রবীন্দ্রনাথ
রবীন্দ্রনাথ
শীতের ময়দানে ফুলের ছড়াছড়ি, খেজুর গুড়ের সন্দেশে ম ম।
আমার দিনের অফিস, বাড়ি, বাসন ধোঁয়া, জিরের গুঁড়ো,
ছেলের অনলাইন ক্লাস, পরীক্ষা, মেয়ে কলেজে বহুদূরে;
বাইরে যাবার জো নেই, সময়টা আটকে আছে মাস্ক পরে।
ডোভার লেনের আওয়াজ নেই, নেই কোনো পালা।
শুধু একগুচ্ছ ভি ডি ও, বক বক সারাদিন ফোনে।
আমি ক্লান্ত হয়ে তোমায় খুঁজি রবীন্দ্রনাথ, ডুব দিতে
চাই তোমার গানে। একবার নয়, বারে বারে।
তোমার ছোঁয়ায় আমার দেওয়াল যেন কথা বলে,
ঠাণ্ডা দুপুর আরো মায়াবিনী। মশলার বাক্স দেখে
নতুন রান্না, তোমার গানে খুশির আনাগোনা।
জামা কাপড় গুলো ছাদ থেকে এনে যখন গোছাই,
ইস্টিকুটুমের ডাকে তোমায় মনে পরল অমিত,
‘শেষের কবিতা’ শুনলাম আর একবার একমনে।
ভারী কনকনে হাওয়ার সাথে এলো কাছের
বন্ধুর শেষের বার্তা। আঁকড়ে ধরলাম স্মৃতি, খুঁজে খুঁজে
বার করলাম বিবর্ণ হয়ে যাওয়া কিছু ছবি আর তার মধ্যে
ঝকঝকে দেখতে পেলাম সেই আনন্দের মুহূর্তগুলো।
‘জীবন মরণের সীমানা ছাড়িয়ে’ জীবন্ত হয়ে উঠল
আমার সত্ত্বায়, হারিয়ে গেলাম আমি আবার তোমার
না-দেখা স্পর্শে, অপূর্ব সেই আপন করা অনুভূতিতে।