জন্ম-মৃত্যু রহস্য
জন্ম-মৃত্যু রহস্য
মৃত্যু...তুমি কেমন?
একদিন...জানতে ইচ্ছে হয়েছিল।
তুমি কি কোন শমন?
তোমায় দেখতে ইচ্ছে করেছিল।
.
জীবনে যতবার আঘাত পেয়েছি,
তোমায় ততবার কামনা করেছি।
চাইলেই যে তোমায় নিজের করে পাব না
সে কথাও বারংবার বুঝেছি।
আবার কোন এক মন ভাল করা দিনে
তুমি সুন্দর না জীবন ? তুলনায় টেনেছি--
মনোমুগ্ধকর হও কিংবা কুৎসিত
স্বাগত জানাতে হবেই,
তুমিই যে একমাত্র ধ্রুব সত্য
মেনে নিতে হবেই,
পিছুটান থাক বা না থাক
ডাক এলে চলে যেতে হবেই॥
জীবনটা কি তবে শুধুই ফাঁকি ?
মরণের হাতের ক্রীতদাস?
সীমানার ওপারটা কেবল ধোঁয়াশা নাকি
সেথায় আছে কোন তুরুপের তাস?
যা দিয়ে জিততে পারি বাঘবন্দী খেলায়,
খেলা তো চলে নিরন্তর জীবনের মাঠে
মরণ আসবে তো সেই বিকেলবেলায়॥
তোমার আসারও যে কোন স্থিরতা নেই
অপেক্ষায় থাকি আর নাই বা থাকি
ধরো...যদি আজই চলে যেতে হয়
মনে হবে কতো কাজ যেন রয়ে গেল বাকী
অনুভবে তোমাকে পাই না মোটে
জীবনকে তবু খুঁজে পাই
কে বেশী দামী? জন্ম না মৃত্যু?
সে প্রশ্নকে মনে দেবো নাকো ঠাঁই
আসবে যদি আসতেই পারো
প্রস্তুত নাইবা থাকলাম
যদি সে মরণ শহীদের মত হয়
বরন করেই না হয় নিলাম।
তবুও তুমি আপনের চেয়ে আপনতর
এমনটা মনে হয় না
জীবন যে একটি চলমান সিঁড়ি
প্রতি পদে পদে রোমাঞ্চ জাগায়
অতুলনীয়--হেলাফেলা করা যায় না।
জীবন ও মৃত্যু রহস্যময়
তফাৎটা তবে কোথায়?
বাঁচতে গেলে লড়তেই হবে
রহস্য উদ্ধার করতেও হবে
মরণ রে; নিরাকার হও বা নিরবিচ্ছিন্ন
তুমি যে শুধুই পরাজয়॥
তুমি তো এসেই যাবে চলে
সঙ্গে নেবে না যা কিছু পার্থিব
স্মৃতি সৌধ রয়ে যাবে,
সৃষ্টি স্থিতির বিনাশ না হবে
যা কিছু শুধুই আমার
জীবনের দাবী না মেনে, বলো
কেমন করে সে হবে তোমার?
তবে তোমায় দেবারও আছে অনেক
সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি যা শুধু আত্মার
যার মরণ হয়নি কখনওই,
অপার্থিব যা কিছু সংগ্রহে রেখেছি
জীবনদর্শন রূপে সমাদর করেছি
মৃত্যুর পরেও তো তাই সে অবিনশ্বর ॥