শীতের ছড়া
শীতের ছড়া
শীত আসিল শীত আসিল রুক্ষু সুখা চরে
আগল খুলে উঠোন পেরোয়, উঠোন ঢোকে ঘরে
বাইরে আওয়াজ বন্ধ হল, নিঝুম হল পাড়া
মাঝদুপুরে ভিতর ঘরে শীতেরা দেয় নাড়া
আঁচল দিয়ে ঢাকলে পরেও বাচাল শিরশিরানি
উপচে ওঠে বুকের চুড়ায়, গোপন কানাকানি
গড়িয়ে যায় নাবাল জমি , তীক্ষ্ণ হাওয়া লেগে
শীত আসিল , ভিতর ঘরে শীত উঠিল জেগে ।
গাঁদাফুলের জঙ্গলে শোয় ঢলন্ত রোদ চুপি
একফুঁয়ে চায় নিবিয়ে দিতে শরমহায়া কুপি
গহিন দুপুর পরদা সরায় কলস তোলে কাঁখে
পায়ের তলায় কদমতলা, পুকুর হয়ে ডাকে
তলিয়ে যায় পানকৌড়ি বলিয়ে নেয় কথা
আয়না জুড়ে শীত নেমেছে , কথার নীরবতার
ছোঁয়া জাগায় ঘুমসোহাগি নিথর বিজুলিকে
শীত আসিল, শীত ছড়াল সোজা ভিতরদিকে ।
আলসে জুড়ে অলস দুপুর শুকোয় কলাই বড়ি
অচিনপাখি ঠুকরিয়ে যায় , ঘুমন্ত প্রহরী
মর্মে বেঁধে ঠোটের ভাষা বর্মরা চোখ বুজে
বেহিসাবের শীত নিয়েছে গায়ের কাঁথা খুঁজে
বেণী দোলায় শীতকিশোরী বসে ভিতরপানে
--- এই সেদিন ও সবুজ ছিল, বিগত অঘ্রাণে
ঝরে পরা পাতাগুলোয় অতীত এবং ধুলো
গাছের ভিতর দিব্যি বাঁচে গাছের ইচ্ছেগুলো ।
সুয্যি ডোবে পাটে , কাটে শীত কুয়াশা ধীরে
যুদ্ধ থেকে ভাত কাপড়ের লোকটা এলে ফিরে ।।