বিভ্রাট
বিভ্রাট
পাহে হেঁইটে যেইতে ছিলম হুটমুড়ার গাঁয়হে
খেঁজুর কাঁইটা ঢুকলো হঠাৎ আমার ডাহিন পাহে
ভীষণ জ্বালা পাহের কাঁইটা বাইর করতে লাারি
আমার চেঁচানিতে ছুইটে এলো পাড়ারই এক ছুঁড়ি
হেঁইচকা টাইনে বাইর করলেক পাহের কাঁইটা যেই
ফিনকি দিহে রক্ত এল-ধইরে নিহে গেল সেই
শিকড়-বাকড় বেঁইটে বুঁটে লাগাইলেক সেই ক্ষতে
রক্ত পড়হা বইন্ধ হল তখন কুনুমতে।
পিড়হা এনে বইসতে দিলেক লাউমাচাটার লীচে
বাটিতে কইরেহে মুড়হি দিলেক লঙ্কা পিঁয়াজ ছিঁচে
ঘটিতে কইরহে জল দিলেক ওই নুনুটার মা
বল্লেকঃ'টুকচাক্ষণ জিরাইয়েলে-মুড়হি গুলান খা
কুন গাঁয়হেতে ঘর বটে তুর,কুথাকেই বা যাবি
খুঁড়ায় খুঁড়ায় যেইতে হবেক-সঙ্গে কাহুকে পাবি?'
-'যেইতে ছিলম পুরুলেতে-লুধুড়কাতে ঘর
যখন ঘর থেইকে বেরুচ্ছিলম বৌ বল্লেক মর!'
পাঁইচটা সতীর মতন বঠে বৌটো আমার সতী
উহার অভিশাপে আমার হল যে দুগ্গোতি
পাহের কাঁইটা মনের কাঁইটা কাঁইটার জ্বালা খুব
ঘরের লেগে বৌহের লেগে মন করে উসখুস
টুকচা পরহে বিধাই লিলম নুনুদের ঘর থেইকে
পলাশ বনহের ছাঁউয়ায় ঢাকা পথটা এঁইকে বেঁইকে৷