ডেমনিক ভার্স সিরিজ
ডেমনিক ভার্স সিরিজ
১.
তলিয়ে চলেছি আমি, যদি পারো হাত ধরে তোলো...
আমায় কামড়ে, চুষে অন্ধকার পাথরে বসাও।
এমন ম্যাজিক রাতে পারো যদি এ শরীরে গোলো,
মৃদু হেসে প্রশ্ন করো—‘বলো কবি, আর কি কি চাও?’
দুঃস্বপ্ন ভাঙার পর আরও নামি গভীর তন্দ্রায়।
আহত ডানার ভারে উড়ে যাওয়া মেধাবি স্মৃতির
স্পর্শ থেকে অকস্মাৎ যে ভাবে বুঝেছি আমি—হায়,
নিজের ক্ষতের মাঝে কখন গেঁথেছি বিষ-তীর!
সেই তীর ঈশ্বরের। দেবতার আদিম শয়তান
চুপিচুপি জেগে ওঠে তোমার ভেতর এক রাতে;
যদিও, মানুষ প্রিয় বহুরূপী ভালোবাসা চান
ছলাৎ ছলাৎ বুকে আত্মঘাতী প্রতিটি আঘাতে
মানুষ সময় গোনে, যারা কবি লিখে যান তাঁরা—
আমার ঘুমের মাঝে আজও তবু জেগে থাকে কারা?
২.
যত পারো ক্রমাগত আমার ভিতরে
কথা কও, চুপিচুপি স্বীয় ভঙ্গিমায়
হত্যা করো রক্তভ্রূণ প্রতি ঘরে ঘরে
এ পৃথিবী পুণ্য হয় পাপের ক্ষমায়...
করতল মেলে ধরে মুখোমুখি ছায়া
ছায়ার পাঁজরে সরু রোদ শুয়ে থাকে
প্রশ্ন করো বারংবার, যুক্তি দিয়ে মায়া
ভেঙে ফ্যালো ব্রহ্মচক্র, শরীরের পাকে
ঘোরো তুমি অবিরাম—ব্যক্তিগত ক্ষয়
হোক তবে নদী, বন চিরসংশয়বাদী
স্বর্গেও কি ঈশ্বরীর বলাৎকার হয়?
অথচ নরক কত ঊর্বর! আজাদি...
মানুষ বোঝেনা শুধু এ বিভেদটুকু -
আজও ধর্ম ছদ্মবেশী স্বর্গের কুকুর।