Unlock solutions to your love life challenges, from choosing the right partner to navigating deception and loneliness, with the book "Lust Love & Liberation ". Click here to get your copy!
Unlock solutions to your love life challenges, from choosing the right partner to navigating deception and loneliness, with the book "Lust Love & Liberation ". Click here to get your copy!

Indranil Majumder

Inspirational Others

4.0  

Indranil Majumder

Inspirational Others

বিশ্ব পরিবেশ দিবসের ইতিহাস

বিশ্ব পরিবেশ দিবসের ইতিহাস

3 mins
13.2K



প্রিয় বন্ধুগণ,


        আপনারা সবাই জানেন যে, প্রতিবছর ৫ই জুন ‛বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ পালন করা হয়। পরিবেশ রক্ষা ও পরিবেশ সচেতনতার লক্ষ্যে নানা রাজনৈতিক কর্মোদ‍্যোগ এবং জনসচেতনতার মাধ্যমে সারা বিশ্বজুড়ে এই দিবস পালন করা হয়। আসলে ষাটের দশকে পরিবেশ দূষণ ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল। অনিয়ন্ত্রিত শিল্পায়নের ফলে বায়ু, জল, মাটি সবকিছুই দূষিত হয়ে উঠেছিল। তখন থেকেই পরিবেশ সচেতনতা তৈরি হয় আর সেই সচেতনতার ফসল হিসেবে আমরা পৃথিবী ও পরিবেশ বাঁচানোর লক্ষ্যে বছরে দুটি দিবস লাভ করি। একটি হল ‛বিশ্ব ধরিত্রী দিবস(Earth Day)’ যা পালিত হয় ২২শে এপ্রিলে এবং অপরটি ‛বিশ্ব পরিবেশ দিবস(World Environment Day)’ যা পালিত হয় ৫ই জুনে।এখন এই করোনা ভাইরাসের আবহে লকডাউন চলছে তাই জমায়েত করে অন্য বছরের মতো বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন করতে পারব না। আসুন এই লেখায় সংক্ষেপে জেনে নিই বিশ্ব পরিবেশ দিবসের ইতিহাস।


       মূল ঘটনাটি ঘটেছিল পঞ্চাশ বছরেরও আগে।সুইডেন একটি বিজ্ঞান মনস্ক দেশ। জগৎ বিখ্যাত বিজ্ঞান সংস্থা 'রয়েল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস ' এখানেই অবস্থিত। তা সে দেশের সরকার ১৯৬৮ সালের ২০শে মে জাতিসংঘের অর্থনীতি ও সামাজিক পরিষদের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখে। চিঠিটিতে প্রকৃতি ও পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে সুইডেন সরকার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। এই চিঠি পেয়ে সেই বছরেই জাতিসংঘ পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি তাদের সাধারণ অধিবেশনের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করে। এর কয়েক বছর পর, যে দেশটি জাতিসংঘে প্রকৃতি ও পরিবেশ দূষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠি পাঠিয়েছিল সেই সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে ১৯৭২ সালের ৫ই জুন থেকে ১৬ই জুন পর্যন্ত জাতিসংঘ মানবিক পরিবেশ সম্মেলন(United Nations Conference on the Human Environment) অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানটি জাতিসংঘের সমস্ত সদস্যরাষ্ট্রগুলির অনুমতি নিয়েই করা হয়েছিল। পরিবেশ রক্ষা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা এবং পরিবেশ দূষণ সহ প্রকৃতি ও পরিবেশের নানান সমস্যার সমাধান বের করার উদ্দেশ্যে এই অনুষ্ঠানটি জাতিসংঘের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিত করা হয়। এই অনুষ্ঠান বা সম্মেলনটি বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম পরিবেশ-বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ১৯৭৩ সালে উল্লেখিত সম্মেলনের প্রথম দিন অর্থাৎ ৫ই জুনকে জাতিসংঘ ‛বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর এক বছর পর অর্থাৎ ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতি বছর এই দিবসটি সারা বিশ্বজুড়ে ‛বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। প্রতিবছরই এই দিবসটি আলাদা আলাদা শহরে আলাদা আলাদা প্রতিপাদ্য বিষয় বা থিম নিয়ে পালন করা হয়। যেমন ১৯৭৪ সালের প্রথম বিশ্ব পরিবেশ দিবস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের স্পোকেন শহরে পালিত হয় যার থিম ছিল ‛Only One Earth during Expo '74’। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৭৫ সালে ‛Human Settlements’ থিম নিয়ে এই দিবসটি পালন করা হয় বাংলাদেশের ঢাকায়। এভাবেই, ২০১৮ সালে ‛Beat Plastic Pollution’ থিম নিয়ে আমাদের দেশের রাজধানী নিউ দিল্লিতে ও গতবছর ২০১৯ সালে চীন দেশে ‛Air Pollution’ থিম নিয়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবছর, কঝভিড-১৯-এর আবহে এই দিবস সেভাবে পালন করা সম্ভবপর হয়নি। এই ছিল বিশ্ব পরিবেশ দিবসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।


     এই দিবসটিকে মাথায় রেখে পরিবেশ রক্ষা করতে বেশ কিছু কাজ আমরা করতে পারি যেমনঃ-

(১) প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগাতে পারি এবং গাছ লাগানোয় অন্যকে উৎসাহিত করতে পারি। কেউ যেন অযথা কাজ না কাটে সেই ব্যাপারে লক্ষ্য রাখা উচিত।

(২) গাড়ি থেকে ক্ষতিকারক কালো ধোঁয়া বন্ধ রাখার চেষ্টা আমরা সকলেই করতে পারি।

(৩)বাড়ির ফ্রিজটিকে সময় মতোন সার্ভিসিং করা দরকার।

 (৪) ময়লা ও আবর্জনা যেখানে সেখানে যেন না ফেলি। বর্জ্য পদার্থ, ময়লা ও আবর্জনা যেখানে ফেলার কথা সেখানেই যেন কেবলমাত্র ফেলি সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

 (৫) জল অপচয় বন্ধ করা দরকার, যেখানে জল অপচয় হচ্ছে দেখা যাবে সেখানেই এই জল অপচয় বন্ধ রাখার চেষ্টা করতে হবে। 

 (৬) পাহাড় কাটা বন্ধ রাখতে হবে।

 (৭) প্রাকৃতিক সম্পদ যেন অযথা নষ্ট না হয় সে ব্যাপারে নজর দেওয়া প্রয়োজন।

 (৮) কাগজ নষ্ট কম করতে হবে।  ‛পেপার রি-সাইক্লিং’ করা দরকার।

 (৯) প্লাস্টিকের ব‍্যবহার যতটা সম্ভব কম করা যায় ততটা কম করতে হবে। 

 (১০) জ্বালানি নয়, বিকল্প শক্তির ব্যবহার করা প্রয়োজন।


      অতএব বন্ধুরা,এইসব ব্যাপারগুলি স্মরণে রাখলে ও পালন করতে পারলে এক সুন্দর পৃথিবী আমরা পরের প্রজন্মকে উপহার দিতে পারব আর এর সাথে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালন সার্থক হয়ে উঠবে। সকলে প্রকৃতি ও পরিবেশের খেয়াল রাখবেন, ভালো থাকবেন। 


                                                  ইতি

                                                  আপনাদের মতোনই এক পরিবেশপ্রেমী



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Inspirational