ওরা মানুষ ছিল কি!
ওরা মানুষ ছিল কি!
ঘন্টা কাঁসর বাজছে প্রবল, জয়ধ্বনি ক্ষনে ক্ষনে,
আসছে ওরা ভোগের লোভে, বারে বারে জনে জনে,
অগ্নি শিখা জ্বলছে শুধু, মূর্তি বসে চুপটি করে,
দেখছে রঙ্গ মাটির পুতুল, দেখছে সে তাই দুচোখ ভোরে,
মানুষ মারার ধর্ম ঘরে, গগনভেদী আর্তনাদ,
পুজোর শেষে ধর্ম ঘরে, মনুষ্যত্ব পড়লো বাদ।
আজও শঙ্কা, দুলছে মন,
পশ্চিম থেকে পূর্ব কোন,
ওরা মানুষ ছিলকি!? নাকি নরখাদক?
DNA টা পাঠাও ল্যাবে, সেটার একটা পরীক্ষা হোক।
ওরে পাষন্ডরা, যাদের কোলে জন্ম নিলি,
তারই দেহে ধর্ম জ্বালায়, বিষাক্ত দাঁত, আঁচড় দিলি!
কি পেলি বল! শুধুই মাংস, কয়েক ফোঁটা রক্ত আর,
তার পরেতে মিছিল হলো, ধর্ম-ধ্বনি বারংবার,
তেরঙ্গাতে ধর্ম মেখে, ধরলো হাতে তলোয়ার,
বললো হেঁসে, এটাই ওদের পাওনা ছিল, এটাই হবে বারবার।
মা রে তোর নিথর দেহ, আর্তনাদে হৃদয়ভেদী
ক্ষমা কর মা, পারিনি আমি, হইনি সেদিন প্রতিবাদী।
আমার ভুলেই স্বর্গ-ভূমি, নড়করাজ করলো বিলি
মা রে তুই এই দেশেতে কোন আশাতে জন্ম নিলি।
মা রে তুই এই দেশেতে এ কোন ওসুর জন্ম দিলি!?