ওরা অচেনা ওরা ভ্রুণ
ওরা অচেনা ওরা ভ্রুণ
অন্ধত্বের শেষে এক আশ্চর্য নগর
চেনা অচেনা সব মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে অবাধে-
কারও রং নীল, কারও ধূসর-
কেউ চিৎকার করে ঘোষণা করছে নিজস্বতা,
খোলা হাটে নিজেকে মেলেও ধরছে একা-
অপেক্ষার শেষে যদি কেউ ঘরে নিয়ে গিয়ে
আধখানা চাঁদের সঙ্গে মানুষ করে তোলে তাদের।
স্বপ্নের মতো নিজেদের মধ্যে বিভেদ ভুলে
তারা গোপনে বিলি করছে সেই ঈশ্বরতত্ত্বটুকু।
চোখ মেলে চেয়ে দেখছে না কেউ-
বরং বারবার হাতে নিঃশর্ত চাপাতি নিয়ে
তাদের দিকেই ছুটে আসছে চোরাকারবারির দল-
তারা অন্ধকার ঘরে নির্লিপ্ত জোয়ারের টানে
ভাসিয়ে দিয়েছে অসংখ্য অচেনা চেহারা।
আজ সময় এসেছে ফিরিয়ে দেবার
প্রতিটি ঘরের বিপরীতে গড়ে উঠছে বাজার...
হারিয়ে যাওয়া কিছু শরীর অবাধে বিক্রি করে
নিজেকে অশ্বমেধের পণ্য করে তুলেছে কেউ।
আসলে তার মধ্যেও যারা বিক্রির ঠিক আগে
নিজেকে ঘিরে ফেলেছে সনির্বদ্ধ খাঁচায়,
তারা জন্মের জন্য অনেক আগেই
পছন্দ করে রেখেছে আলো চেনবার শুভ মুহূর্ত।
ফিরে যাচ্ছে সমস্ত চোরাকারবারির দল-
শহর জুড়ে না দেখা আলোয়
আবার মশাল হাতে অপেক্ষা করছে সবাই।
ওরা আমিনা, ইন্দ্রানী অথবা জেনিফার নয়-
ওদের একটাই নাম, ওরা অচেনা, ওরা ভ্রুণ।
ওরা শুধুমাত্র এক-একজন বর্ম ও শিরস্ত্রানহীন যোদ্ধা।
কেবল অনিশ্চিত জয়ের আগে জমে থাকা একখণ্ড বারুদ-
যারা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রঙিন আলোয়
নিজেকে জ্বালিয়ে ফেলতে শেখেনি কখনো।