সতীন
সতীন
তেরো বছর বয়সে গোপাল নগরের ফিরোজ এর সাথে বিয়ে হয় নারগিস এর। নারগিস এর বিয়ের তিন বছর আগে মারা যান বাবা। বাপের মৃত্যুর পর বাড়ির মালিক হলেন দাদা। দাদার খুব আশা ছিল খুব ধুম করে বিয়ে দেবে।
কিন্তুু বোনের নিজের পছন্দের কাছে মুল্য পায়নি দাদার ইচ্ছা।
নারগিস কে ফিরোজ ভালোবাসিলো। এমন ভালো বাসা যেখানে একে অপরকে না পেলে মরে যেতে পারে। ফিরোজ এর কারণে দাদার কাছে চোরের মতোই মার খাই। রাগ সামলাতে না পারিয়া মারার কারণে বোনের জন্য নিজেই কান্না করে ছিল।
এত বিপদের মধ্যেও ওর কথা ভুলে থাকতে পারতো না। লুকিয়ে লুকিয়ে রাত জাগিয়া চিঠি লিখতো। দিনের বেলায় দেখা হলে চিঠি গুলো ফিরোজ কে দিয়ে পাঠাতো।
একদিন নারগিস এর দাদা আসিলো এক বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে।। নারগিস বুঝতে পারিলো তাই বড়ো চিন্তায় পড়লো। কি করিবে ভাবিয়া পাইনা। শেষ পর্যন্ত দাদার মান সম্মান ধুলোর সাথে মিশিয়ে দিয়ে ফিরোজ এর সাথে বাড়ি থেকে চলে যায়।
বোনের এই বদনাম, গ্রামের মানুষ এর কাছে মুখ দেখাতে পারেননি। মদ খাইয়া পড়িয়া থাকিত। বোনের ওপর রাগ এমন হতে পারে সেটাই দেখা গেল সেবার। নারগিস এর শশুর বাড়ির সবাই বউ ছেলে কে সহজে মানিয়া নিল।। নিজের মেয়ে ছিল না তাই শশুর বউকে মেয়ের মতো ভালোবাসিতো।