যার পর নাই
যার পর নাই
আমি এক ভাড়াটে
এ বাড়ি ও বাড়ি থেকে থেকে পাল্টাই
ঘুরে বেড়াই৷
নদীর স্রোতে বয়ে চলা মাছ
গাছের ডালে ঝুলে থাকা ক্ষনিকের ফল
অন্তহীন সমস্যা-
রেশন কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড, পাসপোর্ট
ঠিকানা পাল্টানো বার বার
এর সাথে আসবাবপত্র-রাও ঘুরে বেড়ায়
এদের গায় কলকাতার নানান জায়গার গন্ধ৷
টালিগঞ্জ, সন্তোষপুর, বেহালার সুর ছন্দ
মিশে আছে-
কলকাতা শহর কতই না আমার চেনা,
কোথাকার কোন মিষ্টির দোকানে কি ভালো
কোন চায়ের দোকানে এখনো দুটাকা দিয়ে লিকার চা পাওয়া যায়,
কোন মন্দিরে ভালো প্রসাদ দেয়
এ সবই আমার জানা৷
যখন বাসে করে ঘুরি
আমি দেখি কখনো আমার সকালের টালিগঞ্জ, আমার মধ্যাহ্নের বেহালা
আমার এখনকার সন্তোষপুর, আমার বিকেলের জোড়া ব্রিজ৷
একটা আস্তানা পেলাম না
যেখান থেকে আমাকে কেউ চলে যেতে বলবে না
আমি যে গরীব, আর্থিক সঙ্গতি কোথায় যে একটা
জমি বা ফ্ল্যাট কিনবো?
যা পুঁজি ছিল মা বাবার চিকিৎসায়
বোনের বিয়ের জোগাড়ের ঝরে যাওয়া ফুল৷
এ পৃথিবীতে আমরা সবাই ভাড়াটে,
আমি খুশি
এই আশা নিয়ে বেঁচে আছি যে আমার বাড়ি,
যা আমার মনের ভিতর তৈরী করেছি
যেখান থেকে আমাকে কেউ কোনোদিন চলে যেতে বলবে না,
সে একদিন না একদিন ঠিক আমার সামনে আসবে
আমি আমার মতন করে সাজাবো
তার নাম রাখবো
যার পর নাই৷