তবুও রক্তকরবী
তবুও রক্তকরবী




'রক্তকরবী' যা বেঁচে থাকার রসদ জুগিয়ে দিয়েছিল নন্দিনী ও রঞ্জন এর শাশ্বত জীবনের মধ্যে, সেইরকমই কঠিনের মধ্যে প্রাণের স্পন্দন কে লক্ষ করলাম চোখের সামনে। আমরা কত কিছুই এড়িয়ে যাই। অনেক সময় চোখ বন্ধ করে চলি কিনা।একটু সচেতন দৃষ্টিতে দেখলে অনেক সুক্ষ সুক্ষ অনুভূতি আমাদের মনকে স্পর্শকরে, ভাবিয়ে তোলে। আমরা আঁটকে গেলেই মনে করি সবশেষ। আশাভঙ্গ, স্বপ্নভঙ্গ -বেঁচে থাকার রসদ হয়তো শেষ হয়ে গেল।
তবে বাগানের ধারে শান বাঁধানো অংশে সিমেন্ট কংক্রিট ভেদ করে একটি লম্বা ডাল,তার দুটি শাখার মাথায় গোটা পাঁচেক ফুল -টকটকে রঙের হয়তো রক্তকরবী নয়, কিন্তু তার গোলাপী পাপড়িগুলো যেন সমস্ত প্রতিকূলতাকে বিদ্রুপ করছে।বলছে দ্যাখো আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলে, কিন্তু আমি মরিনি, আমি বেঁচে আছি- গর্বের সঙ্গে মাথা তুলে।পাঁচটি ফুলে হেসে হেসে বলছে-
“ আমি পেরেছি তোমাকে পরাজিত করতে,
আমি পেরেছি প্রতিকূলতায় মাথা তুলতে...”
তাই তোমার চিত্র সংগ্রহ করলাম নয়নতারা, তোমার লড়াই কে সম্মান জানাতে। হীনমন্যতায় ভুগতে থাকা প্রত্যেকটি মানুষের কাছে , প্রতিকূলতায় ভেঙে পড়া প্রত্যেকটি মানুষের কাছে তুমিই অনুপ্রেরণার রসদ…তোমাকে সেলাম।
.