পাতালেশ্বর শিব
পাতালেশ্বর শিব
ভাগীরথী নদীর তীরবর্তী এলাকায় একসময় অনেক শিব মন্দির ছিলো, পাতালেশ্বর শিবমন্দিরটি স্থাপত্য ছোট। বারান্দা দিয়ে একটু ভেতরে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে একটি শিবলিঙ্গ। নদীর তীর ঘেঁষেই এই মন্দির। কাটিগঙ্গা নদীর বাঁকের হাত থেকে রক্ষা পেতে দুইপাশে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। পৌরাণিক কাহিনীনুযায়ী এখানকার শিবলিঙ্গকে বলা হয় স্বয়ম্ভু জ্যোতির্লিঙ্গ। স্বয়ম্ভু কথার অর্থ যে পাতাল থেকে একাই উঠে এসেছে, তাই একে বলে পাতালেশ্বর । আসল মন্দিরটি ছিল ৬৪ স্কোয়ার ফুট জায়গার উপরে।২০০৬ সালে এটি নতুন ভাবে সংস্কার হয়েছে।
মন্দিরে ঢোকার প্রধান ফটকেই রয়েছে ৪০ ফুট উচু শিবের মূর্তি আছে। সুন্দর পরিবেশ , অশ্বথ ও বট গাছ রয়েছে এখানে। তার নিচেও পূজা-অর্চনা হয়। এই নদীর এ তীরটির নাম সতীদাহ ঘাট। তাই মন্দিরের নাম সতীদাহ ঘাটের পাতালেশ্বর মন্দির।
হুগলি, পদ্মা ও জলঙ্গীর মাঝখানে অবস্থিত ত্রিভুজাকার শহর কাশিমবাজার। এখানে প্রায়
৩০০ বছর আগে এই পাতালেশ্বর শিব মন্দির প্রতিষ্ঠা ছিলো। যদি এখন এটি সংস্কার হয়ে নতুন রূপ নিয়েছে।
ইতিহাসে দিকে তাকালে মুর্শিদাবাদের কাশিমবাজার একটা সময় গুরুত্বপূর্ণ জনপদ ছিলো।ফরাসি, ডাচ, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সবার বাণিজ্য কুঠির ছিলো এখানে। ১৭ দশকে ভাগিরথী নদী তার গতিপথ কিছুটা পরিবর্তনে করে কাশিমবাজারের পাশ দিয়ে ফরাসডাঙ্গা পর্যন্ত গড়ে তোলা হয় কাটিগঙ্গা। ৩০০ বছর আগে এই কাটিগঙ্গার দক্ষিণ উঠেছিল এই পাতালেশ্বর শিব মন্দির।