Become a PUBLISHED AUTHOR at just 1999/- INR!! Limited Period Offer
Become a PUBLISHED AUTHOR at just 1999/- INR!! Limited Period Offer

Sanghamitra Roychowdhury

Inspirational

3  

Sanghamitra Roychowdhury

Inspirational

ইলিশ উৎসব

ইলিশ উৎসব

7 mins
1.5K


সাহাগঞ্জের ডানলপ ফ্যাক্টরি বন্ধ হওয়ার ফলে আরও অনেক মানুষের সাথে দিলীপও কাজ হারিয়েছে। বাঁধা মাইনের চাকরি হারিয়ে আবার ফ্যাক্টরি একদিন ঠিক খুলবে এই আশায় আশায় আরও অনেকের মতোই মারাত্মক ভুল করে ফেললো দিলীপ। সামান্য যা কিছু সঞ্চয় ছিলো ভেঙে খেয়ে ইউনিয়নের নেতাদের সাথে আন্দোলনে সামিল হোলো। একমাস, দু'মাস, তিনমাস করে দিন গড়াতে শুরু করলো, কিন্তু ফ্যাক্টরির মেশিনের চাকা আর গড়াতে শুরু করলো না। সঞ্চয় শেষ, আর তো বসে থেকে অপেক্ষা করা চলে না। বৃদ্ধ অশক্ত কর্মক্ষমতা-রহিত বাপ-মা বৌ-বাচ্চাদের মুখে দু'বেলা দু'মুঠো তুলে দেওয়ার তাগিদে দিলীপ মরিয়া হয়ে যেকোনো একটা কাজের সন্ধান শুরু করলো। কিন্তু হায়!কোথায় কাজ? কেই বা দেবে সে কাজ?


দিশাহারা দিলীপ, কোথাও কোনো আলোর সন্ধান দেখতে পাচ্ছে না। কি করে চলবে সংসার? মাথাটা প্রায় খারাপ হওয়ার জোগাড় হয়েছে দিলীপের। জমানো টাকাটুকুও সংসার চালাতে গিয়ে খরচ করে ফেলেছে। ছোটখাটো কোনো ব্যবসা করার মতো সামান্য পুঁজিটুকুও হাতে নেই। এদিকে ছ'টা পেট কি করে ভরাবে? ভাবতে ভাবতে কোনো কূলকিনারা পায় না দিলীপ। নিম্নবিত্তের সংসারে এমন কোনো সোনাদানা বা সম্পত্তি থাকে না যা বিক্রি করে অন্তত পক্ষে সামান্য কিছু ব্যবসা করার মতো মূলধনও জোগাড় করা সম্ভব হয়।

হন্যে হয়ে ঘুরছে দিলীপ, নিজের ছোট শহর ছেড়ে কোলকাতাতেও ছুটেছে, যদি কিছু জোগাড় হয়। কোনো লাভ হয় নি, তাতে হতাশা আরো বাড়া ছাড়া। এক একবার দিলীপের মনে হয় আত্মহত্যা করে, গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়ে বা ছুটন্ত ট্রেনের সামনে লাফিয়ে পড়ে। কিন্তু না পারে নি, দিলীপ অতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন, স্বার্থপর হতে পারে নি। স্লাইড শোয়ের মতো চোখের সামনে দিয়ে পাঁচখানা অসহায় মুখের নীরব মিছিল লড়াই করে দিলীপের কর্মসংস্থানের চেষ্টার গোড়ায় জল ঢেলে দিলীপের হারানো আত্মবিশ্বাসকে সিঞ্চিত করে প্রতি মূহুর্তে। অন্যপথে ভাবায় দিলীপকে।


মাথার ভাবনা চিন্তাগুলোকে গুছিয়ে নেবার জন্য সেদিন সন্ধ্যায় দিলীপ গঙ্গার ঘাটের ঠিক পাশেই কদমগাছটার তলায় ঘাসের ওপর বসেছিলো। ঠিক কী ভাবে কোনখান থেকে শুরু করবে তাই একমনে ভাবছিলো দিলীপ। সামনে আষাঢ়ের ভরা গঙ্গা ছলাৎ ছলাৎ ছোট ছোট ঢেউ ভাঙছে গঙ্গার ভাঙা পাড়ের এবড়োখেবড়ো জমাট পলি কাদার ওপর। গঙ্গার ওপারে জ্বলতে থাকা ল্যাম্পপোস্টের বিজলী বাতিগুলো টিমটিম করে যেন বড়ো বড়ো বিন্দুর আকারে ঝাপসা আলো ছড়াচ্ছে। এপারের সারসার আলোগুলো যেন একটু বেশীই অসামঞ্জস্যপূর্ণ উজ্জ্বল। এ সমাজে অর্থবান ব্যক্তির চাকচিক্য যেমন অতি প্রকট হয়ে ওঠে দুঃস্থ ম্লান কপর্দকহীন মানুষটির তুলনায়। হঠাৎ একটু জোরেই একটা ঝপাং শব্দে দিলীপের চমক ভেঙে চিন্তারাশির জালটা ছিঁড়ে গেলো। অন্ধকারে ঠাহর করে ভালো করে জলের দিকে চেয়ে রইলো দিলীপ একদৃষ্টে, তবে তেমন কিছু নজরে পড়লো না।


অনুমানে দিলীপ বোঝে অনেক রাত হয়েছে। নিজের বাঁ হাতের খালি কব্জিটায় অন্যমনস্ক ভাবে হাত বুলোয় দিলীপ। ঘড়িটাও গেছে, তাতে দু'দিনের সংস্থানই হয়তো হবে। রাত যে বেড়েছে বোঝে পথচলতি মানুষ আর নেই দেখে। ক'টা কুকুর ছুটোছুটি করছে রাস্তায়। পাকা রাস্তার ওপর তাদের নখের ঘষাতে কেমন এক খড়খড় আওয়াজ উঠছে।


দৈবাৎ ঘন্টি বাজিয়ে দু-একটি সাইকেল আরোহী বা সওয়ারীবিহীন ফাঁকা রিক্সার হর্ণ বাজিয়ে কোনো মাতাল রিক্সাওয়ালার উদাত্ত সঙ্গীত রাতের নৈঃশব্দ্য খান খান করে দিচ্ছে। দিলীপ যখন মনঃস্থির করে উঠে আসছে, ঠিক তখনই দেখলো মানুষের অবয়বে এক মিশকালো ছায়ামূর্তি গঙ্গার ঘাটের একপাশের আগাছার জঙ্গল ভরা কাদাক্যাঁচর ভেঙে পাড়ের দিকে উঠে আসছে। কৌতূহলবশত দাঁড়িয়ে পড়লো অকুতোভয় দিলীপ, ভূত প্রেতে ওর বিশ্বাস নেই। তাই দেখতে চাইলো কে উঠে আসছে এখন এত রাতে? গঙ্গার বুক ফুঁড়ে যেন উঠছে কেউ!


হাঁকুপাঁকু করে ততক্ষণে অবয়বটি প্রায় পাড়ে উঠে এসেছে। এবার দিলীপ পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছে প্রায় বৃদ্ধ একটি মানুষ। ল্যাম্পপোস্টের আলোয় দেখলো মানুষটি একটু ঝুঁকে পড়েছে সামনে, মিশমিশে কালো আদুল গা, পরনের একখন্ড কাপড়কে মালকোঁচা দিয়ে কোনোরকমে লজ্জা নিবারণ হয়েছে, মাথায় টাকের চারপাশ ঘিরে তামাটে রঙের ঝাঁকড়া চুল, তোবড়ানো গাল, শিরা বের করা শীর্ণ হাত পা, ধুঁকছে ক্লান্ত মানুষটি। হাতে ধরা বেতের খালুই ঝুড়িটা মাটিতে নামিয়ে রাখলো মানুষটি। দিলীপ দেখছে মানুষটিকে, কিন্তু মানুষটির সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। বেঁকে যাওয়া শিরদাঁড়া সোজা করার বৃথা চেষ্টা করে আড়মোড়া ভাঙলো, তারপর কানের পেছনে গুঁজে রাখা আধখাওয়া বিড়িটায় অগ্নিসংযোগ করলো ট্যাঁকে গুঁজে রাখা দেশলাই বার করে। দিলীপ চিনেছে, এর মতো আরো অনেকে জেলেডিঙি আর জাল সম্বল করে সেই সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তিক গ্রাম থেকে গঙ্গায় ইলিশ মাছ ধরতে আসে। এই ছোট্ট নৌকা.... মানে ঐ জেলেডিঙিতেই তাদের এই ক'মাসের ভাসমান ঘর সংসার, মা গঙ্গার বুকেই। মাঝে মাঝে পাড়ে আসে তাদের জালে পড়া ইলিশ হস্তান্তর করে চাল, নুন, তেল সংগ্রহ করতে। নয়তো ডাঙা খোঁজে হয় খাবার জলের সন্ধানে আর নয়তো প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে শরীর হালকা করতে।


দিলীপ সহৃদয় কন্ঠে জানতে চাইলো বৃদ্ধ মানুষটির কাছে,


"মাছ ভালো পেয়েছো কাকা? কোথায় বেচবে এতো রাতে?"


ধরা ধরা গলায় বৃদ্ধ জানালো,


"মাছ নেবার লোক এখানেই আসবে, রোজই আসে। এই বুড়ো হাড়ে আর সয় না ঘাটে ঠায় বসে থেকে মাছ বেচা। হিসেবও ভালো বুঝি না বাপ, জোয়ান ছেলেটা দক্ষিণরায়ের কোপে পড়লো গেলো সনে।নাহলে খানিকটা মাছ সন্ধ্যে থেকে ঘাটে বসে ঐ বেচতো। সবই এইটা...."


বলে মানুষটি কপালে হাত ছোঁয়ালো। আর মানুষটির কথায় মূহুর্তের মধ্যেই দিলীপের সর্বাঙ্গে যেন বিদ্যুৎ শিহরণ ঘটলো। শুধু পরিবারের পেটের তাগিদে যদি উপযুক্ত সন্তান হারানো ঐ বৃদ্ধ মানুষটি দিনের পর দিন, রাতের পর রাত, মাসের পর মাস, ঘরবাড়ী থেকে এতদূরে থেকে লড়তে পারে, যুঝতে পারে, তবে দিলীপ পারবে না? সহায়সম্বল না থাক, দিলীপের আছে প্রয়োজন, আর আছে বয়স।


না, আর দিলীপ ভাববে না যে মা আর বৌ বাড়ী থেকে রুটি তরকারী ঘুগনি বানিয়ে দেবে। আর দিলীপ সেই রুটি তরকারী ঘুগনি ব্যান্ডেল স্টেশনে বসে বিক্রি করবে। দু'দিন ধরে ক্রমাগত ভেবে চলা এই ভাবনা দিলীপের ভুল ভাবনা ছিলো। সংসার পরিপালন করার দায়িত্ব তার একার, সে একাই ঐ গুরুদায়িত্ব বহন করবে, যেমন এতকাল ধরে করে এসেছে। পরিবারের আর কারুর গায়ে এই অভাবের আঁচ লাগতে দেবে না দিলীপ।


সাইকেলের ঘন্টি বাজিয়ে বছর ত্রিশেকের একটি ছেলে এসে দাঁড়ালো দিলীপদের একেবারে সামনে।

তার সাইকেলের ক্যারিয়ারে বাঁধা বেশ বড়সড় প্লাস্টিকের আইসবক্স। ইলিশ ধরা মাঝি কাকা আর দিলীপ তখনও কথা বলছে। কথা থামিয়ে ছেলেটির সাথে আগ বাড়িয়ে পরিচয় পর্ব সেরে নিলো দিলীপ। এ ছেলেটি মাছ ব্যবসায় নেমেছে যখন নৈহাটি জুটমিল বন্ধ হয়েছে তখনই। ছেলেটির নাম শ্যামল, সদালাপী। বুঝেছে দিলীপের যন্ত্রণা নিজের ভুক্তভোগী জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে। পরিবারের জন্য অন্ন সংস্থান তো করতেই হবে। চুরি-ডাকাতি বা অসৎ পথে উপার্জন না হলেই হোলো। শ্যামল বলেই ফেললো,


"আমি একজন নির্ভরযোগ্য কাউকে খুব খুঁজছিলাম, যে কাজকে সম্মান করতে জানে। দাদা, আপনার আপত্তি না থাকলে....."


শ্যামলকে কথা শেষ করতে না দিয়েই দিলীপ শ্যামলের হাত জড়িয়ে বলে উঠলো,


"আমি রাজি, কিন্তু ভাই আমার যে কোনও পুঁজি নেই!"


শ্যামলের গলা,


"লাগবে না, সাইকেল থাকলেই হবে।"


মাঝি কাকার কোটরাগত চোখের কোলে চকচক করছে অশ্রুবিন্দু,


"আমার ছাওয়ালটাও থাকলে তোমাদের সাথেই কাজে লাগিয়ে দিতে পারতাম!"


একটা দীর্ঘশ্বাসের সাক্ষী রইলো শুধু কাজ হারানো দুই শ্রমিক আর চুঁচুড়া শহরের লাগোয়া গঙ্গা, তারায় ভরা আকাশ, গঙ্গাপাড়ের কদমগাছটা। ভোর ছ'টায় টিফিন ক্যারিয়ার সাইকেলের হ্যান্ডেলে ঝুলিয়ে বুক ফুলিয়ে ফ্যাক্টরিতে ঢোকা, ঘন্টা মেপে চলমান মেশিনের সামনে দাঁড়িয়ে ডিউটি করা, বাড়তি পাওনা ওভারটাইম, বোনাস, সকাল বিকেল মন কেমন করা সুরে ফ্যাক্টরির সাইরেন এসব এখন দিলীপ শ্যামলদের কাছে শুধুই একটা মধুর সুখস্মৃতি। বর্তমান তাদের এনে ফেলেছে মাছের বাজারে। তাদের গন্তব্যে চলা এখন ঝাঁকে ঝাঁকে গঙ্গাফল ইলিশদের গঙ্গায় ডিম পাড়তে আসার উৎসবে।

সেই রাত থেকেই দিলীপ শ্যামলের পার্টনার। মজার কথা দু'জনের বাড়ীতেই জানে ওরা কোনো নতুন কাজ পেয়েছে। যে কাজে রোজই রাতের ডিউটি।

বর্ষা, শীত, গ্রীষ্ম.... বারো মাস, তিনশো পঁয়ষট্টি দিন নাইট ডিউটি। শরীর খুব খারাপ না হলে ছুটি নেই।


সন্ধ্যেটা পেরোলেই সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়ে, চকবাজারের মাছের আড়তে রাখা আইসবক্সে বরফ ভর্তি করে সাইকেলের ক্যারিয়ারে বেঁধে দু'জন গঙ্গাপাড়ের রাস্তা ধরে এঘাট ওঘাট ঘুরে ঘুরে মাছ জোগাড় করে জেলেদের কাছ থেকে, কখনও কড়ার থাকে মাছ বিক্রি হলে পরের দিন জেলেমাঝি পয়সা পাবে। আবার কখনও নগদ নারায়নেই খরিদারি করতে হয়। যাইহোক, চলে যাচ্ছে দু'জনেরই, মহাজনের রক্তচক্ষু এড়িয়ে, অন্য ব্যবসায়ীদের ঈর্ষা ছাড়িয়ে, নিজেদের মতো করে নিজেদের ব্যবসা বাড়িয়ে।


ইলিশ মরশুমে গঙ্গায় ইলিশ শিকারী জেলেদের কাছে ক'বছর ধরে খুব কাছের দু'টি নাম.... দিলীপ-শ্যামল। সবাই ওদেরকেই নিজের নিজের জাল খালুই খালি করে মাছ দিতে চায়, কারণ ওরা জেলেদের ঠকায় না, ন্যায্য দাম দেয়, পাওনা টাকা আটকে রাখে না, সময়ে টাকা মিটিয়ে দেয়, কাকা দাদা বা ভাই ডেকে সম্মান দিয়ে কথা বলে। ধীরে ধীরে ওদের ব্যবসা শক্তপোক্ত ভিত তৈরী করছে। দিন মাস বছর গড়াচ্ছে, দিলীপ শ্যামলের সংসার থেকে অভাব বিদায় নিয়েছে। আর কখনও যদি ওদের ফ্যাক্টরি নাও খোলে, তাতেও ওদের আর কিছু যায় আসে না। ।শুধু এসবের সঙ্গেই ওরা হারিয়েছে রাতের নিশ্চিন্ত ঘুম। তা যাক গে, দিনভর বিশ্রাম নিয়ে ঘুমিয়ে ওরা সে অভাব পূরণ করে নেয়। ঐ নিশ্চিন্ত রাতের ঘুমের বিনিময়ে ওরা কিনেছে পরিবারের হাসি মুখের সারি, পরিবারের সুখ-স্বাচ্ছন্দ, মানসিক শান্তি। এক জীবনে মানুষের আর কত কীই বা লাগে? এখন ওদের বাড়ীর লোকেরাও জানে ওদের ইলিশের ব্যবসা, মাছের মহাজনীর কথা।

বেঁচে থাকুক বাঙালীর ইলিশ প্রীতি। ইলিশেরা বছর বছর সাগর থেকে উজান বেয়ে মিষ্টি জলের নদীতে নদীতে ডিম পাড়ার উৎসব করতে আসুক। সুন্দরবন থেকে ইলিশ শিকারীরা এসে গঙ্গায় ভেসে ক'মাস থেকে বছরভরের খোরাকির খানিক রসদ জোগাড় করে নিয়ে যাক। আর দিলীপ শ্যামলের মতো আরও অনেকের পরিবারের নির্ভরযোগ্য স্তম্ভ হয়ে থাক ইলিশ। কোলাঘাট, রূপনারায়ণ, এমনকি পদ্মার ইলিশও আমদানি করে আজকাল দিলীপ শ্যামল। সাইকেল, মটরসাইকেল পেরিয়ে এখন ম্যাটাডোর ভর্তি হয়ে ইলিশ আসে দিলীপ শ্যামলের আড়তে, সঙ্গে আরও অন্যান্য মাছও থাকে। তবে প্রধান হোলো রূপোলী গঙ্গালক্ষ্মী ইলিশসুন্দরী। কর্মসংস্থান হয়েছে আরও কিছু বেকার যুবকের, যাদের চোখে স্বপ্ন আছে আর সারারাত জেগেই তাদের স্বপ্ন দেখার ক্ষমতাও আছে। কয়েকটি মাত্র বছর, তাতেই আমূল পাল্টে গেছে দিলীপ-শ্যামলের সাদামাটা জীবন।


এবছর থেকে দিলীপ শ্যামলের প্রজেক্ট ইলিশের নবতম সংযোজন..... হুগলী-চুঁচুড়া-চন্দননগর তিন ভগিনী শহরের ইলিশপ্রেমীদের জন্য বিরাট সুখবর। তিনদিন ব্যাপী ঝালে ঝোলে অম্বলে "ইলিশ উৎসব"! উদ্বোধনী ফিতে কাটবে দিলীপের অশীতিপর বৃদ্ধ বাবা এবং প্রায় সমবয়সী শ্যামলের মা। "ইলিশ উৎসব" প্রাঙ্গণের গেটে এসে পরপর দু'টি স্করপিও দাঁড়িয়েছে, সপরিবারে। নতুন আইডিয়া, নতুন আইকন হয়ে উঠেছে কর্মহারা দুই শ্রমিক। রাতের ঘুমের মূল্যে কিনেছে তারা নিজেদের সোনালী সাফল্য।


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Inspirational