Become a PUBLISHED AUTHOR at just 1999/- INR!! Limited Period Offer
Become a PUBLISHED AUTHOR at just 1999/- INR!! Limited Period Offer

Amitav Ganguly

Horror

5.0  

Amitav Ganguly

Horror

প্রেম -বনাব- ভয় {PART ONE}

প্রেম -বনাব- ভয় {PART ONE}

5 mins
1.5K


প্রেম -বনাব- ভয়



 PART ONE


ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে যখন আমি প্রথম চাকরি নিলাম, তখন সবার খুশির ঠিকানা ছিল না । বাড়িতে মা ও বাবা একেবারে গদগদ হয়ে ছিলেন, ওঁদের ছেলে যেন বিশ্ব জয় করেছে ।


আমার চিন্তা ধারা কিন্তু বাস্তব ছোঁয়া ছিল। প্রথম চাকরি, সেও কলকাতার বাইরে, নানান উদ্বেগ মনে চলেছিল । কেমন ভাবে নতুন পরিবেশে নিজেকে খাপ খাওয়াবো? শুনেছি চাকরী জীবনে অনেক রাজনীতি হয়ে এবং অফিসের সহকর্মীরা জীবন দুর্বিষহ করে দেয় । এছাড়া মনে হয়েছিল -কি ভাবে অচেনা, অজানা জায়গা একলা জীবন যাত্রা করবো ? কখনো তো কলকাতার বাইরে থাকিনি, নিজের দৈনন্দিন জীবন সামলাইনি । সবচেয়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো - মায়ের কোলের ছেলে, তাঁর আদর ছেড়ে কি করে থাকবে ? সত্যি বলতে আমি প্রায় খোকা ছিলাম । এই নিয়ে আমার বন্ধুরা আমাকে জ্বালাতন করতে ছাড়তো না । বলতো এরকম খোকা কে কোনও মেয়ে পছন্দ করবে না, যদিও সে বেশ সুপুরুষ, হিরো র মতো চেহারা । 

-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সেদিন ছিল , সোমবার , ৫ অগাস্ট , ও আমার নতুন অফিস এর প্রথম দিন । জায়গা - মুম্বাই শহরের বাইরে একটি মস্ত বড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকা, নাম - Trombay । নামকরা, হাইড্রোইলেক্ট্রিক পাওয়ার কোম্পানি সেখানে স্থিত । গতকাল আমি কলকাতা থেকে ট্রেনে মুম্বাই এসে , একটি ট্যাক্সি করে এই জায়গায় পৌঁছেছিলাম । ছোট একটা হোটেল এ উঠে, পরের দিন আমি অফিসে রিপোর্ট করবো ।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সকালে আমাকে, পিওন HR ডিপার্টমেন্ট এ নিয়ে গেলো । ম্যানেজার এর সাথে দেখা করলাম। "স্যার, আমি সন্তোষ দত্ত । Trainee ইঞ্জিনিয়ার এর পোস্ট এ join করতে এসেছি। কলকাতা থেকে এলাম ।" উনি আমার জন্যে প্রতীক্ষা করছিলেন মনে হলো । " Welcome, Mr Dutta । আমার মনে হয়ে, Mr Savarkar , যিনি আপনার Boss হবেন, আপনি তাঁর সাথে দেখা করে, joining রিপোর্ট দিন! আমি আমার subordinate  কে বলে আপনাকে আমাদের টাউনশিপ এ পাঠাবো, একটা কোয়ার্টার আপনার জন্যে allot করা হয়েছে , সেখানে আপনি উঠবেন । " 

ধন্যবাদ জানিয়ে, আমি ওঁনার পাঠানো ভদ্রলোকের সাথে বেরোতে যাচ্ছি যখন উনি আমাকে পিছু ডাক দিয়ে বললেন , " Mr Dutta , যদি কোয়ার্টার এ কিছু অসুবিধে হয়ে তাহলে আমাকে অবিলম্বে জানাবেন। "

আমি মাথা নেড়ে বেরিয়ে এলাম । তখন এই কথার গুরুত্ব বুঝতে পারিনি ।  

রাস্তায় , হিমেনদা , সেই ভদ্রলোক, আমার সঙ্গে আলাপ করলেন । এ কথায়, সে কথায় জানতে পারলাম, উনি এই অফিসে প্রায় ২১ বছর কাজ করছেন, এমন কিছুই নেই এখানে, যার খবর রাখেন না । উনি কেন আমাকে সেই কোয়ার্টার সম্বন্ধে বলেননি, সেটা জানলাম না !

প্রথমে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে গিয়ে, Mr Savarkar এর সাথে দেখা করে, ফর্মালিটি পুরো করলাম , তারপর ওঁনার পারমিশন নিয়ে টাউনশিপের দিকে রওনা হলাম । হিমেনদা সাথে ছিলেন ।

দুজনে কিছূক্ষন হাঁটবার পর আমার কোয়ার্টার এ পৌঁছে গেলাম ।

দশটা ছোট স্বতন্ত্র বাড়ি ও জায়গায় - একটি সারিতে রয়েছে । প্রত্যেক বাড়ির সাথে একটি বাগান, সামনে ও পেছন দিকে । আমার চতুর্থ বাড়ি।

গেট খুলে আমরা দুজন বাগান পেরিয়ে , দরজার চাবি খুলে ভেতরে ঢুকলাম । দুটো বেডরুম, ড্রয়িং আর ডাইনিং রুম নিয়ে এই কোয়ার্টার আমার খুব ভালো লাগলো । দরকারের সব ফার্নিচারই আছে। অফিস এ বাড়িগুলো দেখাশোনা করে তাই পরিষ্কার ও আরামের থাকার সব ব্যবস্থা বর্তমান ।

চারিদিক দেখে, হিমেনদা কে ধন্যবাদ জানিয়ে - উনি চলে যাবার পর - আমি মাস্টার বেডরুম এর খাটে এসে বসলাম; একটু relaxed  লাগছে। পরে আমার হোটেলে গিয়ে চেক আউট করে suitcase নিয়ে আসতে হবে । কাল থেকে আমার পুরো দমে ডিউটি শুরু হয়ে যাবে ।

হয়তো আমার চোখ লেগে গিয়েছিলো । বিছানায় শুয়েই পড়েছিলাম । হটাৎ মনে হলো কেউ আমার সাথে খাটে বসে আছে । অদ্ভুত ! আসে পাশে কেউ নেই ! উঠে গিয়ে সারা কোয়ার্টার ঘুরে এলাম , বাগানেও গেলাম, যদিও এতো দেখবার দরকার হয়তো ছিল না । শেষে মনে হলো এটা আমার মতিভ্রম । এই নিয়ে আর ভাবলাম না , অনেক কাজ করবার ছিল ।


পরের দিন Boss এর সাথে দেখা করে আমার ডিউটি বুঝে নিলাম । তাঁর সাথে ডিপার্টমেন্ট এর অন্য সহকর্মীর সাথে আলাপ হলো । 

সমীর ও সদানন্দ আমার senior এবং দুজনেই IIT ইঞ্জিনিয়ার, গত প্রায় সাত বছর এই ডিপার্টমেন্টে আছে । এছাড়া ছিল, রূপম ও খলীল, supervisors । এরপর মিস শম্পার সাথে পরিচয় হলো , সে senior supervisor ও গত পাঁচ বছর এখানে আছে। চারটে maintenance workers ও দুটো পিয়ন নিয়ে, ডিপার্টমেন্ট পুরো হয় । সর্বশেষে কাজের উপর একটা সামগ্রিক আলোচনা হলো ।


সেদিনের লাঞ্চ টাইম , আমি ভাবছি কি খাওয়া যায়, বাড়ি থেকে কিছু আনলে হয়তো ভালো হতো কিন্তু তেমন ব্যবস্থা করা হয়নি । একটা রাঁধুনী রাখতে হবে , তবে সেটা সময়ে লাগবে; তখন মিস শম্পা এসে আমার টেবিলের সামনে বসলো ।


যদিও সকালে আলাপ হয়েছিল, তবে একান্তে মুখোমুখি কথা হয়নি । ভালো ভাবে লক্ষ্য করিনি । এবার যখন আমি মহিলার দিকে একটু মনোযোগ দিলাম তখন বুঝতে পারলাম আমার হৃদয়ের গতি বাড়তে শুরু করছে! তারপর চোখ ফেরাতে পারলাম না।


কারণ বোঝা মুস্কিল নয়! বয়েস হয়তো আমার থেকে বছর চারেক বড় হবে; ফর্সা ত্বক , কালো ঘন চুল - শক্ত করে খোঁপা বাঁধা - বাঁকা ভুরু , কালো টানা টানা চোখ, টিকোলো নাসিকা, হালকা গোলাবী অধর - মধ্যম উচ্চতা ও একহারা শরীর; পরনে হালকা গোলাপি সালোয়ার কামিজ; সব মিলিয়ে মহিলার ওপর বিধাতার আশীর্বাদের কোনও কার্পণ্য নেই । সে নিঃসন্দেহে সুন্দরী !


এভাবে অনেক্ষন তাকানো যায় না , কে জানে হয়তো আমার মনের কথা বুঝতে পারবে ! তাই আমি চোখ নামিয়ে নিলাম। সেই মহিলা, মানে শম্পা, নিশ্চই আমার মনের কথা বুঝতে পেরেছিলো, সে সামান্য হেসে বললো, "মনে হচ্ছে আমাকে দেখে আপনি লজ্জা পাচ্ছেন ; আরে, আমরা তো সহকর্মী; ঘাবড়াবেন না , আপনি সদ্য কলেজ থেকে বেরিয়েছেন, এরকম হওয়া স্বাভাবিক । আসুন, খাওয়া যাক, আমি আপনার জন্য এক্সট্রা খাবার নিয়ে এসেছি । " তারপর শম্পা, টিফিন থেকে খাবার বার করে টেবিল এ সাজাতে লাগলো ।

-----------------------------------------------------

এরপর থেকে, প্রতিদিন আমি ও শম্পা একসাথে অফিস এ লাঞ্চ করতাম । যেমন আলাপ বাড়লো , জানতে পারলাম সে কলকাতা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা করে এসেছিলো । এটাই প্রথম চাকরী । সাথে কাজ করতে এটা ও বুঝলাম সে অতি বুদ্ধিমতী ও পরিশ্রমী কর্মী, ডিপার্টমেন্ট এ সবাই খুশি । Boss অনেক ভাবে শম্পার উপর কাজের deadline পুরো করবার জন্য নির্ভর করেন । এটাও বলা যায় আমিও মনোযোগ দিয়ে শম্পার সাথে কাজ করছিলাম এবং ওর কাজের অনেক দায়িত্ব নিয়েছিলাম । 


এই নিয়ে ও আমার প্রতি খুব খুশি ছিল । আমারও, ওর সাথে কাজ করতে ভীষণ ভালো লাগতো ।


আমরা অনেক সময়ে একসাথে বেড়াতে বেরোতাম , আনন্দ করতাম , কিন্তু একটা ব্যাপার আমাকে আশ্চর্য করতো । ও আমার কোয়ার্টার এ কখনো আসতে চাইতো না ।


যাই হোক ,  এটা আমার কাছে পরিষ্কার ছিল, এতদিনে আমি ওর প্রেমে পড়েছিলাম,  প্রেমের অনুভূতি নিয়ে আমি সবসময়ে থাকতাম! একটুকু ছোঁয়া লাগলে, আমার শরীর এ শিহরণ হতো! সে কি আমার মন বুঝতো? ………. 




TO BE CONTINUED




Rate this content
Log in

Similar bengali story from Horror