বৌদি ওদিকে ঘুমিয়ে কাদা।

একটু পরেই মেঘে আচ্ছন্ন গৌহাটি এয়ার পোর্টের উপর চক্কর কাটতে লাগল বিমান। দিঠিরা সিট বেল্ট বেঁধে তৈরি, কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য কিছুতেই বিমান অবতরণ করতে পারছিল না। কুড়ি মিনিট চক্কর কাটার পর ফ্লাইটকে জোরহাট পাঠিয়ে দেওয়া হল। অয়ন এবং বরুয়া-দা দুজনেই চিন্তিত। জোরহাট ছোট্ট এয়ার পোর্ট। ওরা লাগেজের জন্য কনভেয়ার বেল্টের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল। আবার ঐ ফ্লাইটের লোকটা এসে বরুয়া-দার সাথে হেসে হেসে কথা বলছিল। কয়েকজন মাত্র যাত্রী। লোকটি চলে যেতেই খেয়াল হল দিঠির মেরুন সুটকেসটা আসেনি। ফাঁকা কনভেয়ার বেল্ট, সবাই যে যার লাগেজ নামিয়ে চলে যাচ্ছে। দিঠিদের মেরুন স্যুটকেস কোথাও নেই। অয়ন টিকিটের পার্ট নিয়ে অফিসে দেখা করল। ওনারা দেখছেন বলে দৌড়াদৌড়ি শুরু হল। প্লেনের কিছু যাত্রী নামে নি, তারা কলকাতা ব্যাক করবে এই ফ্লাইটেই। অথবা আকাশ পরিষ্কার হলে যদি প্লেন গৌহাটি যায় তাই ওয়েট করছে‌ । অয়ন নিজের আই কার্ড দেখাতেই এয়ার পোর্ট ম্যানেজার ছুটে এসেছেন। ওদের বসিয়ে স্যুটক‍েসের খোঁজ চলছে। দিঠি জানত ঐ স্যুটকেসেই সেই বাতিদান আছে। তাই বরুয়াদা'দের কি বলবে ভাবছিল। ওনারাও চিন্তিত। অবশেষে ম্যানেজার এসে অনেক দুঃখ প্রকাশ করলেন৷ওনাদের বক্তব্য, লাগেজটা কলকাতাতেই থেকে গেছে মনে হচ্ছে। দিঠি নিজের দাদাকে এয়ারপোর্টে ফোন করে দিয়েছে ততক্ষণে, এদিকে অয়ন ফোনের পর ফোন করে যাচ্ছে। বরুয়া-দা এসে বললেন,-"এখান থেকে তাওয়াং এর হেলিকপ্টার সার্ভিস নেই। তাছাড়া এই ওয়েদারে কেউ কপ্টার নিয়ে যেতেও চাইছে না। আমাদের সড়ক পথে যেতে হবে মনে হচ্ছে।" অয়ন বলল,-"আমার অফিস গাড়ির ব্যবস্থা করেছে। এখনি এসে যাবে। তবে আজ আমাদের ভালুকপঙে থাকতে হবে। কারণ বৃষ্টিতে রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ। কাল খুব ভোরে রওনা দিলে বিকেলে পৌঁছে যাব আশা করি।''

 মুষলধারে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ওদের স্করপিও ছুটে চলেছে চা বাগানের বুক চিরে। সুটকেস আর পাওয়া যায় নি। বরুয়া-দার কাছে ফোন আসাও বন্ধ হয়েছে। অয়ন একবার বলেছিল,-"ঐ লোকটা এয়ারপোর্টে আপনাকে কি বলল?"বরুয়া-দা রূমাল দিয়ে নিজের ঘাম মুছে বললেন,-" ওরা আমাকে বিরক্ত করার জন্য ক্ষমা চাইল। যা ওরা চাইছিল পেয়ে গেছে ‌। আমাদের ভ্রমণ আনন্দময় হয়ে উঠুক এও বলল।"

 চা বাগানের পর এবার দুধারে সবুজ ধানি জমি ও মাঝে মাঝে ছোট ছোট গ্রাম। কিন্তু দিঠির এখন একটাই চিন্তা, স্যুটকেসের মধ্যে পুঁথি ও বাতিদানটা ছিল। সব শুদ্ধু সব চুরি হয়ে গেল!ওদের জামা কাপড় গুলোও গেল। অবশ্য অন্য ব্যাগেও কাজ চালাবার মতো জামাকাপড় আছে। শীতের জিনিস গুলোই স্যুটকেসে ছিল। বরুয়া-দা, বৌদি সব বুঝতে পেরেও কোনো প্রশ্ন করেনি । অসম্ভব চুপচাপ। সবার মন খারাপ। বিকেলে ওরা ভালুকপঙ পৌঁছে দেখে বৃষ্টিতে পথ এমনিই বন্ধ। প্রচুর টুরিস্ট আটকে গেছে। হোটেল নেই বললেই চলে। সকালেই অয়ন অফিসে বলে দিয়েছিল আসাম গভর্মেন্টের গেস্ট হাউসে ওর জন্য দুটো রুম রাখতে। জিয়া-ভরালি নদীর তীরে একটা টিলার উপর খুব সুন্দর এই গেস্ট হাউসটা। ওরা একটা ডুপ্লেক্স কটেজ পেয়েছিল। শেষ বেলায় হঠাৎ মেঘ কেটে সূর্য দেখা দিতেই অয়ন ছুটল ক‍্যামেরা নিয়ে নদীর ফটো তুলতে। দিঠির কিছুই ভাল লাগছিলনা। এমন হতে পারে ও কখনো ভাবেই নি। এখন আর তাওয়াং গিয়ে কি লাভ ও ভেবেই পায়না।

সন্ধ্যা নেমে আসছে প্রকৃতির বুকে। গোধূলির কনে দেখা আলোয় নদীর বুকে পাখির ফটো তুলতে ব্যস্ত অয়ন। দিঠি ওকে বলে,-" জিনিসটাই যখন চুরি হয়ে গেল আমদের আর গিয়ে কি হবে ওখানে? মনটাই ভেঙ্গে গেছে। ওদের বলে বাড়ি ফিরে চল।" অয়ন এক মনে ফটো তুলতেই থাকে। বলে,-" আমরা ঘুরতে যাচ্ছি বুঝলে।" সন্ধ্যায় বরুয়া-দা আর বৌদি ওদের ঘরে ছুটে আসেন। বরুয়া-দা বলেন,-" আচ্ছা, জিনিসটা কোথায়? ঠিক আছে তো? আবার ফোন করেছিল সু-তাং, খুব রেগে গেছে। বলছে আসল বাতিদান ওর চাই যে ভাবেই হোক। "অয়ন হাসে, বলে,-"তাহলে আমার স্যুটকেস চুরি করেও ওদের লাভ হয়নি।" -"কিন্তু তুমি ওটা স্যুটকেসেই রেখেছিলে। স্ক‍্যানিং এ আমি দেখেছি ওরকম কিছু। মেয়েটাও দেখছিল অবাক হয়ে।" দিঠি বলে।

-"ও সেটাই দেখছিল যতটুকু ওকে আমি দেখিয়েছি।" অয়ন গম্ভীর হয়ে বলে। -"আসল জিনিস একদম ঠিক আছে।" দিঠির মনে পড়ে এ বার ব‍্যাগ গুছিয়েছিল অয়ন। জামাকাপড় ও বেশি বেশি নিচ্ছিল। ভাল জিনিস সব নিজেদের সাথে যে ব্যাগটা তাতে রেখেছিল। তবে কি ও জানত যে এমন হতে পারে!অয়ন বলে,-" সবাই তাড়াতাড়ি খেয়ে শুয়ে পড়ুন, কাল ভোরে রওনা না দিলে তাওয়াং পৌঁছনো যাবে না।" দশটার মধ্যে সবাই শুয়ে পড়লো। ওদিকে আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। এ যেন মহাপ্রলয় আসন্ন।

 কিন্তু পরদিন সকালে উঠে ওরা শুনল বৃষ্টিতে ধ্বস পড়ে রাস্তা বন্ধ দশ কিমি আগে। তাই গাড়ি যাচ্ছে না। ওদিক থেকে গাড়ি আসলে তবেই এরা রওনা দেবে। অয়ন ড্রাইভার কে বলল,-"সামনে টিপির অর্কিড'গার্ডেন অবধি চল। ততক্ষণে রাস্তা খুলে যাবে দেখবে।" ভারতের মধ্যে হলেও সীমান্তবর্তী রাজ্য বলে অরুণাচলেও ইনারলাইন পারমিট লাগে। বরুয়া বৌদিরও লাগলো, কারণ এখন উনি কলকাতার লোক । অয়ন সব বানিয়ে এনেছিল অরুনাচল ভবন থেকে। সেসব গেটে দেখিয়ে ওদের গাড়ি প্রবেশ করল সূর্যোদয়ের রাজ্যে, ভারতের প্রথম সূর্য ওঠে এই অরুণাচলেই।

টিপিতে অর্কিড'গার্ডেনে একটা কলসপত্র গাছ দেখছিল অয়ন মন দিয়ে। মাংসাশী গাছটা কি নিষ্পাপ ,স্নিগ্ধ, সুন্দর। দিঠি রঙবেরঙের অর্কিড দেখতে ব্যস্ত। বরুয়া বৌদি ছেলের সাথে কথা বলছেন ফোনে। বরুয়া-দা রাস্তার খোঁজ করছিলেন যে কখন রওনা দেওয়া যাবে । উল্টোদিক থেকে ভারী ভারী মিলটারি ট্রাক নামছিল।ড্রাইভার বলল যে রাস্তা খুললেও নিচের থেকে অন্তত একটা দুটো গাড়ি আগে যাক, তারপর ও যাবে।(চলবে)


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Thriller