প্রশ্ন
প্রশ্ন
দেখতে পাচ্ছ আকাশটা এই ধরণীর বুকে?
কেমন যেনো আবছা মায়াময় আর ঘোলাটে!
নেশাকাতুর সন্ধ্যায় সিগারেটের ধোয়ার মত
হারিয়ে যাওয়া কিছু মুহুর্ত কিছু স্মৃতি আজও
পুড়ছে মলীন বাতাসে, তবু এই বোঝা বয়ে
যাচ্ছি অনন্তকাল ধরে
কৃষ্ণবর্ণ এই হৃদয়ে লাল আবিরের
আকিবুকি কাটা হারিয়ে যাওয়া সেই সময়টা
চলে গেছে আমার অজান্তেই
আর জ্ঞানের অন্ধকারে ডুবে ভেসে গেছি রোজ
প্রতিমুহূর্তে।
অন্ধকারে আলোর পথে পথভ্রষ্ট সেই রাতকানা
মাছির মত প্রশ্ন খুঁজেছি উত্তরের।
কেবলই ব্যর্থ চেষ্টা আর চেষ্টার ব্যর্থতায় ভুগেছি
ভেতরের নীরব শূন্যতাকে নিংড়ে দিয়েছি আরও
এক বিশাল শুন্যতার মাঝে।
কাচের সার্শিতে মাথা ঠুকে রক্তাক্ত বোলতা
শুধু খুঁজে গেছে ভেতরের উষ্ণতাকে
তার বদলে রক্তহিম করা তুষার ঝড়ে আবার
ফিরে আসার স্বপ্ন দেখেছে একান্তে।
শীতল মৃতদেহের অভিমান ধীরে ধীরে ঢাকা পড়ছে
আরো জমাট বাঁধা শীতলতায়, শুধু উষ্ণতার
বিদ্রুপ আর চোখ রাঙানি তাই তার কাছে ধরা
দেয় অগ্নুৎপাতের মত।
আমার সিগারেটের বাকসো ভর্তি ছাই ঘেঁটে
অতীত খুঁজি আর কিছু ধুসরতায় হাত ভর্তি হয়
তবুও আমি এগোব এই অশরীরীর দেহ নিয়ে
মৃত্যুহীন পিশাচের মত।
কোকিলের কণ্ঠের করুন সুর কিংবা ঘাসের ওপর
অদৃশ্য পদচিহ্ন অন্ধকারকে জমাট করে আর
দু চার ফোঁটা রক্ত ঝরে তবু নীরবতা র মৌনব্রত
থাকে অক্ষুণ্ণ।
আবার খুন হয় একটা আবার ভেতরটা উঠলে ওঠে
কিসের এক আশঙ্কায় অস্থির ভাবে
ছাদে বসে উল্টো দূরবীন চোখে কাছের জিনিস দূরে দেখি আর খুঁজি ধ্রুবতারার গতিপথ
সমবেদনা আর সমানুভূতির পার্থক্য টা আজও
ভাবী লিখতে গিয়ে অজান্তেই।
অনেক উত্তর আছে শুধু প্রশ্নটাই খুঁজে পাই না
দূষিত আত্মা খোঁজে রক্তের পবিত্রতা।
তবুও কিভাবে যেনো বিষ মেশে বারবার
যন্ত্রণায় চিৎকার করি তবুও নেশা কাটে না
মরীচিকা আর সেই এক কাপ বিলাসিতা
শেষ হয়, অবশিষ্ট রূপে পড়ে থাকে কিছু
প্রলাপ মেশানো বাতাস আর ভেতরের অনন্ত
শূন্যতা।
আবার আত্মহত্যা করে এক নাম না জানা মেঘবালিকা
আর তার ঘোড়ায় চড়া রাজকুমার থেকে যায়
শিরোনামহীন হয়ে।
ভারাক্রান্ত খাতায় লিখি আবার একটা
অসমাপ্ত কবিতা, ডাইরি ভেজে চোখের নোনা
ধরা জলে।
খোঁজ রাখেনি, খোঁজ রাখে না ওরা
শুধু বারবার শীতলতার স্পর্শে কেপেছে চোখের
পাতা তবু খোঁজ রাখেনি ওরা।
আকাশটা খুব সুন্দর লাগছে শুধু আর তোমাকে দেখতে পাচ্ছি না স্পষ্টভাবে এই তারাদের
ভিড়ে।
জানো ড্রেনের ধারে পড়ে থাকা ওই অনাহুতের
লাশ উষ্ণতা নেয় জ্বলন্ত সিগারেট থেকে,
বিপন্নতার মাঝে ছিন্ন কাগজের টুকরো বাসি
খবরের নিস্তেজ শিরোনামে তোমার আগমনীর
গল্প শুনি।
খবর রাখোনি তুমি, খবর রাখেনা কেউ
শুধু কবিতা ভর্তি খাতা থেকে রক্ত ঝরে আর
পায়ের নিচে লুটিয়ে পড়ে আরো একটা শরীর
আগের মত একইভাবে।