মুক্তি আবার
মুক্তি আবার
বেশ কেমন হতো
যদি,
তুই গাইতিস উদাত্ত কন্ঠে, আমি বাজাতাম মনের সুখে ।
হয়তো বা তুই প্ল্যান করতিস, আমরা বেড়াতে যেতাম ।
একসাথে দেশ ঘুরতাম, দেশ দেখতাম ।
কিংবা বাউলদের মাঝে দুপুর কাটাতাম, গঙ্গার ধারে বিকেল ।
সাগর তটে সূর্যাস্ত, বা সানরাইস পাহাড়ের কোলে ।
অবাক চোখে আকাশ দেখতাম, আবার হারিয়ে খুঁজতাম,
এই শহরের কোনো কোণে প্রাচীন বাড়ির নিস্তব্ধতা ।
অথবা সুবিখ্যাত স্ট্রিট ফুডের পশরায় হানা ।
ঝুড়ি নামা বৃদ্ধ বট, গা ছমছমে ছায়াময়তা ।
সাবেকী বাড়ির দালান, মানে নস্টালজিয়া ।
আবার নৌকো করে জল ভ্রমণ,
মাথা তোলা দ্বিতীয় সেতু, সন্ধ্যের আলো, আলতো নরম ।
সাথে গান, প্রাণের আরাম ।
ভ্যালেন্টাইনের গোলাপ গন্ধ, উদাস করা ।
বাতাসে প্রেম, ঝরে যাওয়া কৃষ্ণচূড়া ।
নিউ মার্কেটের কেক আর সোনাঝুরির মাঠে ফাগুনের আবীর ।
সব একাকার ।
হাতছানিতে বিষ্ণুপুরের রাস মঞ্চ, পুরুলিয়ার পাহাড় ।
উত্তেজনা সুন্দরবনের দক্ষিণরায় আর ডুয়ার্সের হাতি ।
মিলেমিশে ছুটি ।
বলতো কি ভালোই না হতো !
কি জানি এতক্ষণ কোথায় হারিয়ে যাচ্ছিলাম !
যত সব ভুল ভাল !