Unlock solutions to your love life challenges, from choosing the right partner to navigating deception and loneliness, with the book "Lust Love & Liberation ". Click here to get your copy!
Unlock solutions to your love life challenges, from choosing the right partner to navigating deception and loneliness, with the book "Lust Love & Liberation ". Click here to get your copy!

Debdutta Banerjee

Drama Romance

2.6  

Debdutta Banerjee

Drama Romance

ভালোবাসা

ভালোবাসা

8 mins
2.8K


কাকিমা যে রক্ত দেবে না কথাটা বিশ্বাস হয়নি আমার। কাকুর জন্য কাকিমা নিজের জীবন দিতে পারে, অথচ অপারেশনের পর যখন রক্তর দরকার তখন কাকিমা...

আমার কাকু ও কাকিমা সিকিমের রঙ্গিত নগরে থাকে, কাকু ইঞ্জিনিয়ার, কাকিমা ওখানেই একটা প্রাইমারি স্কুলে পড়ায়। ওঁদের কোনও সন্তান নেই। তবে দু জনের প্রেম দেখলে অনেক নবীন প্রেমিক প্রেমিকা লজ্জা পাবে, প্রায় পঞ্চাশের কোঠায় কাকিমা আর কাকু যেন এখনো সদ্য যুবক যুবতি। এভারগ্ৰীন কাপল বোধহয় এদের বলে।

প্রিয়া আমায় বলেছিল যখন কোনও দম্পতির সন্তান হয় না তাদের দুজনের দুজনের প্রতি ভালোবাসা আকর্ষণ বেড়ে যায়। হারিয়ে ফেলার ভয় থেকে এক অন্যরকম অধিকার বোধ জন্মায়। প্রিয়া সাইকোলজির ছাত্রী। ও এসব ভালো বুঝবে। তর্কে না গিয়ে সরু চোখে ওর দিকে তাকিয়ে বলেছিলাম -''তাহলে আমরাও কি ঐ পথেই হাঁটবো? শুধু তুমি আর আমি ... আমি আর তুমি...''

দুম দুম করে পিঠে ওর সদ্য শাঁখা পরা হাতের কিল এসে পড়েছিল। হানিমুনে সিকিম যাওয়ার পথে কাকুর বাড়ি থাকতে এসেছিলাম আমরা দু দিন।

 রঙ্গিত নগরের মত সুন্দর জায়গায় থাকলে প্রেম বোধহয় চিরসবুজ হবেই কারণ এখানে জানালা খুললেই তুষার ধবল হিমালয়, বাতাসে বুনো ফুলের গন্ধ, আর যে দিকে তাকানো যায় সবুজ পাহাড় যার বুক চিরে কুমারী মেয়ের সিঁথির মত বয়ে গেছে উচ্ছল রঙ্গিত নদী।

কাকু আর কাকিমার খুনসুটি দেখে প্রিয়াও কম অবাক হয়নি। কাকিমার বাচ্চা হয়নি বলে এবং এত সুন্দর জায়গায় থাকে বলে চেহারায় কোনও বয়সের ছাপ নেই।

প্রথম দিন ঘুম থেকে উঠে কিচেনের দিকে যেতে গিয়েই দেখেছিলাম কাকিমাদের খুনসুটি, দু জন মিলে জলখাবার বানাতে ব্যস্ত। কাকিমার গালে অসাবধানতায় লাগা ময়দা কাকু পরম যত্নে মুছিয়ে দিতে দিতে ইয়ার্কি করছে, কাকিমাও ময়দা মাখা হাত কাকুর মুখে মাথায় মাখিয়ে শোধ তুলছে। ঢুকতে গিয়েও ফিরে এসেছি। নিজের বিয়ের বয়স এগারো দিন, এর মাঝে বাইশবার ঝগড়া হয়েছে সিকিম না দার্জিলিং, ট্রেন না প্লেন, কাকুর বাড়ি যাব কি যাব না এমন অনেক বিষয়ে। প্রিয়া অনিচ্ছা নিয়েই এসেছিল রঙ্গিত নগর। তবে এসে থেকে কাকু কাকিমাকে দেখে ও অবাক।

 কাকু ছুটি পায়নি বলে আমাদের বিয়েতে আসতে পারেনি। অবশ্য আমার ধারণা নিজেদের সন্তান না থাকায় অনেক শুভকাজে একসময় কাকিমাকে অনেক বাঁকা কথা শুনতে হয়েছে বলে ওঁরা আর যায় না এসব অনুষ্ঠানে। আসলে বিয়ের সাথে সাথে ফুরিয়ে আসা প্রেম যাদের তারা ওঁদের দেখে জ্বলত সবসময়। আমার পিসিকেই দেখেছি কাকু কাকিমার নাম শুনলেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে। সবসময় বলবে -''ঐ রাক্ষসী ছোড়দাদার জীবনটাই শেষ করে দিলো !! ছোড়দাদাটার আরেকটা বিয়ে দিতে দিলো না। ''


এ আক্ষেপ ঠামুর ও ছিল। বাবা অবশ্য বলত -'ওরা ওদের মতো আছে, থাকতে দাও না। কারো সাতেপাঁচে আসছে না। তোমাদের কি অসুবিধা? '

বছরে দু বছরে একবার ওঁরা কলকাতা আসত ঠামুর টানে। সামনে অবশ্য ঠামু কিছুই বলত না তেমন। আমি তখন একটু বড়, সবে বড়দের জগতে ঢুকছি একটু একটু করে, একবার শুনেছিলাম ঠামু কাকুকে বলছে -'তোরা দত্তক নে, কত কে তো নেয় এমন। '

একটু চুপ করে থেকে কাকু বলেছিল -'কেন মা, এই বেশ আছি। আমি ওকে নিয়ে ও আমায় নিয়ে বেশ তো রয়েছি। কি দরকার আর কাউকে এনে। '

-'তবুও ... একটা সন্তান, তোদের বাবা মা বলবে ...'' ঠামুর গলায় একটা যন্ত্রণা পাক খেয়ে উঠেছিল।

-' দরকার নেই, আমরা খুব ভালো আছি দুজনে। তুমি এসব ভেবো না। ঋক তো রয়েছে, তোমার আদরের নাতি। মৌ এর দুই ছেলে মেয়ে, আর কি চাই। ' কাকুর গলায় নিজের নাম শুনে সেদিন ভালো লেগেছিল।

সেবার হানিমুনে গিয়েও প্রিয়া আর আমি কাকু কাকিমাকে নিয়েই বেশি আলোচনা করেছিলাম। সেই কাকু হার্ট অ্যাটাক হয়ে হাসপাতালে আজ পাঁচদিন। আপাতত বাইপাস হয়েছে, প্রচুর রক্তের দরকার। এই পাঁচদিন কাকিমা হাসপাতালেই রয়েছে। কাকুর আর কাকিমার সেইম ব্লাডগ্ৰুপ শুনে বলেছিলাম যদি এক ইউনিট রক্ত দেয় ... কাকিমা রাজি হয়নি। বলেছিল -''ওর তো কমন গ্ৰুপ, এই রক্ত একটু খুঁজলেই পাওয়া যায়। ''

-''আসলে রক্ত তো ল্যাবে তৈরি হয় না, মানুষের শরীরেই হয়, সবাই যদি ভাবে টাকা দিলেই পাবো একদিন ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলো খালি হয়ে যাবে, তাই রি-ফিল করার জন্য ডোনার দরকার। '' একটু গম্ভীর হয়েই বলেছিলাম। বেশ রাগ হয়েছিল মনে মনে। এই কি তাদের ভালোবাসা!!

কিন্তু চার ইউনিটের পর যখন ডাক্তার বললেন আরও দু ইউনিট লাগবে একটু জোর দিয়েই বলেছিলাম কাকিমাকে। ঠাণ্ডা গলায় কাকিমা বলেছিল -''না ঋক, আমি দেবো না। একটু খোঁজ করো, ফেসবুকে দাও। ঠিক পাওয়া যাবে। ''

এইচডিইউ তে কাচের ঘেরাটোপে শুয়ে কাকু তখন যমের সাথে লড়ছে। আর সেই দরজার বাইরে কাকিমা দাঁড়িয়ে রয়েছে একভাবে। অথচ রক্ত দেবে না। মাঝে মধ্যে কাকুরা দক্ষিণ ভারত হেলথ চেকআপে যেত। কাকিমার কোনও অসুখ আছে কখনো শুনিনি। সুস্থ সবল মহিলা অথচ প্রয়োজনে নিজের স্বামীকে রক্ত দেবে না। অদ্ভুত তো!! চোখটা জ্বালা করছিল আমার। কটু কথাই দিতাম হয়তো বলে। সে সময় প্রিয়ার ফোনটা এসেছিল। ও সব শুনে গ্ৰুপ মিলে যাওয়ায় রক্ত দেবে বলেছিল।

দু দিন পর কাকুর কেবিনে ঢুকতে গিয়ে কাচের দরজার ফাঁক দিয়ে দেখি কাকিমা ছোট ছোট করে ফল কাটছে আর কাকু সেই ফল কাকিমার মুখে গুজে দিচ্ছে। মাঝে মাঝে কাকিমাও কাকুকে খাওয়াচ্ছে, রাগে গা জ্বলছিল। এই মহিলা এক ইউনিট ব্লাড দেয়নি নিজের স্বামীকে, অথচ... কাকুর যত্নের নামে বসে বসে ফল খাচ্ছে।

 

-''ঋক, এসো ... '' হঠাৎ আমাকে দেখতে পেয়ে অপ্রস্তুত হয়ে যায় কাকিমা।

-'' আয়, আয়, তোদের খুব অসুবিধায় ফেলেছি আমরা ,'' কাকুর গলায় কুণ্ঠা।

-''অসুবিধার কি আছে, কাকিমা তো বাড়িও যায় না, এখানেই রয়ে গেছে। কেমন আছো আজ ?'' আমি কাকুকে দুঃখ দিতে চাই না।বাবা মা নেই কয়েক বছর। কাকুই একমাত্র অভিভাবক এখন।

-''একটু ভালো, সব ঠিক থাকলে পরশু ছুটি হবে। তোর কাকিমা আমার সাথে থাকছে কারণ ওর মত করে আমার খেয়াল আর কেউ রাখবে না। দেখ না এই কয়দিনে নিজের চেহারা কি করেছে !! '' কাকু কাকিমার মুখের সামনে এসে পড়া চুল আলগোছে সরিয়ে দেয়। পরম নির্ভরতা ঐ দুই চোখে।

ফলের রস নিয়ে এসেছিল প‍্যান্ট্রি থেকে, ছেলেটা চলে যেতেই কাকু কাকিমাকে বলে -''রসটা তুমি খাবে কিন্তু, সকাল থেকে না খেয়ে ...''

-''ওটা বোধহয় তোমার বেশি দরকার কাকু। '' একটু রেগে গিয়ে বলে ফেলি।''তোমার রক্তের প্রয়োজন বেশি এই মুহূর্তে।''

কাকিমা লজ্জা পেয়ে সরে যায় ওপাশে। কাকু আমার দিকে তাকিয়ে কাকিমাকে বলে, -''এটা তুমিই খাবে। "

-''ও তো ঠিক বলেছে, তুমি খেয়ে নাও, আমি বাইরে কিছু খেয়ে আসবো। '' কাকিমার গলায় লজ্জা।

-''না, এটাই খাবে, দরকার হলে আমি আরেকটা আনাবো। '' কাকু বেশ জোর দিয়ে বলে ওঠে।

-''আমি একটু ডাক্তারের সাথে দেখা করে আসি। ঋক বসুক তোমার কাছে। ''

-''না, এটা খাও আগে। '' কাকিমার হাত টেনে ধরে কাকু, অন্য হাতে ফলের রসের গ্লাস। ছলকে পড়ে কমলা রঙের তরল।

-''আ করো বলছি, '' ছোট বাচ্চাদের মত জেদ করে কাকু।

একটু উঁচু করে খেয়ে কাকিমা গ্লাসটা নামিয়ে দেয়, বলে -''এবার তুমি খাও, আমি তো খেলাম । ''

-''আরেকটু ...'' আরও কিছুটা খাইয়ে দেয় কাকু।

অসহ্য ন্যাকামি, পঞ্চাশ পার করে এসে এত আদিখ্যেতা ভাল লাগে না।

অন‍্যদিকে চোখ ঘুরিয়ে বললাম -''তোমরা বসো। আমি যাচ্ছি ডাক্তারের কাছে।''

 

ছুটির পর কাকু কাকিমাকে কয়েক দিনের জন্য বাড়ি এনেছিলাম, কিন্তু আগে যেটাকে ওদের ভালোবাসা মনে হত, এবার বিরক্তিতে পরিণত হয়েছিল। কিছু কিছু জিনিস বোধহয় একটা বয়সের পর বড্ড দৃষ্টিকটু, প্রিয়ার আর আমার কয়েক বছরের বিবাহিত জীবনে এত সমস্যা , সেখানে ওদের দেখে মনে হত জীবনে কোনও সমস্যা নেই, চূড়ান্ত সুখী দম্পতি। এত বড় অসুখটা কাটিয়ে উঠল। প্রিয়া ওদের দেখলেই জ্বলত। পিসি আগেই ওর মাথাটা খেয়ে রেখেছিল উল্টোপাল্টা বলে। একদিন পিসি হাসপাতালে এসেও কাকিমাকে কথা শুনিয়ে গেছিল যে যত্নের অভাবে কাকুর আজ এ অবস্থা।

বাড়িতে দোতলার যে ঘরে কাকুদের থাকতে দিয়েছিলাম তার পাশেই আমাদের শোওয়ার ঘর, একটা বড় খোলা ছাদ পাশেই, ভবিষ্যতে ঘর করব। সেদিন মাঝ রাতে মনে হল কেউ গান গাইছে, বেরিয়ে দেখি খোলা ছাদে চাঁদের আলোয় একটা চাদর পেতে বসেছে ওঁরা দুজন। পাশের বাড়ির শিউলি গাছ থেকে মিষ্টি গন্ধ ভেসে আসছে। টুপটাপ একটা দুটো করে শিউলি ফুল খসে পড়ছে ওদের গায়ে।

কাকিমা গুনগুন করে গাইছে -''এই রাত তোমার আমার ... ঐ চাঁদ তোমার আমার .... ''

আর কাকু কাকিমার হাত ধরে মন্ত্রমুগ্ধের মত বসে রয়েছে, একটা অসহ্য রাগে ফেটে পড়তে ইচ্ছা করছিল। গান শেষে কাকু কাকিমার কপালে একটা চুম্বন এঁকে বলল -''ছেড়ে যাবে না বলো, একসাথেই থাকব আমরা। ''

কাকিমার দু চোখে জল, বলল -''পাগল একটা।''

বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারিনি, কেমন করে যেন চোরের মতো পালিয়ে এসেছিলাম নিজের ঘরে। ঘুমন্ত প্রিয়ার দিকে তাকিয়ে ভেবেছিলাম কোথা থেকে আসে এত ভালোবাসা। আমার পাঁচ বছরের বিবাহিত জীবনে কি তবে সব শেষ ? সন্তান এখনো আসেনি আমাদের। তা নিয়ে রোজ ঝগড়া, অশান্তি। ডাক্তার বলেছে দুজনেই সুস্থ, আসবে। তবুও অশান্তি। কই, আমাদের তো এমন ইচ্ছা করে না।

 

ফোনটা এসেছিল ওঁরা রঙ্গিত নগর ফেরার পনেরো দিন পর, কাকিমা খুব অসুস্থ, শিলিগুড়িতেই ভর্তি করা হয়েছে। কাকুর অপারেশনের একমাস কাটেনি। রঙ্গীতনগর থেকে অতটা পথ এম্বুলেন্সে এসে সেও অসুস্থ। পরদিন আমি সকালের ফ্লাইটে রওনা দিয়েছিলাম। কিন্তু যতক্ষণে আমি হাসপাতালে পৌঁছে ছিলাম সব শেষ। কাকিমা নাকি এপ্লাষ্টিক অ্যানিমিয়ার পেশেন্ট ছিল, এ এক বিরল অসুখ যাতে রক্ত তৈরি হয় না। প্রয়োজনে রক্ত দিতে হয় পেশেন্ট কে। কাকিমাকেও নাকি রক্ত দিতে হত মাঝে মধ‍্যে। বোনম‍্যারো ঘটিত এক বিরল রোগ শরীরে নিয়ে শুধু কাকুর ভালোবাসার টানে কাকিমা বেঁচে ছিল এত দিন। কাকিমার শেষ নিশ্বাসের সাথে সাথেই কাকুর হার্ট অ্যাটাক হয় আবার। না, কাকিমা যে আর নেই কাকুকে জানানো হয়নি তখনো। তার আগেই সে চলে গেছিল সব কিছুর বাইরে। ডাক্তাররা বলছিল এমন এক রক্তের অসুখ নিয়ে কাকিমা এতদিন বেঁচে ছিল এটাই মিরাকল। আমি ভাবছিলাম কাকু কখনো বলেনি কাকিমার এত বড় অসুখ ছিল। দক্ষিণ ভারত চেকআপে যেত, কিন্তু বলত নর্মাল চেকআপ। হয়তো তাই ওদের সন্তান আসেনি। কাকুকে তো বিরক্ত হতে দেখিনি কখনো।

 

শেষবারের মত রঙ্গিত নগর যেতে হয়েছিল আমায়, প্রিয়া আসতে চায়নি। ওদের একমাত্র ওয়ারিশ হিসাবে কোয়াটার ছাড়তে হবে সব দেখে নিয়ে। ইচ্ছার বিরুদ্ধে গেছিলাম শেষবার। ঘরের সর্বত্র এমন ভাবে গুছানো যেন এখনি ফিরে আসবে ওঁরা। কাকিমার ভালোবাসার ঘর ... কাকুর ওষুধ, প্রেসকিপশন, ফলের ঝুড়ি, কাকিমার হাতে সাজানো ছোট্ট বাগান। বিক্ষিপ্ত মনে সব গোছগাছ করে ক্লান্ত শরীরে রাতে শুয়েছিলাম বাইরের ঘরে। 

মাঝরাতে একটা অস্বস্তি তে ঘুম ভেঙ্গে গেল, কাচের জানালা দিয়ে গোল চাঁদ দেখা যাচ্ছে, সামনেই পূর্ণিমা, আলোর বন্যায় ভাসছে পাহাড়। দূরে তুষারধবল গিরিরাজ হাসছে। হঠাৎ মনে হল বাগানে দুটো স্বচ্ছ অবয়ব বসে আছে পাশাপাশি, কাছাকাছি। আর তাদের ঘিরে ধোওয়া ধোওয়া কুয়াশা, বন্ধ দরজা খুলে ছুটে বাইরে বেরিয়ে এলাম । ছেড়া ছেড়া মেঘের ফাঁকে চাঁদের আলো এসে পড়েছে বাগানে, বড় রুদ্র পলাশ গাছের আলো ছায়ার খেলায় হয়তো ভুল দেখেছি।

ফিরে এলাম ঘরে, এবার ফিরে প্রিয়া কে নিয়ে ভাল ডাক্তার দেখাবো ।গভীর ঘুমে তলিয়ে যেতে যেতে মনে হল মৃদু গলায় কেউ গান গাইছে -''এই রাত তোমার আমার ... ঐ চাঁদ তোমার আমার... শুধু দুজনে...''  

 

 


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Drama